|
উচ্চ আয়ের কারণে জার্মানরা খুশি নয়। তারা দেশের জন্য কর দিতে পারায় খুশি। তারা তাদের দেশের জন্য এভাবেই ভাবে। ধনী জার্মানরা তাদের সম্পত্তি সমাজকে অনুদান করে, কিন্তু তাদের সন্তানদের দেয় না।
প্রবন্ধটির লেখক জার্মানিতে পৌঁছার প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে তার জার্মানি আর ভালো লাগে না। সে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করে। সেখানে মার্কো নামে এক জার্মান ছেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মার্কোর বয়স ২৯। কাজের ফাঁকে তারা গল্পগুজব করে। মার্কোর ইংরেজি ভালো হলেও সে লেখকের সঙ্গে জার্মান ভাষায় ভাব বিনিময় করে। এতে লেখকের জার্মান ভাষা উন্নত হবে বলে তার বিশ্বাস।
মার্কো একজন পরিশ্রমী মানুষ। সে সবসময় রাতে কাজ করে। এমনকি বড়দিনের সময়ও সে কাজ করে। একদিন গল্পগুজবে লেখক জেনেছে যে, মার্কোর বাবা আসলে জার্মানির বিখ্যাত দুগ্ধজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী। জার্মানির প্রতিটি সুপারমার্কেটে তার বাবার কোম্পানির দুগ্ধজাত পণ্য পাওয়া যায়। লেখক মার্কোকে এ প্রশ্ন করেন, তখন মার্কো জানায়, "আমার বাবা খুব চেষ্টা চালিয়ে আজ এ পর্যায়ে এসেছেন। সেজন্য তিনি খুব ধনী। আমি তাঁর জন্য কোন কাজ করি না। তাই কেন তিনি আমাকে টাকা দেন?"
লেখক আশ্চর্য হয়, "তোমার বাবা কি তোমাকে ভালবাসেন না?"
মার্কো বলে, "তিনি আমাকে খুবই ভালবাসেন। কিন্তু আমি নিজের জীবন, নিজেকে প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেই চেষ্টা চালাবো।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |