|
ফলে, চার্লিকে একা একাই নিজের ভাইকে নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে ফিরতে হয়। কিন্তু তাঁর বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাস করা সহজ ব্যাপার ছিল না। রেমন্ডের জীবন চলে রুটিনমাফিক। তিনি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করেন, নির্দিষ্ট সময়ে টিভি দেখেন, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান, নির্দিষ্ট দোকান থেকে কেনা অন্তর্বাস পড়েন। তিনি বিমানে ওঠা পছন্দ করেন না। একবার বিমানবন্দরে রেমন্ড চিত্কার চেঁচামেচি শুরু করেন। এভাবে, রেমন্ডের জীবনযাত্রার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়ে চার্লি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে চার্লি তার কমবুদ্ধির বড় ভাইয়ের অসাধারণ এক নৈপুণ্যের বিষয় আবিস্কার করেন।
চার্লি বুঝতে পারেন যে, রেমন্ডের স্মৃতিশক্তি আশ্চর্যজনক ভালো। অতীতে যেসব গুরুতর বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর ফ্লাইট নম্বর, সময়, স্থান ও কারণ তিনি মুখস্ত বলতে পারেন। কোনো একটি ফোননম্বর একবার দেখলে তিনি তা আর ভোলেন না।
বড় ভাইয়ের এই বিশেষ গুণ আবিষ্কারের পর চার্লির মনে একটি আইডিয়া আসে। তিনি রেমন্ডকে নিয়ে লাস ভেগাসের একটি ক্যাসিনোতে যান। রেমন্ড তাঁর আশ্চর্যজনক স্মৃতিশক্তির ওপর নির্ভর করে জুয়া খেলে ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেন। রেমন্ডের জন্য এটি ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। তিনি অস্বস্তি বোধ করলেন।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |