Web bengali.cri.cn   
অর্থনৈতিক সংবাদ ---২০১৫/৫/২৫
  2015-05-25 17:57:03  cri

১.বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলকোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করবে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ঢাকা সফরের সময় আগামী ৬ জুন এ ব্যাপারে দু'দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন। চুক্তিটি হবে ভারত সঞ্চারনিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল)মধ্যে।

চুক্তি অনুযায়ী ১০ জিবিপিএস (গিগাবাইটপার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিজে ভারতে সরবরাহ করা হবে। এতে বাংলাদেশ বছরে ১২ লাখ মার্কিন ডলার করে পাবে।চুক্তির মেয়াদ হবে তিন বছর। এতে ভারতের চাহিদা অনুযায়ী ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির পরিমাণ ৪০ জিপিবিএস পর্যন্ত করার সুযোগ রাখা হবে।

বাংলাদেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবল সি-মি-ইউ-৪এর কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে আখাউড়া ও আগরতলা দিয়ে এ ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি হবে।বর্তমানে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ড উইডথসহ সাবমেরিন কেবলে (সি-মি-ইউ-৪)সংযুক্ত আছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে প্রায় ৩০ জিবিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে। অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে ১৭০ জিবিপিএস।

আগামী বছর ডিসেম্বরে একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ বা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হবে বাংলাদেশ। এর ফলে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ যুক্ত হবে বাংলাদেশে।

গত ২০ এপ্রিল বাংলাদেশের সাবমেরিন কেবলের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ ভারতে রপ্তানির চুক্তিতে সায় দেয় মন্ত্রিসভা।

২.সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-র ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণের মতো অবকাঠামো খাত, মনোরেল, বিদ্যুত্ কেন্দ্রসহ অন্যান্য খাতে এ দেশে মার্কিন বিনিয়োগে উভয় দেশের মুনাফার সুযোগ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত 'বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্ব'শীর্ষক একক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগে বিদ্যমান সমস্যা দূর করে আকর্ষণীয় পরিবেশ নিশ্চিত করবে সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের ৮০ শতাংশই জ্বালানি এবং বিদ্যুত্খাতে। এ ছাড়া ব্যাংক-বীমাসহ আর্থিক খাতেও কিছু বিনিয়োগ রয়েছে তাদের। এ রকম অনেক খাত রয়েছে যেখানে মার্কিন ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধি অনুযায়ী সব স্বল্পোন্নত দেশের যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ারকথা। আফ্রিকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রে এসুবিধা ভোগ করছে। অথচ বাংলাদেশকে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সব পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানির সুযোগ এবং জনশক্তি রফতানিতে সুবিধা আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

৩.ঢাকা ও চট্টগ্রামের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ১৪৮ কোটি ৬০ লাখ ইয়েন (প্রায় ৯৭ কোটি টাকা) অনুদান দেবে জাপান।এ বিষয়ে গত বুধবার বাংলাদেশ সরকার ও জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট এবং অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

শেরে বাংলা নগর স্থই আরডি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু তাহের বিনিময় নোট এবং অনুদান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অন্য দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের শাজে ডেফেয়ারস্ তাকিশিমাটসুনাগা বিনিময় নোট এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাইকার প্রধান প্রতিনিধি মিকিওহাতেদা অনুদান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ অনুদান সহায়তার মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে পরিবেশ সম্মতভাবে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ১৫০টি কম্প্যাক্টর, কন্টেইনার ক্যারিয়ার ও ডাম্প ট্রাক ক্রয় করা হবে। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে।

৪. ২০১৬ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে ভারত ছাড়িয়ে যাবে চীনকে। গত ২০ মে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক রিপোর্টে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের 'বিশ্ব অর্থনেতিক পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা' শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ সালে ভারতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৭.৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে যথাক্রমে ৭ ও ৬.৮ শতাংশ।

৫.আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। ২০১৪ সালে বেকার মানুষের সংখ্যা ২০ কোটি ১০ লাখেপৌঁছায়, যা ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দা শুরুর সময়ের তুলনায় ৩ কোটি বেশি। এ ছাড়া, বিশ্বের কর্মক্ষম মানুষের ৭৫ শতাংশের কোনো স্থায়ী চাকরিনেই। 'বিশ্ব কর্মসংস্থান ও সামাজিক পরিস্থিতি' সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি আইএলও এসব তথ্য তুলে ধরে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অধিকাংশ শ্রমিক চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। ৯০টি দেশের শ্রমিকদের ওপর জরিপ চালিয়ে আইএলও এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। বৈশ্বিক কর্মশক্তির প্রায় ৮৪ শতাংশ এ দেশগুলোতে বাস করেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থায়ী চাকরি ও যথাযথ মজুরির অভাবে মানুষের আয় তুলনামূলক না-বাড়ায় প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে। আয় না-বাড়ায় শ্রমিকদের বার্ষিক সামষ্টিক চাহিদা ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে গেছে। এতে বিশ্বব্যাপী শিল্প, বিনিয়োগ ওসরকারের রাজস্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040