|
বন্ধুরা, আপনার পরিবারে কয়জন ভাই-বোন আছে? যখন আমি বাংলাদেশে ছিলাম, তখন অনেকেই আমাকে ভাই-বোনের কথা উল্লেখ করেছেন। তা থেকে আমি জানতে পারি, বাংলাদেশের অনেক পরিবারে মাত্র একটি ছেলে অথবা একটি মেয়েই-ই নয়। বরং অনেক ভাই-বোন রয়েছে। ভাই-বোন বেশি থাকা নিশ্চয়ই অনেক ভাল বলতে পারেন।
আমি বিশ্বাস করি, ভাই-বোন কাছে থাকলে কখনো একা লাগে না। শুধু তাই-ই নয়, বড় ভাই-বোন ভালভাবে ছোটদের যত্ন নিয়ে থাকেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ৬ বছর বয়সী এক ভাই একটি রাগি কুকুরের হাত থেকে তার নিজের ছোট ভাই'র প্রাণ বাঁচিয়েছে। তার এ সাহসী কর্মের কারণেই তার ৪ বছর বয়সী ছোট ভাই রক্ষা পেয়েছে। সত্যিই এ কাজের অনেক প্রশংসা করা উচিত, তাই না?
জানা গেছে, সম্প্রতি একটি জার্মানি শেফার্ড কুকুর তার বাসা থেকে পালিয়ে যায়। তখন এ ক্ষুধার্ত কুকুর পাশাপাশি এক পরিবারের বাসায় ঢুকে পড়ে। তখন সে পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক কেউ-ই বাসায় ছিলেন না । শুধু মাত্র ৬ বছর বয়সী তিমো প্যারেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী ছোট ভাই প্রাঙ্গণে খেলাধুলা করছিল।
যখন এ রাগী, ক্ষুধার্ত কুকুর তার বাসার প্রাঙ্গণে আসে তখন তারা অবিলম্বে প্রাঙ্গণে থাকা একটি ট্রাককে আশ্রয় শিবির হিসেবে বেছে নেয়। তবে সে রাগী কুকুর মাথা বাড়িয়ে ট্রাকের নিচ থেকেই তাদেরকে কামড় দিতে চেষ্টা করে। তিমো প্যারেজের হাত, কাঁধ এবং মাথায় কামড় দিতে শুরু করে সে। তবে এত বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হবার পরও তিমো প্যারেজ পিছপা হয় নি। বরং তার নিজের দেহ দিয়ে তার ছোট ভাইকে রক্ষা করেছে। এরপর যখন এ কুকুর ক্লান্ত হয়ে চলে যায়, তখন তিমো এ ট্রাকের নিচ থেকে অন্যের সাহায্যে বেরিয়ে আসে।
এরপরই তিমোকে স্থানীয় একটি ভালো হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার বিশেষ ডাক্তার জানান, তিমোর শারীরিক অবস্থা তেমন ভাল না হলেও আস্তে আস্তে ভাল হয়ে যাবে। যখন স্থানীয় একটি তথ্যমাধ্যম তিমোর কাছে একটি সাক্ষাত্কার নিতে গেল, তখন তিমো বলেছে, সে রাগী কুকুর কত রাগ ও ভয় দেখালেও আমি কোন ভয় পাই নি, আমি শুধু আমার ছোট ভাইকে নিয়ে চিন্তা করেছি। ভালো ব্যাপার হলো সে নিরাপদে আছে।
দীর্ঘায়ু হবার সবচেয়ে ভিন্ন রহস্য
প্রাচীনকাল থেকেই দীর্ঘায়ু হবার রহস্য খুঁজে বের করতে অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে মানবজাতি । এর মাঝে মাঝে দীর্ঘজীবীরা তাঁদের দীর্ঘায়ু হবার রহস্য সবার সঙ্গে ব্যাখ্যা করে থাকেন। কেউ কেউ বলেন, শারীরিক চর্চা করার মাধ্যমে বেঁচে থাকার সময় বাড়ানো যায়। কেউ কেউ বলেন, বেশি ভালো পথ্য খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক অবস্থার উন্নয়ন এবং বেঁচে থাকার সময় বাড়ানো যায়। আর কেউ কেউ বলেন, বিভিন্ন শখ তৈরি করে আনন্দ বজায় রাখার মাধ্যমে বেঁচে থাকার সময় বাড়ানো যায়। তবে সম্প্রতি বৃটেনের এক ১০৩ বছর বয়সী বৃদ্ধা তাঁর দীর্ঘায়ু হবার রহস্য বলার পর তা বিশ্বে বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তা হলো পুরুষের কাছ থেকে দূরে থাকা। বন্ধুরা, কেমন? এটা আপনাদের কাছে কি খুব অদ্ভুত লাগছে? কি আশ্চর্য! তাই না?
তিনি বলেছেন, 'আমার এ জীবনে কোন ছেলে বন্ধু জোটে নি। শুধু তাই নয়, আমি কখনও বিয়ে করি নি। এক কথায় বলতে গেলে পুরুষের ওপর আমি কোন সময় নষ্ট করি নি।'
তিনি আরও জানান, পুরুষের কাছ থেকে দূরে থাকা মাত্র তার দীর্ঘায়ু হবার রহস্যের একটি অংশ। তাছাড়া, তিনি কখনও মদ খান না, ধূমপানও করেন না, বেশি মাংসও খান না। তিনি মনে করেন, সন্ধ্যার খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাঁর এ জীবনে এমন একদিন নেই, যেদিন সন্ধ্যার খাবার খান নি।
বন্ধুরা, তাঁর এ গল্প শুনে আপনাদের কাছে কেমন লাগলো। আমি এখানে কিছু বলতে চাই, যদি সারা বিশ্বের সবাই তাঁর মত এমন করে বেঁচে থাকে, তাহলে আমাদের পরের প্রজন্ম কি করে আসবে? (প্রকাশ)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |