|
guangying
|
চলচ্চিত্রের শুরুতেই প্রধান চরিত্র ইউয়েন লিউ হুয়ান এভাবেই নিজকে বর্ণনা করেন।
ছোটবেলা থেকে ইউয়েন লিউ হুয়ান কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন। বড় হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার একজন গুপ্তচর হিসেবে তাঁকে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গ্রামে পাঠানো হয়। সেখানে পাঠানোর আগে তাঁর শিক্ষক তাঁকে বলেন, 'মাত্র দুটি অবস্থায় আমরা আবার মিলিত হবো। একটি হলো যখন দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া একত্রিত হবে, তখন আমরা ভাইয়ের পরিচয় নিয়ে আবার মিলিত হবো। অন্য একটি অবস্থা হলো শত্রু হিসেবে আমরা একে অপরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আবার মিলিত হবো।'
একজন গুপ্তচর হিসেবে ইউয়েন লিউ হুয়ান খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারেন যে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণের পথ সহজ নয়, তা দীর্ঘ লম্বা ও অসম্ভব। তবে মারা যাওয়ার ব্যাপারে তিনি অনেক আগেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁর একমাত্র আশা হলো তাঁর দেশ ও নিজের মায়ের ভালো যত্ন নিতে পারা। মা ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারলে নিজের প্রাণ ত্যাগ করতে কোনো অসুবিধা নেই তার।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেই গ্রামে প্রতিদিন ইউয়েন লিউ হুয়ান তোং চিউ নাম ধারণ করে বোকা সেজে জীবন কাটাতেন। এক দয়ালু বৃদ্ধা তাঁকে আশ্রয় দেন। বৃদ্ধার একটি ছোট সুপারমার্কেট আছে এবং ইউয়েন লিউ হুয়ান প্রতিদিন সেখানে কাজ করেন। আগের নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুসারে তাঁর কর্তব্য হলো প্রতিদিন তিন বার প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করা এবং প্রতি ছয়মাসের মধ্যে এক বার করে দু'জনেরও বেশি লোকের সামনে মল ত্যাগ করা।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |