মার্কিন স্টাইলের ‘প্রেস ফ্রিডম’: সংবাদভাষ্য
2024-01-06 15:35:30

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন তার নিজের গল্প বলার সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করছে, নিজের দরজা আরও উন্মুক্ত করেছে, এবং সারা বিশ্বের বন্ধুদের চীন সফরে উদ্বুদ্ধ করেছে। ঠিক এই কারণেই চীনের বিশ্বব্যাপী প্রভাব ও খ্যাতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্র গত পাঁচ বছরে পশ্চিমা সাংবাদিকদের "জনমতের ঠগ" হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, যারা চীনের মুখে কালি দেয়। ইউরোপীয় পণ্ডিত জ্যান ওবার্গ সম্প্রতি বলেছেন, মার্কিন কংগ্রেস পাঁচ বছর আগে চীন সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ লেখার জন্য পশ্চিমা সাংবাদিক ও সম্পাদকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের একটি বিল পাস করে।

আসলে, আন্তর্জাতিক জনমতের ক্ষেত্রে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থাগুলোর ইতিমধ্যেই একটি খারাপ রেকর্ড রয়েছে। এই সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের দেশের সামরিক বাহিনীর মতোই বৈচিত্র্যময় ও নির্মম, অনেক দেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং এমনকি অন্যান্য দেশের শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা আসলে নতুন কিছু নয়। স্নায়ুযুদ্ধের প্রথম দিকে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে মার্কিন সংবাদ সংস্থাগুলোর জড়িত থাকার বিষয়টি অসংখ্য উপন্যাস ও চলচ্চিত্রের উপজীব্য ছিল। সিআইএ নিজেও স্বীকার করেছে যে, সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ভুয়া খবর প্রকাশের জন্য শত শত সাংবাদিক ও একাধিক সংস্থাকে "ক্রয়" করেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে, তথাকথিত "স্বাধীন মিডিয়া" এবং "তৃতীয়-পক্ষ" মিডিয়াও দৃশ্যে উপস্থিত হয়েছে। চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল সম্পর্কে মিথ্যা খবর প্রতিনিয়ত উত্পাদন করা হচ্ছে। মহামারী চলাকালে, এই সব মিডিয়া অন্যান্য দেশকেও চীনকে ঘৃণা করতে প্ররোচিত করেছিল। তাদের লক্ষ্য আসলে খুব স্পষ্ট: চীনের বদনাম করা এবং চীনের উন্নয়ন রোধ করা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন একটি ইতিবাচক ও সহনশীল মনোভাবের সাথে বিভিন্ন উপায়ে তার প্রকৃত অবস্থা জানাচ্ছে এবং আন্তরিকভাবে বিশ্বজুড়ে বন্ধুদের স্বাগত জানাচ্ছে।

যাই হোক, মার্কিন সরকার এবং তাদের মিডিয়া দীর্ঘকাল ধরে বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে এবং ক্রমাগত চীনকে অপমান করে চলেছে। যখন তারা চীন সম্পর্কে খবর দেয়, তারা বস্তুনিষ্ঠ নীতির পরিবর্তে আদর্শগতভাবে রঙিন চশমা পরে। এর পেছনের মূল কারণ হলো, নোংরা অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং নোংরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। আসলে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো হুমকি নয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে আন্তর্জাতিকভাবে হুমকির মতো দেখাতে অজুহাত তৈরি করে। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিকভাবেই চীনকে "শত্রু" হিসেবে চিহ্নিত করে। (শুয়েই/আলিম)