Web bengali.cri.cn   
ইরান উত্তেজনায় ঊর্ধ্বমুখী তেলের মূল্য
  2012-01-19 15:40:05  cri

 

পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর ইতোমধ্যে অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুততার সঙ্গে একই পন্থা অবলম্বনের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্বের অন্যান্য বৃহত অর্থনীতির দেশগুলো যাতে যুক্তরাষ্ট্রের পথ অবলম্বন করে সেজন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর অন্যতম ইরানের ওপর এ অবরোধের ঘোষণায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরান-পশ্চিমা বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। এর পাশাপাশি সৌদি আরবের তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের ওপরে রাখার ঘোষণা, চীনের অর্থনৈতিক ইতিবাচক তথ্য এবং নাইজেরিয়ার আন্দোলনও তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ভূমিকা রেখেছে।

সতেরই জানুয়ারি নিউইয়র্ক একচেঞ্জে ফেব্রুয়ারিতে সরবরাহ হবে - এমন অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২.০৬ ডলার বেড়ে পৌঁছায় ১০০.৭৬ ডলারে। অন্যদিকে, মার্চে সরবরাহ হবে - এমন ব্রেন্ট নর্থ সি অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.১২ ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ১১২.৪৬ ডলারে। এমনিভাবে গত দুই সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক দফা বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ইরানের ওপর পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞা পুরোমাত্রায় কার্যকর হলে তেলের দাম ১৫০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সিঙ্গাপুরে পারভীন অ্যান্ড গার্জ ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি কনসালট্যান্টের সিনিয়র প্রিন্সিপাল ভিক্টর শাম বলেন, ইরানের তেল রপ্তানির ওপর ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে চলে আসায় দাম বাড়ছে। তবে নাইজেরিয়ায় তেলের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তাতে বৈশ্বিক বাজারে দেশটির তেলের প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেও তেলের দাম বেড়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন।

ইরানের তেল রপ্তানি বন্ধে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনকারী যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর আইন পাস হয় যুক্তরাষ্ট্রে। বাকি দেশগুলোকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের তেল আমদানি বন্ধে একমত হয়। তবে কবে থেকে তারা এ নিষেধাজ্ঞা বলবত্ করবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী ২৩ জানুয়ারি বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন। আঞ্চলিক জোটের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স দ্রুত এ তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে থাকলেও ঋণগ্রস্ত বেশ কিছু দেশ আরো ছয় মাস অপেক্ষা করতে চায়।

অন্যদিকে ইরানের তেলের বৃহত্ ক্রেতা এশিয়ার দেশগুলোকেও আমদানি বন্ধে রাজি করাতে কূটনৈতিক তত্পরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জানা গেছে, জাপান যুক্তরাষ্ট্রের এ তত্পরতার প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিলেও চীন ও ভারত জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা ইরান থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করছে না।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040