

বেই তায় হকে বলা হয় পাখি দর্শনের স্বর্গ। প্রচুর গাছপালা থাকার কারণে শত শত প্রজাতির পাখির কোলাহল এই শহরকে মাতিয়ে রাখে। শুধু পাখি দেখতে এবং পাখি নিয়ে গবেষণার জন্য এখানে প্রতি বছর অনেক পর্যটক আসেন। তবে বছরে দুটি ঋতু পাখি দেখার জন্য আদর্শ। এক, মার্চের শুরু থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত এবং সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাই আমাদের পাখি প্রেমি পর্যটকরা ঘুরে যেতে পারেন এখান থেকে।
অনেক আগে থেকেই বেই তায় হতে চীন কমিউনিস্ট পার্টির অনেক অনুষ্ঠান আয়োজিত হত। রাজধানী থেকে কাছে অবস্থিত হওয়ার কারণে এবং জুলাই মাসের প্রচণ্ড গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পার্টির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এখানে অবকাশ যাপনের জন্য আসতেন এবং এখানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। তবে ২০০৪ সালে চীনের তত্কালীন রাষ্ট্রপতি হু জিন থাও এর এক নির্বাহী আদেশে এ ধরনের আয়োজন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এই এলাকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
বন্ধুরা, এই শহরে আপনি দেখতে পাবেন ইউরোপীয় ধাঁচের রাস্তা ঘাট এবং দালানকোঠা। রাস্তায় বের হলে দেখবেন রুশ ভাষায় অনেক সাইনবোর্ড এমনকি দিকনির্দেশনা লেখা আছে। তাই হঠাত্ হঠাত্ আপনি ইউরোপে আছেন বলে মনে হতে পারে। এখানে অনেক ইউরোপীয় পর্যটক আসেন তবে এদের মাঝে বেশিরভাগই হচ্ছে রুশ পর্যটক। আর এখানে বেড়াতে এসে একটা ব্যাপার আমার খুবই ভালো লেগেছিল, তা হচ্ছে ৩ চাকা বা চার চাকার সাইকেল। এই সাইকেলগুলো একসাথে ৩ জন বা চারজন প্যাডেল করতে পারে। খুবই মজার তাই না বন্ধুরা! আর ইউরোপিয়ান ধাঁচের শহরের উঁচু নিচু রাস্তায় আর সমুদ্রের তীর ঘেঁষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সাইকেল চালানো সত্যি খুব আনন্দদায়ক। আমাদের শ্রোতারা যারা বেই তায় হতে থাকতে চান তাদের জানিয়ে রাখছি এখানকার অনেক হোটেলই বিদেশি পর্যটক রাখতে পারে না তাই আসার আগে ভালভাবে জেনে নেবেন যেই হোটেলে আপনি থাকবেন সেই হোটেল আপনাকে রাখতে পারবে কি না ।
সামুদ্রিক খাবার খেতে যারা ভালবাসেন তাদের জন্য বেই তায় হ খুব চমত্কার জায়গা। এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোতে আপনি পাবেন নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি সহ প্রায় সব ধরনের সামুদ্রিক খাবার যা আপনার রসনাকে পরিতৃপ্ত করবে। আর আছে প্রচুর রাশান রেস্তরাঁ। তাই এখানে আপনি নানা ধরণের রাশান খাবারের স্বাদও নিতে পারেন।

| ||||



