|
সম্প্রতি চীনে অনুষ্ঠিত জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণ সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে জানা গেছে, ২০১৫ সাল নাগাদ অথার্ত আগামি পাঁচ বছরের মধ্যে ৬৭ কোটি টনের কয়লা সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত হবে।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাত চীনা গণ ব্যাংকের ভাইস গভর্নর মা ডে লেন সম্প্রতি একটি ফোরামে বলেছেন, আগামী কয়েক বছরে সিংজিয়াংয়ের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে আর্থিক সমর্থন দেওয়া হবে। সিংজিয়াংয়ের ওপর পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, সিংজিয়াংয়ের জন্য প্রণীত সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ সম্পূর্ণ করতে হবে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চীনের রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো , চীনের রাষ্ট্রীয় বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর সম্প্রতি যৌথভাবে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ২০১০ সালে বিদেশে চীনের প্রত্যক্ষ পুঁজিবিনিয়োগের পরিমাণ আরেক বার ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কিন্তু চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালযের তথ্য মুখপাত্র সেন ডেন বলেন, যদিও উন্নয়নের গতি অপেক্ষকৃতভাবে দ্রুত হয়েছে , তবুও চীনের বৈদেশিক পুঁজিবিনিয়োগ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
চীনের গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পযর্টন ব্যুরো থেকে জানা গেছে, অস্টম চীন-আসিয়ান মেলা আগামী অক্টোবর মাসের ২১ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পযর্ন্ত গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী নাননিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। চীনের হাইনান প্রদেশ এবং এসিয়ান দেশগুলোর কয়েকটি শহর এবার মেলায় অংশ নেবে। এবার প্রধান প্রতিপাদ্য হল ' পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা'।
চীন-রাশিয়া সীমান্ত ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত ফোরাম ১২ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার ইরকুস্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরামে অংশ গ্রহণকারী দু'দেশের সরকার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে দু'দেশের সীমান্ত ও আঞ্চলিক সহযোগিতা কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি 'ফক্স ' ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ২০১১ সালে এশিয়ার শেয়ার বাজারে উপনীত ৫০টি শক্তিশালী শিল্প প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চীনের ২৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ।
এতক্ষণ কয়েকটি সংক্ষিপ্ত খবর শুনলেন। এখন শুনুন একটি প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটির শিরোনাম: " চীনের বে-সরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের ভবিষ্যত পথ'।
প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, আপনারা কী কোন দিন লেপটোপ বা মোবাইলফোনকে একটি রক্তচাপ মাপার অথবা নিজেদের শরীর ওজন করার যন্ত্রে পরিণত করার কথা ভেবেছেন ? এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্বপ্ন চীনের থিয়েচিন জিওএন বে সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করেছে। এই শিল্প প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ফলে বিশ্বজুড়ে প্রথম বারের মতো আই ফোন ও আইপ্যাক দিয়ে রক্তচাপ মাপা যায়। এখন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের আইফোন ও আইপ্যাক খুব বিক্রি হচ্ছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে এই পণ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে।
থিয়েনচিন জিওএন চিকিত্সা ইলেকট্রোনিক লিমিটেড কোম্পানির প্রকল্প ম্যানেজার জন মিং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ব্যবসায়ীদের স্বাগত জানাতে ব্যস্ত। এক সাক্ষাত্কারে ম্যানেজার জন মিং বলেন,
প্রথম ধাপে আমাদের জামা হাতের ওপর টানতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে প্রধান যন্ত্রপাতি আই হেলথএর সঙ্গে আই ফোন ও আইপ্যাকের সঙ্গে সংযুক্ত করা। তার পর আইফোনে একটি আইকন দেখা দেয়। তারপর এই আইকনের ওপর টিক দিলে রক্তচাপের মাপ শুরু হয়। ওকে, খুব সহজভাবে রক্তচাপের মাপ শেষ ।
এই ইলেকট্রোনিক রক্তচাপ মাপার নাম 'আমার স্বাস্থ্য'। বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র কয়েক মাস ধরে। এখন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বাজারে এই রক্তচাপ মাপার যন্ত্র পাওয়া যায় । এ পণ্যদ্রব্যের মুনাফা ঐতিহ্যবাহী রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণেরও বেশী। এই কোম্পানির সহযোগিতআ যুক্তরাষ্ট্রের আপেল কোম্পানি এভাবে মূল্যয়ন করেছে যে, মোবাইফোন ও কম্পিউটারকে চিকিত্সা ও শরীর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো ভবিষ্যতে দুই কোম্পানির যৌথ সহযোগিতার প্রধান বিষয়।
হয়তো অনেকের কৌতুহল আছে যে, আগের ছোট একটি বে সরকারী ইলেকট্রোনিক শিল্প প্রতিষ্ঠান কীভাবে বিশ্বের নাম-করা শিল্প প্রতিষ্ঠান----যুক্তরাষ্ট্রের আপেল কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়েছে? এ প্রসঙ্গে থিয়েনচিন জিওএন লিমিটেড কোম্পানির বোর্ডের চেয়ারম্যান লি ই প্রত্যক্ষভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর বর্নিত কারণ মাত্র ৯টি চীনা শব্দ। তিনি বলেন,
'ঐতিহ্যবাহী পণ্যদ্রব্য অসুবিধায় পড়েছে'।
জিওএন কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। এই কোম্পানি পরে জাপান ও জার্মানিসহ বিশ্বের বেশ কয়েটি নাম-করা চিকিত্সা সরঞ্জাম কোম্পানিগুলোর মার্কে উত্পাদন চালিয়েছিল। ২০০৯ সালে সব সব দেশের মার্কে উত্পাদিত রক্তচাপ মাপার পরিমাণ দাঁড়িয়ে ছিল ৪০ লাখ। কিন্তু এ সব পণ্যের মুনাফা খুব নিচু । চীনের শ্রমশক্তির মূল্য দিন দিন বাড়ার পাশাপাশি এই শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাপ বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উত্পাদন কাঠামো পরিবর্তন না করে আর কোন উপায় আর নেই। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান লিও ই বলেন,
(রেকডিং ৩)
গত কয়েক বছর ধরে আমাদের কোম্পানি নতুন উদ্ভাবনের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এক দিন আমাদের মাথায় নতুন রক্তচাপ মাপার যন্ত্র তৈরী করার ধারণা আসে। তখন আমরা ভাবছিলাম, হয়তো কম্পিউটার ও মোবাইলফোনের সঙ্গে সংযুক্ত রক্তচাপ মাপার ব্যবস্থা একটি ভাল বুদ্ধি। এখন বুঝতে পেয়েছি যে, এই ধারণা সঠিক।
২০০৯ সালের শেষ দিকে, জিওএন লিমিটেড কোম্পানি প্রথম বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের আপেল কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করল। কিন্তু দু'পক্ষের প্রথম যোগাযোগের অভিজ্ঞতা ভাল হয়নি । তখনকার ঘটনা স্মরণ করে চেয়ারম্যান লিও ই বলেন,
আপেল কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন, এই পণ্যদ্রব্য যুক্তরাষ্ট্র বা বিশ্বের অন্যান্য দেশে জনপ্রিয় করতে চাইলে আমাদের তিনটি কাজ করতে হবে। প্রথমত: একটি ভাল হার্ডওয়ার থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত: একটি ভাল ব্যবহৃত সফটওয়ার থাকতে হবে। তৃতীয়ত: একটি ভাল মার্ক থাকতে হবে। একটি মোটামুটি হার্ডওয়ার থাকলেও ব্যবহৃত সফটওয়ার ও ভাল মার্ক মানদন্ড সজ্ঞত হয়নি।
জিওএন কোম্পানি সঙ্গে সঙ্গে আপেল কোম্পানিকে মার্ক ও সফটওয়ারে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোন একটি নতুন দ্রব্য গবেষণার পর সঙ্গে সঙ্গে মার্ক রেজিস্ট্রিকৃত হয়।
২০১০ সালের আগ্যস্ট মাসে আপেল কোম্পানির অনুরোধে জিওএন কোম্পানি মডেল সংশোধন করেছে। আপেল কোম্পানি এতে সন্তুষ্ট হয়েছে।
তবে আই হেলথ সফটওয়ার গবেষণার পথ এত সহজ হয়নি। আই হেলথ সফটওয়ার মোট চারবার সংশোধিত হয়েছে। এ সংশোধন কাজ সম্পন্ন করতে অর্ধেক বছর লেগেছে।
২০১০ সালের ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে আই হেলথ রেজিস্ট্রিকৃত হয়। এর পর বৃটেন, ফ্রান্স ও ইতালিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আই হেলথ রেজিস্ট্রিকৃত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারীতে প্রথম দ্রব্য আই হেলথ যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ইলেকট্রোনিক মেলায় প্রদর্শীত হয়েছে। কয়েক মাস পর বিশ্বের শতাধিক দেশের ব্যবসায়ীরা এই দ্রব্য অর্ডার করতে চেয়েছেন।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |