Web bengali.cri.cn   
বসন্তকালে পেইচিংয়ের উপকন্ঠ এলাকায় বেড়াতে যাওয়া
  2013-03-06 15:09:17  cri

আলিম: প্রাকৃতিক চিকিত্সা-পদ্ধতি। ভালো বলেছেন। উষ্ণ প্রস্রবণের পানির মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন খনিজ উপাদান মানুষের চামড়ার জন্যও উপকারী। এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কেউ কেউ সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার উষ্ণ প্রস্রবণে গা ভেজাতে আসেন। তারা মনে করেন, এতে শরীর স্লিম হবে; চামড়া আরও নরম ও ফর্সা হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ আছে তাদের উষ্ণ প্রস্রবণে বেশি সময় না-থাকাই ভালো। তারা প্রতিবারে মিনিট বিশেক সময় কাটাতে পারেন। এ ছাড়া, তাদের উচিত প্রস্রবণ থেকে চট করে উঠে না-দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে উঠে আসা। হঠাত উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

সুবর্ণা: হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। এখানে তাদের আরেকটি টিপস মনে রাখতে অনুরোধ করবো: উষ্ণ প্রস্রবণের পুলে নেমে শরীর বুকের একটু নীচ পর্যন্ত ভেজানো ভালো। এতে হার্টের ওপর চাপ কম পড়বে। এ ছাড়া, সাধারণত পুলগুলো পানির তাপমাত্রাভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। অর্থাত কোনো এলাকার পানির তাপমাত্রা একটু কম, কোনো এলাকার বেশি। ভালো হয়, যদি কম গরম পানিতে গা ভেজানোর কাজটি আগে করেন। তারপর একটু বেশি গরম পানিতে নামতে পারেন। এভাবে করলে আপনাদের শরীর পানির উষ্ণতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। এতে আরাম বোধ করবেন। হঠাত করে বেশি গরম পানিতে নেমে পড়লে হীতে বিপরীত হতে পারে। উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে উঠে আসার পর খানিকটা পানি পান করুন। কারণ, প্রস্রবণে নামলে আপনার শরীর থেকে ঘাম আকারে পানি বের হয়ে যাবে। তখন শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে খানিকটা পানি পান করা উত্তম। এটা স্বাস্থ্যকরও বটে।

আলিম: আরেকটি কথা। ভরা পেটে বা একদম খালি পেটে উষ্ণ প্রস্রবণে না-নামাই ভালো। তাতে আপনি অসুস্থ বোধ করতে পারেন। প্রস্রবণে নামার আগে হালকা খাবার খেয়ে নেয়া ভালো। শ্রোতাবন্ধুরা, উপদেশ শুনতে শুনতে কি ক্লান্ত হয়ে গেছেন? আপনাদের ক্লান্তি দূর করার জন্য চলুন শোনা যাক একটি গান। এ-গানও অবশ্য সেই 'উষ্ণ প্রস্রবণ' নিয়েই লেখা। গানটি গেয়েছেন চীনের তাইওয়ান প্রদেশের শিল্পী হৌ সিয়াং থিং। গানের কথাগুলো মোটামুটি এমন: যখন তোমাকে জড়িয়ে ধরি; শিহরিত হই আমি/ যাবে তুমি বহু দূরে/ শীতকাল দ্রুত কেটে গেছে; তোমার বিদায়ক্ষণের জন্য থেমে নেই সে/ রূপকথা শুধু ক্ষণিকের গল্প/ তবে কয়েক বছর পর বুঝতে পারি/ প্রেম সেতো চিরদিনের কথা/ তারার আলোতে উষ্ণ প্রস্রবণ, মেঘ ও ধোয়ার মতো/ বিদায় নিয়েছো তুমি; অনুভব করি তোমার অভাব...

সুবর্ণা: সুন্দর গানটি শোনার পর এখন ছাংপিং এলাকার আরেকটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণের সাথে শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। শীতকাল থেকে বসন্তকাল পর্যন্ত এখানে বসে 'স্ট্রবেরি মেলা'। এ-মেলা প্রতি চার বছর পর পর একবার আয়োজিত হয়। একে অনেকে 'স্ট্রবেরি অলিম্পিক গেমস' বলে ডাকেন। কেন এ-মেলা ছাংপিংয়ে আয়োজিত হয়? কারণ, ২০০৬ সাল থেকে ছাংপিং এলাকার সিংশৌ অঞ্চলে স্ট্রবেরি বাগান গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাছাই করা সবচে ভালো স্ট্রবেরির বীজ নিয়ে এ-অঞ্চলের বিভিন্ন বাগানে চাষ করা হয়। ফলে সেসব বাগানে বড় আকারের মিষ্টি স্ট্রবেরি উত্পন্ন হয়। উত্পাদিত এসব স্ট্রবেরি ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকে গাড়ি চালিয়ে স্ট্রবেরি বাগানে এসে নিজের হাতে গাছ থেকে স্ট্রবেরি সংগ্রহ করেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাগানে এসে নিজ হাতে স্ট্রবেরি ফল সংগ্রহ করা একটি বেশ মজার অভিজ্ঞতা। সরাসরি বাগান থেকে সংগ্রহ করা এসব ফল অবশ্যই বাজার বা সুপার মার্কেট থেকে কেনা ফলের তুলনায় বেশি টাটকা ও সুস্বাদু। তবে এ-ফলের দামও বাজারের তুলনায় একটু দামী; এক কেজি প্রায় ৫০ ইউয়ান।


1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক