|
0421minyue
|
বন্ধুরা, চীনা ভাষায় বাঁশিকে বলা হয় তি জি। বাঁশির সুর বড় শ্রুতিমধুর। এ সুর হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। কি এক অদ্ভূত ভাবের জন্ম দেয় মনে-প্রাণে। বাঁশির সঙ্গে জড়িয়ে আছে চীনের গ্রামাঞ্চলের জীবন ও প্রকৃতি। আগেকার দিনে গ্রামাঞ্চলে পশুপালক শিশুরা বাঁশি দিয়ে গরু-ছাগলের ডাক দিত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুনুন 'মু তি' সুরটি। অর্থাত পশুপালকদের বাজানো বাঁশির সুরটি আপনাদের শোনাচ্ছি। (রি ১)
বন্ধুরা, বাঁশি-তি জি, চীনের ঐতিহ্যবাহী এবং জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে অন্যতম। চীনে বাঁশি'র ইতিহাস প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের।
এবার শুনুন বাঁশি দিয়ে বাজানো পুরানো একটি সুর 'মেই হুয়া সান নোং'। (রি ২)
বন্ধুরা, ইতিহাস বলে, দশম শতাব্দিতে সুং রাজবংশে কবিতা আর ইউয়ান রাজবংশে সংগীতের উদ্ভবের সংগে সংগে বাঁশি কবিতা আবৃত্তি এবং গান করার জন্যে একটি প্রধাণ বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়। বেড়ে যায় বাঁশির ব্যবহার। স্থানীয় অপেরা আর সংখ্যালঘু জাতির অপেরার বাদ্যযন্ত্র দলেও বাঁশি অনিবার্য্য বাদ্যযন্ত্র হয়ে দাঁড়ায়।
এবার শুনুন আরেকটি সুর 'আর ছুন তাও শিয়াং চিয়া'। (রি ৩)
শ্রোতা বন্ধুরা, বাঁশির প্রকাশ-শক্তি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তা দিয়ে যেমন দীর্ঘ আর উচ্চ সুর বাজানো যায়, তেমনি প্রশান্ত সুরও বাজানো যায়। শুনুন বাঁশি দিয়ে বাজানো আরেকটি পুরানো সুর 'ছুন চিয়াং হুয়া ইয়ুয়ে ইয়ে'। (রি ৪)
এবার শুনুন বাঁশি দিয়ে বাজানো 'কু সু শিং' সুরটি। (রি ৫) কেমন লাগলো সুরটি। সুরের মূচ্ছনায় প্রাণ জুড়িয়ে গেলো না?
প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, সব শেষে শুনুন 'হুয়ান ল্য ক্য' সুরটি। আশা করছি আপনাদের মন মুগ্ধতায় ভরে উঠবে। (রি ৬)
সুপ্রিয় শ্রোতা, আজ বিদায় নিতে হচ্ছে। আজকের সুরের ধারা অনুষ্ঠান এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে। সবাই ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন। চাই চিয়েন। (স্বর্ণা/মান্না)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |