'জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট' চলচ্চিত্রে থাং রাজবংশের সুয়েন চাং সন্ন্যাসীর পশ্চিম দিকে, অর্থাত্ প্রাচীন ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের ধারণা অনুসন্ধান করতে সাহায্য করে মাংকি কিং। অবশেষে এই মাংকি কিং একজন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীতে পরিণত হয়।
হিন্দুধর্মে মাংকি গড নামে এক দেবতা আছে, নাম হনুমান। থাং রাজবংশের সুয়েন চাং সন্ন্যাসী ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি, পৌরাণিক কাহিনী ও ইতিহাসসহ বিভিন্ন তথ্যও চীনে বয়ে আনেন। পাঁচ শ' বছরেরও বেশি সময় আগে লেখক উ ছেং এন মাংকি কিং সম্পর্কিত লোককাহিনীর ভিত্তিতে 'জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট' নামে একটি উপন্যাস রচনা করেন।
'জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট' উপন্যাসে হনুমানের তুলনায় মাংকি কিং একটু ভিন্ন, এটি হলো চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি মাংকি। লিউ সিও লিং থোংয়ের চোখে মাংকি কিং এবং হনুমান ভাইয়ের মতো।
শাংহাই লিউ সিও লিং থোং আর্ট মিউজিয়ামে নানা ধরনের এবং নানা দৃষ্টিভঙ্গির হনুমানের ভাবমূর্তি প্রদর্শিত হয়। লিউ সিও লিং থোংয়ের বন্ধুরা এসব হস্তশিল্পজাত দ্রব্য নেপাল থেকে ক্রয় করেন। তিনি বলেন, 'আমার এই আর্ট মিউজিয়ামে মাংকি কিং এবং হনুমান একসাথে প্রদর্শিত হয়। এখানে চীন ও নেপালের জনগণের মৈত্রী তুলে ধরতে চাই আমি। নেপাল খুব একটি ধনী দেশ নয়। তার অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পর্যটন ও সাংস্কৃতিক শিল্প উন্নয়ন করা। নেপালের বৈশিষ্ট্য অপরিহার্য'।
বর্তমান নেপাল প্রসঙ্গে অধিকাংশ চীনাদের ধারণা হলো শাক্যমুনির জন্মস্থান এবং তুষার পাহাড়ের দৃশ্য প্রভৃতি। নেপালের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জনগণের জীবন সম্পর্কে চীনাদের জানাশোনা অনেক সীমিত। লিউ সিও লিং থোং বিনাশর্তে চীন ও নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগের দূত হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি দু'টি গঠনমূলক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। একটা হলো নিজের অভিনেতার পরিচয়ের মাধ্যমে চীনে নেপালের সম্প্রচার ব্যবস্থা করা এবং আরেকটি হলো মাংকি কিং ও হনুমানসহ পৌরাণিক কাহিনীর চরিত্রের মাধ্যমে দু'দেশের জনগণের পারস্পরিক সমঝোতা ও আদানপ্রদান জোরদার করা। তিনি বলেন,