চতুর্থ দিনে সকালে নাস্তা সেরে বেরিয়ে পড়লাম গুয়ানজু শিপ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী পরিদর্শন করতে। প্রথমে গেলাম তাদের কার্যালয়ে, যেখানে বিভিন্ন শিপের ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে জানতে পারলাম যে, এখানে বিভিন্ন প্রকার শিপ তৈরী করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে শিপ ভেসেল, কন্টেইনার ভেসেল, বাক শিপ, ক্যারিয়ার, ওআরই ক্যারিয়ার, ক্রড অয়েল ট্যাংকার, যাত্রী ও পণ্যবাহী শিপ, স্পেশালাইজড শিপ এমনকি হসপিটাল শিপসহ বন্দরের মালামাল উঠানামার যন্ত্রও এই কারখানায় তৈরী হয়। পরে, গাড়ীতে করে আমাদেরকে পুরো শিপ বিল্ডিং কারখানা ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সংবাদদাতারা
এখানে একটা বিষয় জানলাম, ১৯১৪ সালে প্রবাসী একজন চীনা নাগরীক থানলি থীন গুয়ানজুর নানসিথা নামক স্থানে শিপ কারখানা স্থাপন করেন। তবে ১৯৯৩ সালের সাতই জুন এটি গুয়ানজু শিপ নামে রুপান্তরিত হয়। এই শিপ কারখানা প্রথমই হংকং ও সাংহাই শেয়ার বাজারে তালিকা ভুক্ত হয়। এরপর আমরা নানশা পোর্ট পরিদর্শন করলাম এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হলাম। পোর্টের ফ্রি ট্রেড এরিয়ার ডেপুটি ডাইরেক্ট মিস্টার মাও হুয়া প্রেসব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন।বিকেলে,গুয়ানজু অটোমোবাইল গ্রুপ কোম্পানীর গাড়ী তৈরীর কারখানাতে যাই।
গাড়ী কারখানা যে এমন হতে পারে, এটা আমার জানা ছিল না এবং ধারনাও ছিলনা। এ কোম্পানী বিভিন্ন মডেলের গাড়ী তৈরী করছে-যেটা বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।
কারখানায় একটি বিষয় দেখে আমি অবাক হলাম, সেটা হলো গাড়ী ফিটিং হওয়ার পরে দুই থেকে তিন সপ্তাহ গাড়ীটি একটা উচু জায়গায় রেখে জার্কিং করতে হয়। এর ফলে গাড়ীর টেকসই ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দুর্ঘটনা রোধে সহায়ক হয়।
শেষ দিনে অর্থাত্ ৩০শে এপ্রিল আমরা সংবাদিক প্রতিনিধিদল সকালে নাস্তা সেরে বেরিয়ে পড়লেন শিডিউল অনুযায়ী গুয়ানজুর ফোশান সিটিতে।উদ্দেশ্য হল ফোশানের মেয়র সোং দে পিং-এর সাথে প্রেস কনফারেন্স অংশ নেয়া।
প্রেস কনফারেন্সে তিনি ফোশানের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে আমাদের ব্রিফ করেন এবং ভবিষ্যত্ ফোশান নগরী কেমন হবে, সে সর্ম্পকে ধারনা দেন।
পরে, আমরা ফোশানের জুমিয়াও মন্দির দেখতে যাই।
সবশেষে আমরা ফোশানের সিনো-ইউরো আরবানাইজেশন কোঅপারেশন ডেমোনস্ট্রেশন এরিয়া পরিদর্শন করি।
আমরা ওখানে যাওয়ার সাথে সাথে তারা একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেন। যাতে ভবিষত্ নগরী কেমন হবে, কী কী সুবিধা থাকবে ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে-যা দেখে আমার মনে হয়েছে যেন আমি স্বপ্নের জগতে আছি।