0918xispeech.m4a
|
সেপ্টেম্বর ১৮: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ (বৃহস্পতিবার) নয়াদিল্লীতে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, চীন ও ভারতের আরো ঘনিষ্ঠ উন্নয়নের অংশীদার, বৃহত নেতৃত্ব প্রদানের সহযোগিতার অংশীদার এবং কৌশলগত সমন্বয়ের বৈশ্বিক অংশীদার হওয়া উচিত। তিনি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সুবিধাজনক কিছু নির্দিষ্ট নীতি ঘোষণা করেন।
সি চিন পিং বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে চীন ও ভারতের সবচেয়ে বড় অভিন্ন কৌশলগত লক্ষ্য। চীনকে 'বিশ্ব কারখানা' বলা হয়। ভারতকে 'বিশ্ব কার্যালয়' বলা হয়। চীনের পশ্চিম মুখী এবং ভারতের পূর্ব মুখী নীতির সংযুক্ত বাস্তবায়ন করা এবং বিনিয়োগ ও অর্থসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা দরকার।
সি চিন পিং বলেন, চীন ও ভারতের উচিত এ অঞ্চলের উন্নয়নের সবচেয়ে দ্রুত গাড়িতে পরিণত হওয়া, এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের অভিন্ন উন্নয়ন বয়ে আনা, সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আঞ্চলিক অর্থনীতির একত্রীকরণ করা, বাংলাদেশ-চীন-ভারত ও মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণকাজ দ্রুত করা, এ অঞ্চলের সার্বিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আলোচনা যথা শিগগিরি সম্পন্ন করা, একসাথে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্মুক্ত, নির্মল, সমান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নিরাপত্তা ও সহযোগিতার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।
চীনের দক্ষিণ এশিয়া নীতি প্রসঙ্গে সি চিন পিং বলেন, চীন দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে হাতে হাত রেখে পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সুবিধাজনক ঋণ দেবে। পরবর্তী পাঁচ বছর চীন দক্ষিণ এশিয়াকে দশ হাজার বৃত্তি প্রদান করবে, পাঁচ হাজার প্রশিক্ষণের সুযোগ দেবে, পাঁচ হাজার যুবককে বিনিময় ও প্রশিক্ষণের সুযোগ দেবে, পাঁচ হাজার চীনা ভাষার শিক্ষক প্রশিক্ষণ দেবে। চীন দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে চীন-দক্ষিণ এশিয়ার প্রযুক্তি সহযোগিতার অংশীদার পরিকল্পনা কার্যকর করবে, চীন-দক্ষিণ এশিয়া মেলার ভূমিকা পালন করবে, পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতার নতুন প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করবে। (ইয়ু/টুটুল)
| ||||