|
মার্চ ৭: ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি ঝুন বলেছেন, "বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধী দলের ইতিবাচক সংলাপ চায় চীন।" ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংস্থা 'ডিক্যাব'-এর এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিরোধীরা বয়কট করেছে। ভোটার অংশগ্রহণও বেশি ছিল না। এ অবস্থায় প্রধান দুই দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই বর্তমান সঙ্কট থেকে উত্তরণ সম্ভব।" ভোটারদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম হলেও, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কারণেই চীন সাংবিধানিক রক্ষার ওই নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, "নির্বাচনের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। আর আইনের শাসন হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি। কিন্তু নির্বাচনে যেহেতু ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল না, সেহেতু প্রধান দুই দলের মধ্যে ফলপ্রসূ সংলাপ হওয়া দরকার।"
বাংলাদেশকে দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সুপ্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে লি ঝুন বলেন, "বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না-থাকলেও, দেশটি চীনের ব্যবসায়ীদের কাছে পছন্দের বিনিয়োগের স্থান।"
বাংলাদেশ ও চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত লি ঝুন সাংবাদিকদের বলেন, "ভারত ও চীন আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করবে পরিস্থিতি জটিল করে নয়, স্থিতিশীল রেখে।" এ ছাড়া ভারত ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ইতিবাচক বলে দাবি করে তিনি জানান, ভারত চীনকে একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) দিয়েছে।
লি ঝুন বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীনের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীনের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ আছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো তাদের কিছু বলেনি। সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশের ওপর।"
সন্ত্রাসবাদকে সব দেশের অন্যতম সাধারণ সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের 'জিরো টলারেন্স'কে চীন সমর্থন করে। তিনি জানান, সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশকে তথ্য ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে চীন। (ইয়ু/আলিম)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |