Web bengali.cri.cn   
আর্থনীতিক সংবাদ ---২০১৫/৯/৭
  2015-09-07 19:12:02  cri

৪.যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পাদুকা রপ্তানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় (জানুয়ারি-জুলাই) মাসে ৪ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার মার্কিন ডলারের পাদুকা রপ্তানি হয়েছে এ বাজারে, যা গত বছরের একই সময়ের ২কোটি ৪৪ লাখ ৭৩ হাজার ডলারের চেয়ে ৬৮.৮৫ শতাংশ বেশি। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) সম্প্রতি এইপরিসংখ্যান প্রকাশ করে।

পরিসংখ্যান অনুসারে, আলোচ্য সময়ে দেশটিতে সংখ্যার হিসাবে ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪৩৩ জোড়া জুতা রফতানি করেছে বাংলাদেশ। আর গতবছরের প্রথম ছয় মাসে রফতানি হয়েছিল ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৫৯৯ জোড়া জুতা। এর অর্থ, জুতা রপ্তানিতে এবার সংখ্যার হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৮ শতাংশ।

অটেক্সার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩২ কোটি ৫৪ লাখ জোড়া জুতা আমাদানি করে, যার বাজারমূল্য ১৩০৯ কোটি ডলার। এর মধ্যে অর্থ ও পরিমাণের দিক দিয়ে সবচেয' বেশি আমদানি হয়েছে চীন থেকে, ৮১৯ মার্কিন ডলার মূল্যের ১০২ কোটি জোড়া জুতা। অর্থের হিসাবেপরের পাঁচ অবস্থানে আছে যথাক্রমে ভিয়েতনাম, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকোও ভারত। সংখ্যার বিচারে চীনের পরে আছে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কম্বোডিয়া ও ইতালি।

ভারত বছরের প্রথমার্ধে ২০ কোটি ডলারের ১ কোটি ১৬লাখ জোড়া পাদুকা রপ্তানি করেছে। অর্থের হিসাবে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ শতাংশ। তার মানে রপ্তানি আয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রবৃদ্ধির বিচারের বাংলাদেশভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। অটেক্সার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাদুকা রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম।

অবশ্য শুধুযুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশের পাদুকা রপ্তানি বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮ কোটি ডলারের চামড়ার পাদুকা রপ্তানি করা হয়েছে। এই আয় তার আগের বারের চেয়ে ২৭.৮১ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া গত অর্থবছর ১৮ কোটিডলারের চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৪৩ শতাংশ।

৫.বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,১৬০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুলমাল আবদুল মুহিতের পক্ষে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

এ সম্পর্কে সংসদসদস্য নুরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে সংসদকে জানানো হয়, গত ৩০জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা।

এরআগে গত বছরের জুনে অর্থমন্ত্রী ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের হিসাব দিয়ে সংসদে বলেছিলেন, বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১২,৭০০ টাকা। এইহিসাবে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬০ টাকা।

অর্থমন্ত্রী দেওয়া তথ্যানুসারে, ১১টি উন্নয়ন সহযোগী ও দেশের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ২ হাজার ৩৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে। এ ছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে৬১ হাজার ৮৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, জাপান থেকে ১৯ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ এবংচীন থেকে ৭ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। বাকি ঋণ নেওয়া হয়েছে আইডিবি, ডেনমার্ক, ভারত, কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়া, ইফাদ ও অন্যান্য ঋণদাতার কাছথেকে।

৬.বিশেষ সুবিধায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ আর দেওয়া হবে না বলে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্সসভায় লিখিত বক্তব্যে গর্ভনর বলেন,বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং অর্থনীতি সচল রয়েছে।তাই বিশেষ বিবেচনায় ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ বন্ধ করার এখনই সময়। এখন থেকে ঋণ পুনঃতফসিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা স্বাভাবিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

এর আগে ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায়ও গভর্নর ঢালাওভাবে ঋণ পুনঃতফসিল কিংবা শর্ত সাপেক্ষে ঋণ পুনঃতফসিলের সিদ্ধান্ত না নিতে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসেবে ব্যাংকখাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের জুনশেষে ছিল ৫১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা।

1 2 3
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040