নভেম্বর ১৯: নিউজিল্যান্ড সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ (বুধবার) 'দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড' পত্রিকায় 'যৌথভাবে চীন-নিউজিল্যান্ড সম্পর্কের আরো সুন্দর ভবিষ্যত চিত্রিত করুন' শিরোনামে স্বাক্ষরযুক্ত প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর চীন-নিউজিল্যান্ড সম্পর্কের ঐতিহাসিক অগ্রগতি হয়েছে। দু'দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতায় অভূতপূর্ব ব্যাপকতা ও গভীরতায় পৌঁছেছে। দেশ দু'টির মধ্যে অনেক 'প্রথম' সৃষ্টি হয়েছে। চীন হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং প্রথম বিদেশি ছাত্রছাত্রীর উত্স দেশ। নিউজিল্যান্ড চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অবাধ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকরকারী প্রথম শিল্পোন্নত দেশ বলে প্রবন্ধে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়, চীন ও নিউজিল্যান্ডের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়া থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, পারস্পরিক সম্মান ও সমতা হচ্ছে দু'দেশের সম্পর্কের সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়নের মজবুত ভিত্তি। পরস্পরকে প্রাধান্য দেয়া, পারস্পরিক উপকারিতা আর উভয়ের কল্যাণ সৃষ্টি করা হচ্ছে দু'দেশের বাস্তব সহযোগিতা দ্রুত সম্প্রসারণের প্রবল চালিকাশক্তি।
প্রবন্ধে আরো বলা হয়, চীনা জনগণ চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণের চীনা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য পরিশ্রম করছেন। নিউজিল্যান্ডও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শক্তি উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। চীন ও নিউজিল্যান্ডের স্বার্থের অনেক মিল রয়েছে। যদি আমাদের উন্নয়নের কৌশল ফলপ্রসূভাবে যুক্ত করতে পারি, তাহলে দু'পক্ষ সর্বক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করার দুর্লভ সুযোগ পাবে এবং এর ভবিষ্যত সম্ভাবনা হবে বিস্তীর্ণ ।
প্রবন্ধে সি চিন পিং বলেন, আরো ভালোভাবে নিজের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের দু'দেশের উচিত হাতে হাত রেখে যৌথভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তোলা। (ইয়ু/টুটুল)
| ||||