|
প্রঃ বন্ধুরা, আপনারা কি কখনও ভেবেছেন, মাত্র তিন মিনিটে একজন মা কতটি সন্তান জন্ম দিতে পারেন?
আসলে একদিকে আমি মেয়ে নই, তাই এ বিষয়টি আমার একেবারেই অজানা। অন্যদিকে আমি এ প্রশ্নটি কখনই আমার মায়ের কাছে জিজ্ঞাস করিনি। তাই এটি না জানাই আমার পক্ষে স্বাভাবিক, তাইনা বন্ধুরা?
টুঃ তবে সম্প্রতি আমি যুক্তরাষ্ট্রের একজন মায়ের গল্প পড়েছি। গল্পটি পড়ার সময় আমার বেশ অদ্ভুত লেগেছে। তিনি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে তিন জোড়া যমজ, অর্থাত ৬ টি যমজ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তবে আরো মজার ব্যাপার হলো এ প্রক্রিয়ায় সময় লেগেছে মাত্র তিন মিনিট।
জানা গেছে, এ মহিলার নাম হলো হিথার কারোল । তার বয়স ৩০ বছর।
গত ২২ জুন সকাল আট'টা পাঁচ মিনিটে তার বাচ্চাদের জন্ম হয়।
প্রঃ আরো জানা গেছে, বাচ্চা জন্মের আগে স্থানীয় হাসপাতাল হিথারের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ গবেষণা করেছে।
তারপর সন্তান জন্মদানের আগের দিন এ হাসপাতালের ৫০ জন অভিজ্ঞ চিকিত্সককে প্রস্তুত রাখা হয়। অবশেষে সবার সাহায্যে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে হিথার ৬টি সন্তানের জন্ম দেন। যার মধ্যে ৫ জনই মেয়ে এবং একজন ছেলে। তারা সবাই নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে।
টূঃ যখন এ ছয় বাচ্চার বাবা কারোল তাদেরকে দেখতে হাসপাতালে হাজির হন তখন তিনি তার আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি।
তিনি হেসে হেসে বলেন, এ খবর পাবার পর আমার মনে হয়েছে আমি যেন আকাশে মেঘের মধ্যে ভেসে আছি। আজ সকাল আমি কখনও ভুলতে পারব না, এটা আমার কাছে খুবই তাতপর্যপূর্ণ।
আরো জানা গেছে, কারোল পরিবারে এ ৬ নতুন সদস্য যোগ হবার পর তার পরিবার আগের চেয়ে তিনগুণ বড় হয়েছে। তার পরিবারে আগের আরেকটি সন্তান রয়েছে।
বন্ধুরা, সত্যি এ খবরটি শোনার পর আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি। আমি তাদের সবার মঙ্গল কামনা করি।
প্রঃ স্থানীয় তথ্যমাধ্যম থেকে জানা গেছে, এই বিশেষ মায়ের জন্য বেশ প্রস্তুতি নিয়েছিল হাসপাতালটি। এমনকি, তার জন্য আকস্মিক চিকিত্সা সমস্যা মোকাবিলার জন্য গঠিত গ্রুপ ৬ষ্ঠ বারের মতো সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্মদানের প্রক্রিয়া চর্চা করেছে।
যখন হিথার তাঁর সন্তানের জন্ম দেন তখন ডাক্তাররা তাঁর এ ছয় সন্তানকে 'এ থেকে এফ' পর্যন্ত চিহ্নিত করেন। যাতে তাদের মধ্যে সঠিক পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।
বন্ধুরা, আমার এ গল্প শুনে আপনাদের কেমন লাগছে? আমি বিশ্বাস করি, অনেকেই এই মহান মায়ের খুবই প্রশংসা করছেন, তাই না?
বিশ্বের সবচেয়ে দামী আইসক্রিম
টূঃ বন্ধুরা, এবার প্রথমেই আমি আপনাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে নিয়ে যাবো। সেখানকার একটি বিশেষ ডাইনিং হল সম্প্রতি ২৫ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের একটি চকোলেট টুকরা তৈরি করেছে। বন্ধুরা, আপনারা কি জানেন? ২৫ হাজার মার্কিন ডলার কত বাংলাদেশি টাকা হতে পারে? তার সমপরিমাণ প্রায় ১৮.৫ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি টাকা। কি যে দামী! তাই না? আরো জানা গেছে, এত দামী এ চকোলেট টুকরা বিশ্বের সবচেয়ে দামী আইসক্রিমের বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
বন্ধুরা, আমি বিশ্বাস করি, আমিসহ অনেকেই জানতে চাই যে, এ চকোলেট টুকরার দাম এত বেশি হওয়ার কারণ কী? আচ্ছা, আমি বলে দিচ্ছি।
প্রঃ জানা গেছে, এ চকোলেট টুকরা যে কাপটিতে রাখা হয়েছে তা নিখাদ স্বর্ণ দিয়ে তৈরি । আরো মজার ব্যাপার হলো তা খাওয়া যায়।
বন্ধুরা, এবার বলুন, আমার এ গল্প শুনে আপনাদের কেমন লাগছে? আমি বিশ্বাস করি, অনেকেই বলবে বাহ! এটি সত্যিই অনেক দামী, তাই না? (মার্কো)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |