|
এ ঘটনায় সঞ্জয় খুব রাগ হয়ে কল্পনার কাছে জিজ্ঞাস করতে চান। একদিন রাস্তায় সঞ্জয় দেখতে পান যে, একটি মেয়ে প্রতিবন্ধী ছাত্রীদেরকে রাস্তা পারাপারে সাহায্য করছেন। তারপর তিনি জানতে পারেন, কল্পনাই সেই মেয়ে যিনি প্রতিবন্ধী ছাত্রীদেরকে রাস্তা পারাপারে সাহায্য করেছিলেন।
কল্পনার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সঞ্জয় নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তিনি কল্পনার বলা মিথ্যা গল্প আর উন্মোচন করতে চান না।
তারপর কল্পনা এবং সঞ্জয়ের মধ্যে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এভাবে পার হয়ে যায় একটি বছর। সঞ্জয় কল্পনার কাছে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেন এবং তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব করেন। কল্পনা চিন্তা করার পর পরের দিন সঞ্জয়ের প্রস্তাবে রাজি হন।
তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মতো সময় অতিবাহিত করতে থাকেন। এসময় সঞ্জয় বার বার নিজের আসল পরিচয় কল্পনার সামনে তুলে ধরতে চান, তবে সুযোগ পান না। একসময় ব্যবসার কারণে লন্ডন যান সঞ্জয় এবং কল্পনা একটি বিজ্ঞাপনের কাজে গোয়া রাজ্যে চলে যান।
কল্পনা যখন গোয়ায় যাচ্ছিলেন তখন তিনি ট্রেনে একদল পাচারকারীদের দেখতে পান যারা ২৫ জন মেয়েকে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। কল্পনার সাহায্যে ২৫ জন মেয়ে উদ্ধার পান।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |