১৯০৯ সালে ইরাকে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হতে শুরু করে। আর ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাগদাদ চলচ্চিত্র লিমিটেড কোম্পানি। তবে অর্থ ও সরঞ্জামের অভাব এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে এই কোম্পানি কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করে নি। ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত মিশরের দু'জন চলচ্চিত্র পরিচালক ইরাকের অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়োগ করে দু'টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তখন থেকে ইরাকের চলচ্চিত্রের ইতিহাস শুরু হয়।
১৯৪৮ সালে বাগদাদ ফিল্ম স্টুডিও প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই স্টুডিও মিশর, ফ্রান্স ও তুরস্কসহ অন্যান্য দেশ থেকে চলচ্চিত্র সম্পর্কিত কর্মীদেরকে নিয়োগ করে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। ১৯৫৩ সালে ইলিয়াস আলী নাসের নামের এক ব্যক্তি জাতীয় চলচ্চিত্র শিল্প উন্নয়নের চেষ্টা করতে শুরু করেন এবং তাঁর উদ্যোগে একটি শৈল্পিক কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৬০ থেকে ৭০ দশকের মধ্যে বাণিজ্যিক ফিল্মের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রক্রিয়ায় ইরাকের চলচ্চিত্রাঙ্গনে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র দারুণ সফলতা লাভ করে। ৭০ দশকের শেষ দিকে ইরাকে প্রতি বছর ৩০টি তথ্যচিত্র এবং ৩ বা ৪টি ফিচার ফিল্ম নির্মাণ করা হয়।
১৯৬০ সালের আগে ইরাকে ফিচার ফিল্মের নির্মাণ ব্যক্তিগত কোম্পানির উদ্যোগে সম্পন্ন করা হতো। ১৯৫৯ সালে সরকারি 'ফিল্ম ও নাটকের সাধারণ সংস্থা' প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থাটি সর্বপ্রথম তথ্যচিত্র নির্মাণ করে। ৬ বছর পর একই সঙ্গে ফিচার ফিল্ম নির্মাণ করা হয়। ১৯৭২ সালে এই সংস্থা 'ফিল্ম, নাটক, রেডিও ও টিভি সাধারণ সংস্থা' এই নামে পরিবর্তিত হয়। ১৯৭৫ সালে 'ছবি ও নাটক' এবং 'রেডিও ও টিভি' এ দু'টি স্বাধীন বিভাগে বিভক্ত করা হয় সংস্থাটিকে।
১৯৭৩ সালের পর ব্যক্তিগত চলচ্চিত্র কোম্পানি অর্থের অভাবে ধীরে ধীরে মন্দাবস্থায় পড়ে যায়। ১৯৮০ সালে পাবলিক ও প্রাইভেটের যৌথ অর্থে 'ব্যাবিলোন চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ কোম্পানি' প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কোম্পানির উদ্যোগে বিদেশ থেকে চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান রপ্তানি করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাবিলোন কোম্পানি মোট ১১টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে।
১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ইরাকে মোট ১০৭টি সিনেমা হল নির্মাণ করা হয় । অধিকাংশ সিনেমা হল বাগদাদ,বসরা ও নাজাফের মতো বড় শহরে অবস্থিত।
