

শহরের একটু দূরেই তৈরি হয়েছে কিছু আধুনিক গ্রাম যেখানে আপনি স্থানীয় খাবারের সাথে পাবেন সামুদ্রিক খাবার। আবার সমুদ্র স্নানের পাশাপাশি আছে পাবলিক স্নান ঘর যা অনেকটা স্পা'র মতো। এই পাবলিক স্নান ঘরের পানিতে আছে নানা ধরনের বিশেষ খনিজ লবন ও কিছু বিশেষ উপাদান যা সব ক্লান্তি দূর করে দিয়ে মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি এনে দেয়। এছাড়া এখানে আছে মিউজিকের তালে তালে বলরুমে নাচার ব্যবস্থাও। এছাড়া স্পীড বোটে চড়া, প্যারা সেইলিং প্রভৃতি সুযোগ সুবিধা তো আছেই। শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে থাকতে চাইলে এই আধুনিক গ্রামগুলো আপনার জন্য খুব ভাল জায়গা।
এটা মনে করার কারণ নেই এখানে সমুদ্র ছাড়া আর কিছু দেখার নেই। আপনি চাইলে চলে যেতে পারেন টাইগার রক পার্কে। প্রায় ৩৩০০০ স্কয়ার মিটার জায়গা জুড়ে এখানকার বিশাল বিশাল পাথর গুলো দেখতে অনেকটা বাঘের মত তাই পার্কের নাম টাইগার রক। এই পাথরের উপর দাঁড়ালে সামনের দিক থেকে আসা সমুদ্রের বাতাস আপনাকে এক অনাবিল প্রশান্তিময় অনুভূতি দেবে। আপনাদের যাদের ফটোগ্রাফির শখ আছে তাদের জন্য খুব ভাল জায়গা এই টাইগার রক পার্ক।
লিয়ানফং হিল পার্কঃ
গরম থেকে রক্ষা পাবার জন্য ১৮৯৮ সালে ছিং সরকার পাহাড়ের উপর পাইন গাছ আচ্ছাদিত এই ছোট পার্কটি তৈরি করেছিল। পাহাড়ের উপর রয়েছে পদ্ম ফুল আকৃতির বিশাল বিশাল পাথর। এই পার্কের ২টি চূড়া; একটি পূর্ব অন্যটি পশ্চিম চূড়া। নির্ধারিত পথ দিয়ে হাঁটলে আপনি পাহাড়ের সমুদ্রমুখী প্যাভিলিয়ানে পৌঁছাবেন। এখান থেকে সমুদ্র সহ পুরো পেই তায় হ শহরের অসাধারন দৃশ্য আপনাকে মোহিত করবে। এছাড়া এখান থেকে আপনি ছিন হুয়াং তাও বন্দর সহ উত্তর-পশ্চিম দিকের ট্যাবলেট হিল ও দেখতে পাবেন, যা খুবই সুন্দর।
এছাড়া আপনাদের হাতে সময় থাকলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন 'সান হাই কুয়ান' প্রাচীন শহর থেকে। পেই তায় হ থেকে পাবলিক বাসে চড়ে মাত্র এক ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারেন এখানে। এখানে আছে মিং ডাইন্যাস্টিতে নির্মিত ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চীনের মহাপ্রাচির। আগে ধারণা করা হতো, এই সানহাই পাসই হচ্ছে চীনের উত্তরে নির্মিত মহাপ্রাচিরের উত্পত্তি স্থল। এখানে আসলে সবচেয়ে অসাধারণ যে ব্যাপারটি আপনারা দেখতে পাবেন তা হচ্ছে চীনের মহাপ্রাচিরের সমুদ্রে প্রবেশ! হ্যাঁ বন্ধুরা, খুব অবাক হচ্ছেন তাইনা! আমিও ভীষণ অবাক হয়েছিলাম দেখে। এখানে চীনের মহাপ্রাচিরের কিছুটা অংশ সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। শুধুমাত্র মহা প্রাচীরের এই অংশটি দেখতে দেশী বিদেশী অনেক পর্যটক ভিড় করেন এখানে। এখানে বেড়াতে আসলে আপনি প্রাচীন চীনের শক্তিশালী সামরিক ব্যবস্থা ও দেশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
এছাড়া এখানে আছে 'সমুদ্র তলদেশের পৃথিবী'' সম্পর্কিত এ্যকুয়ারিয়াম। এখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেখে আসতে পারেন সমুদ্র তলদেশের রহস্যময় ও রোমাঞ্চকর পৃথিবী।

| ||||



