|
নেপাল থেকে আমদানি বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা হিসেবে দু'পক্ষ চীনে নেপালের কমলার আমদানি ক্ষেত্রে বৃক্ষ স্বাস্থ্যরক্ষা শর্ত সংক্রান্ত প্রটোকল স্বাক্ষর করে।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বাণিজ্য বিভাগের প্রধান থান ইয়ংশৌ বলেন, এবারের অধিবেশন ফলপ্রসূ হয়েছে। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং নেপালের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে অধিবেশনকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্য চালানোর ক্ষেত্রে দু'পক্ষের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু'পক্ষ একমত হয়েছে যে, তিব্বত-নেপাল অর্থ-বাণিজ্য সমন্বয় কমিটির পূর্ণ ভুমিকা পালনের মধ্য দিয়ে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করা হবে।
চীনের প্রতিনিধি দলের প্রধান, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সরকারের উপ-মহাপরিচালক মেই ইয়ুপাও বলেন, দু'পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১১ সালে তিব্বত ও নেপালের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের লেনদেনের পরিমাণ ৯৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। এ অঙ্ক ২০১০ সালের চেয়ে ৮৬.২ শতাংশ বেশি এবং তিব্বতের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের ৭০ শতাংশেরও বেশি।
মেই ইয়ুপাও বলেন, "নেপাল চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে স্থিতিশীল আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার অংশীদারিতে পরিণত হয়েছে। চীন-নেপাল অর্থ-বাণিজ্য সমন্বয় কমিটিও বর্তমানে তিব্বত ও নেপালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্ম-ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে।"
নেপালের প্রতিনিধিদলের প্রধান, বাণিজ্য সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সংবাদদাতাকে জানান, এবারের অধিবেশনে নেপাল ও চীন আর্থ-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু মতৈক্যে পৌঁছায়। নেপাল এখান থেকে লাভবান হবে।
সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে, চীন-নেপাল অর্থ-বাণিজ্য সমন্বয় কমিটির আগামী অধিবেশন ২০১৩ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে। দু'পক্ষ সময়সূচি ও আলোচ্যবিষয় নিয়ে অধিকতর আলোচনা করবে।
খোং চিয়াচিয়া/এসআর
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |