লিউ সিও লিং থোং বরাবরই চীনে নিযুক্ত নেপালের দূতাবাসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় ও মৈত্রী বজায় রেখেছেন। আর তাদের এই মৈত্রী বৌদ্ধ ধর্মের কারণেই সৃষ্টি হয়।
২০০৭ সালে চীনের সি আন শহরে বৌদ্ধ ধর্মের একটি কার্যক্রমে লিউ সিও লিং থোং সেসময়ে চীনে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত মাহেশ কুমার মাস্কির সঙ্গে দেখা করেন। বৌদ্ধ ধর্মের নানান সাংস্কৃতিক দিক নিয়ে তাঁরা প্রাণবন্তভাবে আলাপ আলোচনা করেন। পরে অব্যাহত যোগাযোগের কারণে তাঁদের দু'জনের মৈত্রী আরো গভীর হয়। ২০০৯ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকালে লিউ সিও লিং থোং আমন্ত্রিত হয়ে দূতাবাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
চীনে নিযুক্ত নেপালের বর্তমান রাষ্ট্রদূত তানকা প্রাসাদ কার্কিও লিউ সিও লিং থোংকে খুব পছন্দ করেন। তিনি লিউ সিও লিং থোংকে বলেন, নেপাল এখন সক্রিয়ভাবে 'জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট' টিভি সিরিজ চীনা ভাষা থেকে নেপালি ভাষায় অনুবাদের চেষ্টা করছে। যখন এই টিভি সিরিজ নেপালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারিত হবে তখন লিউ সিও লিং থোং নেপাল সফর করবেন এবং স্থানীয় শিল্পী ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে সরাসরি সংলাপ করবেন বলে তিনি আশাবাদী।
'জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট' শিরোনামে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত থ্রি-ডি চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে লিউ সিও লিং থোং অভিনয় করবেন। এ চলচ্চিত্রের ওপর নেপালের রাষ্ট্রদূতও সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা জানান। সারা বিশ্বের আরো বেশি লোক এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। চীনে নিযুক্ত নেপালের দূতাবাসের দীর্ঘদিনের মৈত্রী প্রসঙ্গে লিউ সিও লিং থোং বলেন, 'চীনে নিযুক্ত নেপালের দূতাবাস খুব বড় নয় এবং সেখানকার সাজসজ্জাও বিলাসী নয়। তবে সবজায়গা ঐতিহ্যবাহী জাতীয় সংস্কৃতির আকর্ষণীয় শক্তিতে পরিপূর্ণ। দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় তাঁদের মুখ থেকে আমাদের চীনাদের প্রতি নেপালি জনগণের বন্ধুত্ব এবং সম্মান প্রদর্শন দেখা যায়'।