বলা হয়ে থাকে যে অভিনেতা হিসেবে আমির কমেডি, একশন সিনেমা ও প্রেমের চলচ্চিত্রসহ নানা রকমের চরিত্রের অভিনয়ে বিশেষ ভাবে সুদক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের 'টাইমস' পত্রিকা তাঁকে ভারতের 'সিন প্যান' বলে মূল্যায়ন করে। ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী চলচ্চিত্র পত্রিকা 'ফিল্মফেয়ার' ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর তাঁকে বলিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতা বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে আমির নিজে তাঁর সম্পর্কে 'প্রভাবশালী' শব্দের প্রয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, 'একজন মানুষের কতগুলো প্রভাব আছে তা মোটেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়, বরং মানুষ কিভাবে নিজের প্রভাব ব্যবহার করছে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে মানুষ অর্থ-বিত্তে ধনী নয় বা নাম যশেও খুব বিখ্যাত নয়, কিন্তু নিরবে নিভৃতে যিনি সমাজের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন, তিনি কি সত্যিকার অর্থে একজন প্রভাবশালী মানুষ নন?'
নিজের জনপ্রিয়তা এবং অভিনয় ক্যারিয়ার ধরে রাখার জন্য ভারতের অধিকাংশ অভিনেতা অভিনেত্রী একসাথে একাধিক এবং একের পর এক ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ব্যস্ত-সমস্ত সময় কাটাতে বাধ্য হন। কিন্তু আমির খান এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, আমির এক সাথে একটির বেশি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন না, ফলে বছরে একটি অথবা দু'টির বেশি চলচিত্রে অভিনয় করা হয়ে ওঠে না তাঁর। অভিনয়ের ক্যারিয়ার বিষয়ে তাঁর এই বিশেষ মনোভাব বলিউড চলচিত্র মহলে বিশেষ ভাবে প্রশংসিত। শুধু তাই নয়, তাঁর এই ক্যারিয়ার দর্শন তাকে একজন শ্রদ্ধনীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবেও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
1 2 3 4