তৃতীয় দিনে সাংবাদিক প্রতিনিধি দল বেরিয়ে পড়েন তংগুয়ানের মিউনিসি পালিটির মেয়রের সাথে সাক্ষাত্ করতে। সেখানে মেয়র মিস্টার ইউয়ান বারো চেং-এর সাথে আমাদের একটা প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। তিনি দক্ষিণ এশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সাথে তাংগুয়ানের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাসহ তার এলাকার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সবাইকে ধারনা দেন।
তংগুয়ান ইয়োং কিয়াং ভেহিকেল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানীতে আছেন মো: নুরুল ইসলাম
পরে, আমরা তংগুয়ান ইয়োং কিয়াং ভেহিকেল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী পরিদর্শনে যাই। এ কোম্পানী মূলত ফায়ার সার্ভিস বিভাগের জন্য বিভিন্ন প্রকার অগ্নিনিরোধক গাড়ী, তেল ট্যাংকার ও দুর্যোগের সময় জানমাল রক্ষার জন্য বিশেষ ধরনের গাড়ী উত্পাদন করে থাকে। বিশেষ ধরনের গাড়ী সর্ম্পকে না বললেই নয়। এই গাড়ী জল, স্থল ও পাহাড়ে অবাধে চলাচল করতে পারে।
সাংবাদিক প্রতিনিধিদল পরবর্তীতে সংসান লেক রোবোটিক টেকনোলজি পার্ক-এ যান। এ পার্কটি মূলত রোবট তৈরী ও গবেষনাগার হিসেবে পরিচিত। কয়েকটি দেশ যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেছে।
হুয়ায়াং লেক
দিনের শেষে আমরা হুয়ায়াং লেক ওয়েটল্যান্ড ও ওয়াটার গ্রিণওয়েতে নৌকা ভ্রমনে যাই, যেটি প্রায় ২০ কিলোমিটার দুরত্ব। নৌকা ভ্রমনের সময় যে নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখে পড়ল, তা কখনো ভোলার নয়। নদীর দু'ধারে কচুরীপানাসহ বিভিন্ন জাতের ফুল ফটে শোভা বৃদ্ধি করছে।শেষ বিকেলে এ এক অপরুপ শোভা যা কেবল কল্পনায় অনুভব করা যায়।