গ্রাম সুপার লিগ
2023-12-07 10:32:12

“আমি তোং ইয়ো হেং। আমি রোং চিয়াং উপজেলার চোং ছেং গ্রামের ফুটবল দলের সদস্য। আমার নম্বর ১০। আমি এবার গ্রাম সুপার লিগে ‘শীর্ষ গোলদাতা।এখন আমার আরেকটি নাম রয়েছে। সবাই আমাকে ‘রাইস নুডলস রোলের রাজা’ বলে ডাকেন।”

তোং ইয়োং হেং একটি ছোট্ট রাইস নুডলস রোলের দোকান পরিচালনা করেন।

২০২২ সালের আগে রোং চিয়াং উপজেলায় মানুষের বার্ষিক গড় আয় ছিল ৫৫০ মার্কিন ডলারেরও কম।

তোং ইয়োং হেং এ দোকান থেকে যে উপার্জন করতেন, তা দিয়ে সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খেতেন।

তিনি বলেছেন, “ছোটবেলায় আমাদের সবার স্বপ্ন থাকে। কিন্তু আমরা যত বড় হই,আমরা জীবনের কঠোর দিক দেখতে পাই। আমার স্বপ্ন ত্যাগ করেছি, এ কথা বলা যায় না। কিন্তু এটা থেকে দূরে রয়েছি বলে মনে করি।  

গত বিশ বছর ধরে তোং ইয়োং হেং একদিকে পরিশ্রম করে জীবিকা বাড়াচ্ছেন, অন্য দিকে প্রশিক্ষণ গ্রহণে অবিচল রয়েছেন।  আমার পাশে যারা বসে আছেন, তারা আমার গ্রাম সুপার লীগের সদস্য। তারা বিভিন্ন খাতে কাজ করেন।

কেউ কাঠ প্রক্রিয়াকরণের কাজ করেন, কেউ স্পোর্টস লটারি সেলসম্যান। কেউ  ফিটনেস কোচ। কেউ হোম ডেকোরেটর।

তোং ইয়োং হেং ও তার সদস্যদের সবচেয়ে বড় সদিচ্ছা হলো একটি মানসম্পন্ন ফুটবল মাঠে একটি আনুষ্ঠানিক ম্যাচ খেলা।

২০২০ সালে রোং চিয়াং উপজেলা সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্যমুক্ত হয়। অঞ্চলটিতে পরপরই ৮টি পেশাগত ফুটবল মাঠ প্রতিষ্ঠিত হয়।

২০২৩ সালে রোং চিয়াং উপজেলায় ‘গ্রামীণ সুপার লিগ’ আয়োজন করা হয়।

মাত্র দু’মাসে ৩৩ লাখ পর্যটন আকৃষ্ট হয়েছে এখানে। এ সংখ্যা রোং চিয়াং উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যার দশ গুণ। পর্যটন খাতে আয় ২৮০ ইউয়ান  ছাড়িয়ে গেছে, যা ২০২২ সালে পুরো উপজেলার আয়ের ৯গুণ।

তোং ইয়োং হেং বলেন, “আমি ক্যাটারিংয়ে জড়িত। আমার রেস্টুরেন্টে এখন আরও অতিথি আসছেন। ক্যাটারিং, বাসস্থান ও পরিবহন…গ্রামীণ সুপার লিগ অঞ্চলটির অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সহায়ক হয়েছে।

ভালোবাসলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জিত হবেই।

(রুবি/রহমান)