২০০৯ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ হাইনানকে আন্তর্জাতিক পর্যটন দ্বীপ হিসেবে গড়ে তোলার দলিলে অনুমোদন দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালে হাইনান বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর বিনোদনমূলক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে। দ্বাদশ জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে হাইনান প্রদেশ থেকে আসা গণকংগ্রেসের প্রতিনিধিরা সবাই মনে করেন, আন্তর্জাতিক পর্যটন দ্বীপ গড়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে বাস্তুতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা।

পর্যটন খাতের ব্যক্তিত্ব লুই কুও তোং বলেন, "এ বছরের বসন্ত উত্সবের ছুটির সময় হাইনান প্রায় ১৯ লাখ পর্যটককে অভ্যর্থনা জানায়। গত বছরের বসন্ত উত্সবের ছুটির সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। হাইনানে আসা পর্যটকদের সংখ্যা প্রতি বছর প্রায় ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। অনুমান করা হচ্ছে, ২০১৫ সালে হাইনানে আগত পর্যটকের সংখ্যা ৪ কোটি ৭০ লাখ পৌঁছাবে।"

এবারের বসন্ত উত্সবকালে হাইনানের পর্যটক শিল্পের আয় ৫৬০ কোটি ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি।

সানইয়া শহরের মেয়র ওয়াং ইয়োং

চীনের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের কমনওয়েলথের পর্যটকরাও হাইনানকে খুব পছন্দ করছেন। জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রতিনিধি, হাইনানের সানইয়া শহরের মেয়র ওয়াং ইয়োং বলেন,"রাশিয়া, স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের কমনওয়েলথ থেকে অনেক পর্যটক আসেন। তাঁরা এখানে এসে প্রধানত সূর্যালোক, সৈকত ও সমুদ্রজল দেখতে চান। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ কমপক্ষে পাঁচ বার সানইয়াতে এসেছিলেন।"

আলেক্সে সেলিশচেভ হচ্ছেন চীনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইতার তাসের স্থায়ী সংবাদদাতা। তিনি মনে করেন, হাইনানের অসাধারণ প্রাধান্য আছে। তিনি বলেন, "প্রথম হচ্ছে তার পরিবেশ। শীতকালে এ জায়গাটি অপেক্ষাকৃত উষ্ণ থাকে। দ্বিতীয় হচ্ছে সামুদ্রিক খাদ্য। তৃতীয় হচ্ছে চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ দ্বারা চিকিত্সা।"

২০১১ সাল থেকে হাইনানে সমুদ্রবর্তী শুল্কমুক্ত নীতি চালু হওয়ার পর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪২০ কোটি ইউয়ানের শুল্কমুক্ত পণ্য বিক্রি হয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে।