সেপ্টেম্বর ১৭: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ভারত সফর উপলক্ষে আজ (বুধবার) সেদেশের 'দ্য হিন্দু' এবং 'ডেইলি জাগরণ' পত্রিকায় 'হাতে হাত রেখে সমৃদ্ধ ও পুনরুদ্ধার এশিয়ার শতাব্দী সৃষ্টি করুন' শিরোনামে স্বাক্ষরযুক্ত প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, চীন ও ভারতের উচিত দু'দেশের উন্নয়নের কৌশলকে আরো ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করে হাতে হাত রেখে অভিন্ন শক্তিশালী দেশ ও ধনী জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালানো।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এখন নবোদিত বাজার, উন্নয়নশীল বড় দেশ, এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা, বিশ্বের দ্বিতীয় সফ্টওয়্যার রপ্তানিকারক দেশ এবং কৃষি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে ভারত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক মঞ্চে ভারত দিন দিন আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নতুন শতাব্দীতে প্রবেশের পর চীন-ভারত সম্পর্কের লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। চীন ও ভারতের সম্পর্ক একবিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে প্রাণশক্তি ও সুপ্ত শক্তির অধিকারী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম একটিতে পরিণত হয়েছে। এখন চীন ও ভারত উভয়ই সংস্কার ও উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ যুগে রয়েছে।
প্রবন্ধে আরো বলা হয়েছে, এশিয়ার অর্থনীতির দুটি বড় ইঞ্জিন হিসেবে চীন ও ভারতের উচিত প্রবৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেয়ার সহযোগিতামূলক অংশীদার হওয়া, একসাথে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণকাজ অগ্রসর করা, রেশমপথ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা, এশিয়ার অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব প্রদান করা।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, "মি. তেং সিয়াও পিং বলেছিলেন, "চীন, ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশি রাষ্ট্র উন্নয়নের পরই কেবল সত্যিকার 'এশিয়ার শতাব্দী' আসবে।"
প্রবন্ধে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, আমরা যুগের দেয়া কর্তব্য বহন করছি। আমি প্রত্যাশা করি, এ সফরকালে ভারতের নেতাদের সঙ্গে চীন ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে গভীরভাবে মত বিনিময় করবো, চীন ও ভারতের শান্তি ও সমৃদ্ধ মুখী কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্কের জন্য নতুন চালিকাশক্তি যোগাবো।" (ইয়ু/টুটুল)
| ||||