Web bengali.cri.cn   
আলো-ছায়া
  2013-01-31 15:02:15  cri
গতবছরের ১ মে থেকে আমাদের আলোছায়া অনুষ্ঠান প্রচারের পর থেকে অনেক শ্রোতা আমাকে চিঠি বা ই-মেইল পাঠিয়েছেন। আপনাদের প্রস্তাব বা প্রশংসা আমাকে অনেক উত্সাহ জুগিয়েছে আর আমাকে করেছে মুগ্ধ । আজ আমি আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজকের অনুষ্ঠানে আমি কয়েকজন শ্রোতার চিঠি এবং ই-মেইল পড়তে চাই। আশা করি, আপনারা আগের মতো ভবিষতেও আমাদের আলোছায়া অনুষ্ঠানকে সমর্থন দিয়ে যাবেন। কেমন?

বাংলাদেশের চুয়াডাংগা জেলার গ্লোবাল সি আর আই রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর আশরাফুল ইসলাম আমাকে দেয়া ই-মেইলে লিখেন:

Lili লাবণ্য।

সিআরআই বাংলা বিভাগ

পেইচিং,চীন।

প্রীতিভাজনেষু

সুপ্রিয় লাবণ্য আপু

আশা করি ভাল আছেন। আপনার প্রযোজনায় এবং উপস্থাপনায় আলোছায়া অনুষ্ঠানটি আমি নিয়মিত ভাবেই শুনে থাকি। এ অনুষ্ঠান আমার খুব ভাল লাগে। দেশি ও বিদেশী বিখ্যাত সব চলচ্চিত্রের নিখুঁত বনর্ণা শুনে মনে হয় আমি যেন সিনেমা হলে বসেই ছবি দেখছি। প্রেম বা বিরহ ভিত্তিক কাহিনী ছাড়াও আগামীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক চলচ্চিত্রের কাহিনী এ অনুষ্ঠানে শুনতে চাই। এছাড়াও কিশোর অপরাধ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের কাহিনী, ভারত ও বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রের কাহিনীও এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরার অনুরোধ জানাই। অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রের কাহিনী মুখে বেশী বর্নণা করে মূল সংলাপ কম মাত্রায় উপস্হাপন করলে ভাল হয়। শুধু মাত্র অনুষ্ঠানের আঙিককে সমৃদ্ধ করার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু যথেষ্ট। কারণ বিদেশী ভাষার এসব সংলাপ আমরা অনেক শ্রোতাই হয়তো বুঝিনা।

লিলি লাবণ্য আপু আপনার চমত্‍কার কণ্ঠস্বর, সুন্দর বাচনভংগী ও সাবলীল উপস্হাপনায় আগামীতে আলোছায়া অনুষ্ঠানটি আরো সমৃদ্ধ হযে উঠবে এই প্রত্যাশা জানিয়ে আজকের পত্রের এখানেই ইতি টানছি।

আপনাকে জানাই ইংরেজি শুভ নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ,

প্রফেসর আশরাফু ইসলাম, ই-মেইল দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক, অনেক ধন্যবাদ। ই-মেইলে আমাদের আলোছায়া অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে আপনি ভালো প্রস্তাব দিয়েছেন। পরের অনুষ্ঠানে আমি অবশ্যই আপনার প্রস্তাব গ্রহণ করবো। আপনি বলেছেন, অনুষ্ঠানে বিদেশী ভাষায় চলচ্চিত্রের কথোপকথন অধিকাংশ শ্রোতা হয়তো বুঝতে পারে না। এই বিষয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠান তৈরী করার আগে অবশ্যই বিবেচনা করবো। আলোছায়া অনুষ্ঠানে প্রধান চরিত্রের কথোপকথন আমি যে চলচ্চিত্র থেকে বেছে নেই তা অধিকাংশই সঙ্গীত বা গানের সাথে সাথে বলা হয়। এসব গান বা সঙ্গীত হলো এ চলচ্চিত্রের ওরিজিনাল সাউন্ড ট্র্যাক। আমি মনেকরি, চলচ্চিত্রের প্রধান বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রদের কথোপকথন শুনলে হয়তো আপনারা নিজেদের চোখে চলচ্চিত্র দেখার মতো চলচ্চিত্রটি উপভোগ করতে পারেন। তাই না? তাই আমি মনেকরি, চলচ্চিত্রের প্রধান বিষয়ের মতো কথোপকথন এবং সঙ্গীত ও গান আলোছায়া অনুষ্ঠানের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। পরের অনুষ্ঠানে আমি অবশ্যই আপনার প্রস্তাব গ্রহণ করে প্রত্যেক চলচ্চিত্রের বিষয় আরো বিস্তারিতভাবে বলবো। আপনার সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য আরেকবার আন্তরিক ধন্যবাদ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের ঢাকা কলোনীর অল ইন্ডিয়া সি আর আই লিসনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিধান চন্দ্র সান্যাল আমাকে দেয়া চিঠিতে লিখেন,

মহাশয়া,

চলচ্চিত্র মানবিক অস্তিত্বের বিভিন্ন অবস্থাকে চিত্রায়িত করে। সমসাময়িক দলিল হিসেবে আর কোন শিল্প মাধ্যম চলচ্চিত্রের মতো বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে না। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ভৌগোলিক, সামাজিক যা-কিছু এই শতাব্দীর সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে সমপৃক্ত সবই নিজের বুকে তুলে ধরছে আজকের চলচ্চিত্রের সেলুলয়েড। এই অকল্পনীয় গ্রহণশক্তি ও প্রকাশশক্তির জোরেই চলচ্চিত্র আজকের দিনে অনন্য শিল্পময় প্রভাবশালী গণমাধ্যম হয় উঠেছে।

শব্দ ও দৃশ্যের সঙ্গম এবং অভিনয় নৃত্যগীতের ছন্দলয়ের এই সুন্দর মাধ্যমকে শুধুমাত্র শ্রবণ মাধ্যমের দ্বারা শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সি আর আই বাংলা 'আলোছায়' নাম দিয়ে সেই কঠিন কাজই করছে, শ্রোতাদের শৈল্পিক মানসিক চাহিদা মেটাতে। আনন্দদান তো আছেই, তার সাথে বিশ্বের নানা দেশের নানা চলচ্চিত্রের শব্দচিত্র তুলে ধরে যেন বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করে চলেছে। শ্রোতারাও তো শুধু নিজের গতানুগতিক জীবনযাত্রা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। সে ক্ষেত্রে জ্ঞানধর্মী বিনোদন অনুষ্ঠান শ্রোতাদের আকর্ষিত করে বৈকি।

বেশ লাগল আলোছায়া অনুষ্ঠানের পরিবেশনাটি। ভালো লাগল আলোছায়ার দ্বিতীয় অংশও। বিনোদন জগতের সধাধুনিক সংবাদ, হলিউড ও বলিউডের টপ চার্ট এবং মহাতারকা সম্পর্কে নানা তথ্য মানসিক চাহিদা পূরণে সহায়ক হয়েছে। আলোছায়ার প্রযোজক লিলি ম্যাডামসহ সি আর আই বাংলাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

প্রিয় বিধান চন্দ্র সান্যাল, এত লম্বা এবং সুন্দর চিঠি দেয়ার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। প্রত্যেক আলোছায়া অনুষ্ঠান তৈরী আমার জন্য একটি খুবই কঠিন এবং লম্বা প্রক্রিয়া। অনুষ্ঠানের প্রথমে যে একটি চলচ্চিত্রের সাথে শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই তা আমার নিজেকেই দেখতে হবে। দেখার সময় আমি যেখানে প্রধান চারিত্রদের আকর্ষণীয় সংলাপ বা সুন্দর সঙ্গীত শ্রোতাদের শোনাতে চাই সেটা চিহ্নিত করি। তারপর সেটা আলোছায়া অনুষ্ঠানের সঠিক জায়গায় সঙ্গীত বা সংলাপ স্থাপন করবো। শ্রোতাদের প্রশংসাই আমার জন্য এই অনুষ্ঠান তৈরী করার একমাত্র উত্সাহ ও চালিকাশক্তি।

বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর তারাগঞ্জ বাজারের অলক দে চিঠিতে লিখেন

মাননীয় প্রয়োজক

চিঠির শুরুতে প্রানঢালা শুভেচ্ছা রইল। আশাকরি সি আর আই পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো আছেন আর আমিও ভালো আছি। নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনলেও চিঠি লিখা সম্ভব হচ্ছে না। অনুষ্ঠান সবই ভালো লাগছে তবে কিছু অনুষ্ঠান হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বর্তমানে সি আর আই-এ আলোছায় অনুষ্ঠানটি সেরকম। আমার মনে হয় বর্হিবিশ্বে প্রচারিত বাংলা বেতারগুলোর মধ্যে আপনাদের আলোছায়া বিনোদনের দিক দিয়ে সেরা। শ্রোতা সমাজে এ অনুষ্ঠান বিনোদনের রসদ যোগাবে বলে আমি মনে করি। এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান প্রয়োজন ছিলো আর সি আর আই তা করেছে। আলোছায়ার বিষয় এবং উপস্থাপন ধরন খুবই চমত্কার। এভাবে চলতে থাকুক পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের প্রায়াত এবং বর্তমান সঙ্গীত শিল্পিদের সঙ্গীত জীবন পাশাপাশি দু'এক লাই গান সংক্ষিপ্তভাবে প্রচার করলে ভালো হয়। আশা করি ভেবে দেখবেন। আজ এ পর্যন্তই রইল। শুভেচ্ছান্তে।

প্রিয় অলক দে, চিঠি ও প্রস্তাব দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করবে পরের অনুষ্ঠানে। হয়তো আমার সহকর্মী, আমাদের নতুন বিশেষজ্ঞ সাইদুর রহমান লিপনের পরিবেশিত আলোছায়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে আপনার অনুরোধ পূরণ করবো। ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের সঙ্গীত জীবন আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবেন। আশাকরি, আপনি আগের মতো ভবিষ্যতেও আমাদের আলোছায় অনুষ্ঠানকে সমর্থন করে যাবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার জ্ঞান বিকাশ কেন্দ্র রেডিও ক্লাবের সভাপতি মোঃ রাসেল সিকদার আমাদের বিভাগের ই-মেইল বক্সে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছেন। ই-মেইলে তিনি লিখেছেন,

লেখার শুরুতে জানাই দিগন্ত জোড়া হলুদ সরিষা ক্ষেতের পাশে বসে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান শোনার শুভেচ্ছা।

৩ জানুয়ারী বূহস্পতিবার আলোছায়া অনুষ্ঠানে লিলি আপু আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের একটি ছবির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আলিম ভাইয়ের কাছ থেকে জানলাম সম্প্রতি চলচিত্রের খবর। তারকা পর্বে ভানু বন্ধোপাধ্যায়ের পরিচিতি শুনলাম। ভানু বন্ধোপাধ্যায়ের নিজের কন্ঠে কৌতুক শুনে হাঁসতে হাঁসতে আমার পেট ব্যাথা হয়ে গিয়েছিলো। আলো ছায়া অনুষ্ঠানে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রষ্ঠা হুমায়ুন আহমদ্দের ঘেটুপুত্র কমলা ছবির সম্পর্কে জানতে চাই। প্রিয় মুক্তা আপু। আলো ছায়া অনুষ্ঠানের আলিম ভাইয়া এবং লিলি আপুকে আমার শুভেচ্ছা পৌছে দিবেন।

শুভেচ্ছান্তে

কে?

প্রিয় মোঃ রাসেল সিকদার, আপনার ই-মেইল আমি পেয়েছি। পরে যদি আপনি আলোছায় অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে নিজের মতামত বা প্রস্তাব প্রকাশ করতে চান, তাহলে দয়া করে lyyui@cri.com.cn এই ইমেইল বক্সে পাঠাবেন। এটা আমার ব্যক্তিগত ইমেইল বক্স। চিঠিতে আপনি লিখেছেন, আপনি আলো ছায়া অনুষ্ঠানে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রোষ্ঠা হুমায়ুন আহমদ্দের ঘেটুপুত্র কমলা ছবির সম্পর্কে জানতে চান। আপনার এই অনুরোধ পূরণ করবো পরের অনুষ্ঠানে। আশা করি, আপনি নিয়মিতভাবে প্রতি বৃহস্পতিবারের আলোছায়া অনুষ্ঠান শুনুবেন। আপনার সমর্থনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শ্রোতাদের চিঠি বা ইমেইল পড়তে পড়তে আমাদের আজকের আলোছায় অনুষ্ঠান প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আগামী বৃহস্পতিবার আমি 'সুখ' নামে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি চলচ্চিত্রের সাথে শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। অনুষ্ঠান শোনার পর আপনাদের মনে কোন অনুভূতি সৃষ্টি হলে, তা আমাদের জানাতে পারেন। আমার ই-মেইল ঠিকানা:---আমাদের বিভাগের ই-মেইল ঠিকানা:--। দয়া করে উল্লেখিত দু'টি ঠিকানায় আপনার ইমেইল পাঠাবেন। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত আমাদের আগামী অনুষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলবে। সম্ভব হলে প্রত্যেক মাসের শেষের মাসের আলোছায়া অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের চিঠি বা ই-মেইল পড়বো। আমি আপনাদের চিঠি বা ই-মেইল অপেক্ষায় রইলাম। আগামী সপ্তাহের একই সময় আবার কথা হবে। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। এখন শুনুন আমার সহকর্মী সাইদুর রহমান লিপনের পরিবেশিত আলোছায়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব।চাই চিয়েন।

লিলি/ লিপন

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040