|
শহরের ঠিকানা: চীনের মধ্যাঞ্চলের হো নান প্রদেশের পশ্চিমে । হোয়াং হো'র মধ্যাঞ্চলের দু'তীরে।
লুও ইয়াং শহর হো নান প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে এবং হোয়াং হো নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। এ শহর খ্রীস্ট পূর্ব ১২ শতাব্দীতে স্থাপিত হয়। তা হলো চীনের সবচেয়ে প্রাচীন ৮টি শহরের অন্যতম। এ শহরটিও চীনের ইতিহাসে "দেবতার শহর" হিসেবে পরিচিত একমাত্র শহর। লুও ইয়াং শহরকে কেন্দ্র করেই হো লুও অঞ্চল চীনা জাতির সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উত্স হিসেবে গড়ে উঠেছে। ইতিহাসে পর পর ১৩টি রাজবংশ এ শহরকে রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখানে বসে তারা ১৫০০ বছরেরও বেশি রাজত্ব চালিয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে পন্ডিতরা ভীড় জমাতেন। তাই এ শহরকে "কবিতার শহর" হিসেবেও বলা হয়। পিয়নি ফুলের সুগন্ধ পুরো শহরে পাওয়া যায়, তাই এ শহরটিকে "ফুলের শহর" হিসেবেও সবাই জানে। প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে সময়কালে পিয়নি ফুল ফুটে। এ সময় লুও ইয়াং শহরে 'পিয়নি ফুল পরিদর্শন মেলা'র আয়োজন করে দেশ বিদেশের পর্যটকের তা দর্শনের আমন্ত্রণ জানায়।
লুও ইয়াং শহরের প্রচুর সাংস্কৃতিক দৃশ্য আছে। এর মধ্যে লুং মেন গুহা হলো চীনের তিনটি গুহার মধ্যে অন্যতম। পাই মা বৌদ্ধ মন্দির হলো চীনের প্রথম সরকারী বৌদ্ধ মন্দির। লুও ইয়াং শহর প্রাচীনকাল থেকেই দেশ বিদেশের সবার জন্য উন্মুক্ত। এ শহরও তখনকার আমলেও ছিল সড়ক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বিশ্ববিখ্যাত রেশমি পথের সূচনা লুও ইয়াং শহরের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আর এ পথের প্রান্তিক জায়গা হলো ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীরে। এ সড়কপথে ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতো । (শুয়েই ফেইফেই)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |