Web bengali.cri.cn   
দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক খবর---২০১৪/৯/১
  2014-09-01 19:20:20  cri

১. ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ার পর সাগরের সম্পদ আহরণ ও তা কাজে লাগানোর বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতে আন্তর্জাতিক কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। সমুদ্র অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এই কর্মশালায় এক সঙ্গে ২০টি দেশের বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। মঙ্গলবার (২রা সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো শুরু হতে যাওয়া দুদিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ওই দুদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বাংলাদেশ এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল, ২০০ নটিক্যাল মাইলের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার অধিকার পেয়েছে।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই বিপুল সমুদ্র সম্পদের ব্যবহারের জন্য দেশের দক্ষতা ও প্রযুক্তির ঘাটতি রয়েছে, যার প্রতিবেশি দেশগুলোসহ বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব চাইবে বাংলাদেশ। এছাড়া একটি সমুদ্রসীমা নীতিমালা প্রণয়নের কথাও ভাবছে সরকার।

এই কর্মশালার মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারে অভিজ্ঞ দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি ও সম্পর্ক নির্মাণ করা হবে এবং সমুদ্রভিত্তিক ব্লু ইকোনমির নানামাত্রিকতা ও গতিশীলতা সম্পর্কে জানবে বাংলাদেশ।

তিন অধিবেশনের এই কর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া, সিসিলি, সুইডেন, ওমান, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপিন্স, জাপান, ভারত, নেদারল্যান্ডস্, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, মরিশাস, তানজানিয়া ও মিয়ানমারের কমপক্ষে ৩২ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

কর্মশালায় যোগ দিতে এর মধ্যেই ঢাকায় এসেছেন শ্রীলঙ্কার মত্স্য ও পানিসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী রাজিথা সেনারত্নে।

জানা গেছে, এখানে বঙ্গোপসাগরের একটি 'ভূ-কৌশলগত সংযোগের' বিষয় থাকলেও নিতান্তই উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে এই কর্মশালা হচ্ছে। উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে সমুদ্র অর্থনীতিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা আলোচনা করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রসীমা বিষয়ক সচিব মো. খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, "এটা (ব্লু ইকোনমি) সাগরে মাছ আহরণ নয়। এর অর্থ নীল সাগরের সম্পদ ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও কৌশল বিবেচনায় নিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন।"

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনযাত্রা মাছ চাষ ও বাণিজ্যিক পরি বহণের মতো সমুদ্র অর্থনীতির কার্যক্রমের উপর নির্ভরশীল।

২. দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আয়বৈষম্য বাড়ছে। তিন দশকে এই বৈষম্য দ্বিগুণ ছাড়ালেও তা রোধে সমন্বিতভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি সভা, সেমিনার ও আলোচনার টেবিলেও উপেক্ষিত থাকছে বিষয়টি। এই বৈষম্য কমাতে আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে 'রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন ইন সাউথ এশিয়া' শীর্ষক সম্মেলনে।

রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে গত শনিবার (৩০ আগস্ট) সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অব ইকোনমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসএএনইআই) এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সম্মেলনে পাকিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হাফিজ এ পাশার 'রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ ইন সাউথ এশিয়া' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম আলী খান।

প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১২ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশীয় আট দেশে ১৬০ কোটি মানুষের বসবাস, যা বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে ৫০ কোটি মানুষ দরিদ্র। অথচ বিশ্বের মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) এই অঞ্চলের অবদান ৩ শতাংশ (বর্তমানে ২ শতাংশ), আর বৈশ্বিক রপ্তানিতে অবদান মাত্র ২ শতাংশ। আবার আয়বৈষম্য এই অঞ্চলে ১৯৮০ সালের তুলনায় বর্তমানে দ্বিগুণের কাছাকাছি।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ তিনটি—আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল। আর নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ পাঁচটি—ভুটান, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা।

মাথাপিছু জিডিপি ২০১২ সালে আফগানিস্তানের ৬৮৮, বাংলাদেশের ৭৫২ ও নেপালের ৬৯০ মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়ায়। এ সময়ে ভুটানের মাথাপিছু জিডিপি হয় দুই হাজার ৩৯৯, ভারত এক হাজার ৪৮৯, মালদ্বীপ ছয় হাজার ৫৬৬, পাকিস্তান এক হাজার ২৫৬ এবং শ্রীলঙ্কার দুই হাজার ৯২৩ ডলার। নিম্ন আয় ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ। অথচ ১৯৮০ সালে এই বৈষম্য ছিল ২১ দশমিক ৪ শতাংশ।

আয়বৈষম্য কমানোসহ সার্বিক নেতিবাচক অবস্থা থেকে উত্তরণে নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি প্রস্তাবিত ৩০ কোটি ডলারের সার্ক দারিদ্র্য নিরসন তহবিল গঠন, ২০০৭ সালে দিল্লিতে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী সার্ক ফুড ব্যাংক চালু, দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বৈত করহার পরিহার চুক্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয় প্রবন্ধে। ইতোমধ্যে নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এসব বিষয়ে সম্মেলনে কোনো কথা বলেননি। তবে তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা জরুরি। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক টি এন শ্রীনিবাসন সম্মেলনে বলেন, বিশ্বের যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে কম সম্পৃক্ত। সার্বিকভাবে আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সম্পৃক্ততায় তো জোর দিতে হবেই, বহুপক্ষীয় সম্পৃক্ততার (মাল্টিলেটারেল ইন্টিগ্রেশন) কথাও ভুলে থাকলে চলবে না। আর তখনই আয়বৈষম্য কমবে এবং তার সুফল পৌঁছাবে জনগণের কাছে। সার্ক এবং দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি অঞ্চল (সাফটা) কেন অন্য আঞ্চলিক জোটগুলোর তুলনায় ততটা সম্পৃক্ত নয়, সে প্রশ্নের কারণ খোঁজারও পরামর্শ দেন তিনি।

৩. দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি অর্থের প্রয়োজন স্বীকার করে বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, এই অর্থ কোন কোন খাতে গুরুত্ব দিয়ে ব্যয় করতে হবে তা উন্নয়নশীল দেশকেই ঠিক করতে হবে। গত শনিবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে নগর গবেষণা কেন্দ্র ঢাকার ৪২তম সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, একসময় আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাত্র ৭০ ভাগ আসত গ্রাম থেকে, ৩০ ভাগ শহর থেকে। এখন নগরায়নের ফলে মোট অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ৬০ ভাগ শহরকেন্দ্রিক। তবে শুধু শহর নয়, যে কোন উন্নয়ন টেকসই রাখতে হলে পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রকেও পরিকল্পনার আওতায় আনা ছাড়া বিকল্প নেই।

মন্ত্রী আরো বলেন, যে কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হয় অর্থের। আর সেই অর্থের জন্য দাতাদের ওপর নির্ভর করতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে নিজস্ব প্রচেষ্টায় চললে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি জানান, দক্ষিণাঞ্চলে নতুন চর জেগে উঠছে এবং এসব চর ধরে রাখতে ব্যাপকভাবে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর সেখানে প্রায় চার কোটি গাছ রোপন করা হবে।

৪. আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ৬৭০ কোটি টাকার বই ও ম্যাগাজিন আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বই আমদানি হয়েছে ৬৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকার। রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এফবিসিসিআই, গ্লোবাল ইনটেলেকচুয়াল একাডেমি ও ভারতের এফআইসিসিআই যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন আহমদ। পর্যায়ক্রমে বই আমদানি বাড়তে থাকলেও গত বছর তা কমেছে উল্লেখ করে প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই আমদানি করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার বই। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এতে সংস্কৃতিসচিব রণজিত কুমার বিশ্বাস, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, ভারতের এফআইসিসিআইয়ের সহসভাপতি রহিত কুমার, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটেন্ট বিভাগের উপদেষ্টা জেনিন নিস উপস্থিত ছিলেন।

৫. এবি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকার স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর কর্মশালা। ব্যাংকের আয়োজনে বিভিন্ন শাখার ৬৫ জন কর্মকর্তা এতে অংশ নেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের তৈরি পোশাকশিল্পের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত, ভবিষ্যত সম্ভাবনা ও বাধাবিঘ্ন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। কর্মশালায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত পরিচালক (গবেষণা) খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

৬. ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসসিও বা আইওসকো) প্রয়োগ ও সহযোগিতা (এনফোর্সমেন্ট ও কো-অপারেশন) উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমেই তিনি ওই পদে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। আইওসকোর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি নাগরিক। জানা গেছে, সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশকে অভিজাত শ্রেণীভুক্ত করে আইওসকো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ১৯৮৩ সালে আইওসকোর যাত্রা শুরু হয়। এটির সদর দপ্তর স্পেনের মাদ্রিদে। উল্লেখ্য, ফরহাদ আহমেদ ১৯৯৭ সালে উপপরিচালক হিসেবে বিএসইসিতে যোগ দেন।

৭. বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ ভারতে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গত আড়াই বছরে এটাই দেশটির সর্বোচ্চ হারের প্রবৃদ্ধি।

সরকারি তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বিদ্যুত, গ্যাস ও পানি সরবরাহ এবং আর্থিক সেবা খাতে অগ্রগতির সুবাদেই মূলত ভারতের মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) এই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ক্ষমতা পেয়েই ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কর খাতের সংস্কারসহ বিনিয়োগ-সহায়ক নীতিমালা হাতে নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে বিনিয়োগ বাড়তে থাকে এবং পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ায়, ভোক্তাদের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং সব মিলিয়ে দু-তিন মাসের মধ্যেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।

৮. স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী মালয়েশিয়া। শনিবার (৩০ আগস্ট) বণিকসভা সিআইআই-এর একটি অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ভারতে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার দাতো নায়মুন আশাক্লি বিন মহম্মদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করে মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধিদল। সেই দলে বিন মহম্মদ ছাড়াও ছিলেন মালয়েশিয়ার ইকনমিক মিনিস্টার-কাউন্সিলর ও কলকাতায় তাদের কনসাল জেনারেল সঞ্জয় বুধিয়া। বেঠকের প্রসঙ্গ তুলে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার জানান, বিনিয়োগ টানতে মুখ্যমন্ত্রী ৩টি ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। মোনো-রেল, স্মার্ট সিটি ও বিশ্ব মানের সড়ক তৈরির জন্য মালয়েশিয়ার দক্ষতা ও বিনিয়োগ পেতে আগ্রহী তিনি। বিন মহম্মদের দাবি, এই প্রস্তাব নিয়ে আরও আলোচনা হবে। এবং এ ধরনের প্রকল্পে স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে লগ্নিই সহজ পথ। তিনি জানান, মালয়েশিয়া সফরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040