|
শহরের স্লোগান: মানব বিশ্বের ঝরণা নগরী, মর্মস্পর্শী চিনান
ভিত্তিওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত :
চিনান ' মানব বিশ্বের ঝরণা নগরী' বলে পরিচিত একটি ঐতিহ্যিক শহর। গোটা শহরে মোট ৭৩৩টি প্রাকৃতিক ঝরণা রয়েছে। সবচেয়ে বিখ্যাত বাওঠু ঝরণা ' মানব বিশ্বের প্রথম ঝরণা' বলে আখ্যায়িত করা হয়। বাইমেই ঝরণা ' মানব বিশ্বের বিষ্ময়' বলে গণ্য করা হয়।
চীনের তিনটি বড় প্রাচীন সংস্কৃতির অন্যতম লংসেন সংস্কৃতির উত্পত্তি চিনানে। চিনানের ছেনসিয়া হল চীনের নতুন প্রস্তর যুগের শেষ দিকের লংসেন সংস্কৃতির উত্পত্তিস্থল। ছেনসিয়া বিশ্ববিখ্যাত ' চার হাজার বছর আগের পৃথিবীর সভ্যতার সর্বোত্তম লিল্পবলার ' প্রতিনিধি বলে আখ্যায়িত করা হয়। সিওঠাং সেনের গু পরিবারের সমাধি চীনের সবচেয়ে পুরানো ভূপৃষ্ঠের স্থাপত্য । তার ভিতরের দৃশ্য ও অভিলেখনকে ' জাতীয় লিপিকলা ও শিল্পকলা প্রস্তরফলক ' হিসেবে গণ্য করা হয়। লিওফোসিমেন প্যাগোডো হচ্ছে বতর্মানে চীনের সবচেয়ে পুরানো এক তলা পাথর প্যাগোডো। এই প্যাগোডোর চারপাশে হাজার বছর বয়স্ক জিওডি সন নামক গাছ এবং সূক্ষ্ম ভাস্কর্যসম্পন্ন ড্রাগন ও বাঘ প্যাগোডো ও মোঠালিনের পুরাকীর্তি অত্যন্ত মূল্যাবান। ছাংছিনলিন পাহাড়ী মন্দির চীনের চাঁরটি প্রচীন মন্দিরের অন্যতম। মন্দিরের ভিতরে ৪০টি সং রাজবংশের রঙ্গিন মাটির তৈরী দেবতার মূর্তি প্রাণরসে পরিপূর্ণ। এ সব মূর্তিকে ' দেশজুড়ে প্রথম মূর্তি' বলে আখ্যায়িত করা হয়।
চীনের ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি চিনানে জন্ম গ্রহণ করেছেন। যেমন চীনের ঐতিহ্যিক চিকিত্সার প্রতিষ্ঠাতা বিয়েনছুয়ে , চীনের বিখ্যাত লেখিকা লিছিংচাও ও সিনছিজি প্রমুখ। তা ছাড়া, লি বাই, তুফু , সুসে ও জেনগংসহ বিভিন্ন রাজবংশের লেখক ও পন্ডিত ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে চিনান ভ্রমণ করেছেন। সুতরাং দীর্ঘকাল ধরে চিনানের আরেকটি সুনাম হল অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির ভ্রমণের শহর ।
চিনানের যনবাহন ব্যবস্থা অত্যন্ত সুবিধাজনক। চিনান পেইচিং-শাংহাই ও চিওডং-চিনান রেললাইনের সংযোগস্থল । অদূর ভবিষ্যতে পেইচিং-শাংহাই এক্সপ্রেস রেলওয়ে চালু হবে। তখন চিনান থেকে রেলগাড়িতে চড়ে দু'ঘটার মধ্যে পেইচিং ও শাংহাই পৌঁছানো যাবে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |