|
২০১৪ সালে একটি সৈকত ভ্রমণ সম্বন্ধে একটি পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে অনুসারে, প্রায় ২৮ শতাংশ জার্মান নগ্ন হয়ে সৈকতে সূর্যালোক উপভোগ করতে পছন্দ করেন। নগ্ন হয়ে সৈকতে সূর্য উপভোগের এ হার অনেক বেশী। সৈকতে বিশ্বের গড় নগ্নতার হারে পুরুষ এগিয়ে। প্রায় ১৮ শতাংশ। আর নারী ১২ শতাংশ। এক্ষেত্রে এশিয়ার মানুষ লাজুক বেশি। এশিয়ার মধ্যে ২ শতাংশ জাপানি, ৩ শতাংশের দক্ষিণ কোরিয়া এবং ৪ শতাংশ থ্যাইলেন্ডের মানুষ পাবলিক সৈকতে নগ্ন হয়ে থাকে।
নগ্ন ছাড়াও অর্ধ-নগ্ন হয়ে সূর্যস্নানের অভ্যাস আছে। পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, ৩৯ শতাংশ জার্মান নারী সৈকতে অর্ধ-নগ্ন করে সূর্যস্নান করে। সৈকতে প্রতিটি লোক প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করে, কেউ ছবি তুলবে না, কেউ অসমীচিন আচরণ করবে না।
ফরসীরা জার্মানির মতো জনপ্রিয় না। কিন্তু healthy-tan তাদের জন্য আকর্ষণীয়। জার্মানিতে যদি লোকেরা চর্মরোগ বা tristimania রোগীকে ডাক্তার সবসময় বলেন যে "বেশি সূর্যালোক হলে ভালো হয়ে যাবে।"
জার্মানিতে তিন রকমের nudism enthusiast আছে, তারা হচ্ছে: Nudismus, Naturismus ও Freikoerperkultur(FKK)। Nudismus enthusiast এমনকি বাড়িতে কোন কাপড় পরে না। Naturismus enthusiast নগ্ন হওয়ার জন্য তাদের কোন নিয়ম থাকে না। কোন বিধিনিষেধ হয়নি। আর Freikoerperkultur আসলে Naturismus enthusiastর জাতি হয়। তারা নিয়মিত FKK প্রীতি-সম্মেলন আয়োজন করে।
এ তিন রকমের মানুষ বিশ্বাস করে যে মনস্তত্ত্ব ও শরীরবৃত্ত নগ্ন হওয়ার মাধ্যমে প্রকৃতিতে মুক্ত হয়। দৈনন্দিন জীবনে কাজ, ভালবাসাসহ বিভিন্ন সমস্যা চাপে মানুষের জীবন উত্তেজনাময় হয়। নগ্ন হওয়ার মাধ্যমে সমাজ ত্যাগ করে প্রকৃতিতে আবার ফিরে যেতে পারে তারা। জার্মানিতে নগ্নতা বিরোধীরা এর বিরোধীতা করলেও, তারা বলে সূর্যালোক মানুষের জন্য প্রকৃতির সেরা উপহার। এটা উপভোগ করতে হবে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |