এর আগে, মিডিয়া গ্রুপ নামে একটি কোম্পানী পরিদর্শনে যাই। যে কোম্পানীটি মাত্র পাঁচ হাজার আরএমবি দিয়ে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছে কোম্পানীটি।
তাদের প্রাডাক্ট-এর মধ্যে রয়েছে, সব ধরনের ফ্রিস, রাইস কুকার, এসি, বাতাস দূষনমুক্ত এয়ার কুলারসহ নানা ধরনের বাড়ীতে ব্যবহারের সামগ্রী।
আস্তে আস্তে দিনের সকল কর্মসূচী শেষ হলো। যে যার মত তার দেশে চলে যাওয়ার জন্য এয়ারপোর্ট চলে গেলেন। আমি আর দু'জন মিয়ানমারের নাগরিক হোটেল ক্যান্টেনে ফিরে গেলাম। কারনে আমাদের ফ্লাইট পরের দিন অর্থাত্ ১লা মে।
এভাবে পাচঁদিন কাটল ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। তবে জানলাম অনেক কিছু, শিখতে চেষ্টা করলাম। একটা বিষয় না বললেই নয়, দেখে যা শেখা যায় পরে তা কখনো শেখা সম্ভব নয়। ছোট বেলায় একটা প্রবাদ পড়েছি-জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও।একথাটা আসলেই ঠিক।এখানে এসে একটা জিনিস মনে দাগ কাটল-চীনাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতি যে এত উন্নত এবং তারা যে ইতিহাস-ঐতিহ্যকে এমনভাবে লালন করে, তা না দেখলে বুঝতে পারতাম না। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করার মত-সেটা হলো তারা অতিথিদের সম্মানের সাথে দেখে এবং তারা অত্যন্ত অতিথি পরায়ন।যে অফিস বা স্থানে আমরা গেছি মনে হয়নি যে, আমরা কোন অপরিচিত জায়গায় এসেছি, মনে হয়েছে নিজেদের বাড়ীতে বা অফিসে আছি। সব কিছু অত্যন্ত পরিপাটি করে সাজানো যেন এই মাত্র গোছানো হয়েছে।
এই পাচঁ দিনে আমরা বিভিন্ন দেশের বিশেষ করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, ইন্দেনেশিয়া, সেনেগাল, ফ্রান্স, নেপালসহ চীনের ২০টি মিডিয়ার ৬০জন সাংবাদিক প্রতিনিধি বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। এর ফলে সামুদ্রিক রেশম সংলগ্ন দেশগুলো অর্থাত্ ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্য এশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সাথে চীনের গুয়ানজুর ব্যবসা-বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি এবং সামনের দিনগুলোতে এসব দেশগুলোর সাথে গুয়ানজুর সর্ম্পক আরো জোরদার হবে বলে আমি মনে করি।
গত পাঁচ দিনে সবার সাথে আলাপ পরিচয় এবং এক সাথে থাকার কারনে একটা মায়ার মন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্ত সময়ের প্রয়োজনে সবাইকে নিজ নিজ দেশে চলে যেতে হয়েছে। পিছনে পড়ে আছে এক টুকরো স্মৃতি। গুয়ানজুর স্মৃতি আমার হৃদয়ের ক্যানভাসে আজীবন ভাস্বর হয়ে থাকবে, কখনও ভুলতে পারব না।
সবশেষে চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল এবং গুয়ানজু তথ্য অফিসকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি- বাংলাদেশ বেতারকে এ ধরনের প্রোগ্রামে সুযোগ দেওয়ার জন্য।
মোঃ নূরুল ইসলাম
উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক
আঞ্চলিক বার্তা সংস্থা
বাংলাদেশ বেতার খুলন।