|
অন্য দিকে আঘাত প্রাপ্ত মেইলফিসেন্টের মন মারাত্মক বেদনা ও ঘৃণায় ভরে উঠে। তিনি ভালোবাসার উপর আর আস্থা রাখতে পারেন না। রাজকুমারী ওরোরার এক মাস বয়স উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেইলফিসেন্ট রাজপ্রাসাদে এসে অরোরার ওপর অভিশাপ দেন। তা হলো অরোরার যখন ১৬ বছর বয়স হবে তখন অরোরা টেক্সটাইল মেশিনের টাকুর আঘাত পেয়ে চিরদিনের জন্য অচেতন হয়ে পড়বে। কোনো এক রাজকুমারের আন্তরিক চুমু না পাওয়া পর্যন্ত অরোরা জেগে উঠবেনা।
মেইলফিসেন্টের এই অভিশাপ শুনে রাজা স্টিফেন দেশের সব টেক্সটাইল মেশিন নষ্ট করে দেওয়ার আদেশ দেন এবং রাজকুমারী অরোরাকে লালন পালনের জন্য তিন জন পরীর হাতে তুলে দেন।
দিনে দিনে রাজকুমারী অরোরা বড় হয়ে উঠেন। বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় মেইলফিসেন্ট কখনও তাকে কোনো কষ্ট বা কোনো আঘাত দেন না বরং তিনি গোপনে অরোরার যত্ন নিতে থাকেন।
আসলে মেইলফিসেন্ট সহজাত একজন ধার্মিক জাদুকর। তিনি স্টিফেনের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য রাজকুমারী অরোরার ওপর অভিশাপ প্রদান করেন। তিনি নিজের সেই অভিশাপ নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করেন। দিন দিন অরোরা এবং মেইলফিসেন্টের মধ্যে মা ও মেয়ের মতো গভীর ভালোবাসা তৈরি হয়।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |