|
গত জানুয়ারী পযর্ন্ত জাপানের পর চীন থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বড় বাণিজ্য অংশীদারি হয়েছে। বতর্মানে চীন হচ্ছে থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বড় রফতানি বাজার ও দ্বিতীয় বড় আমদানি উত্পত্তিস্থল।
চীনের আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং প্রদর্শনী ২০১১ আগামি ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রদর্শনীতে প্রধানত ব্যাংকিং তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হবে।
চীনের ব্যাংক তদারকি কমিশন থেকে জানা গেছে, পঞ্চম চীন-মার্কিন ব্যাংক তদারকি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠক পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে প্রধানত ব্যাংক শিল্পের সম্মুখিন প্রধান ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা হবে।
এতক্ষণ সংক্ষিপ্ত খবর শুনলেন। শুরু করছি প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটির শিরোনাম: ' নিম্ন কার্বন ও বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণের লক্ষ্য দ্বাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনায় লিপিবদ্ধ হয়েছে'।
চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে গৃহীত দ্বাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনায় বাতাস শক্তি, সোরশক্তি ও পরিষ্কার সম্পদের নির্মাণ কাজের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কার্বন ডাইঅক্সাইডের নি:সরণ কমানোসহ কয়েকটি জ্বালানী ও বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণের লক্ষ্যমাত্রাও দ্বাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনার কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে চীনের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান জেন শি পিং বলেন, আগামী পাঁচ বছরের জ্বালানী সাশ্রয়ে চীনের লক্ষ্যমাত্রা অত্যন্ত ষ্পষ্ট। তিনি বলেন,
' নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ২০১৫ সাল নাগাদ আমরা জ্বালানী ব্যয়রের মাত্রা ২০১০ সালের তুলনায় ১৬ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য উত্থাপন করেচছি। আগামী পাঁচ বছরে দূষিত পদার্থের নি:সরণের পরিমাণ ৮ থেকে ১০ শতাংশ কমানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাঁচ বছর আগে চীন সরকার প্রথমবারের মতো জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণের লক্ষ্যমাত্রা উন্নয়ন কর্মসূচীতে লিবিবদ্ধ করেছে। একাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনায় ইউনিট প্রতি দেশজ উত্পাদন মোটমূল্যের ব্যয় ২০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য উত্থাপন করা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য চীনের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকার নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালি আসছে। কোন কোন জায়গায় এমন কি বিদ্যুত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে চীনে ৬০ কোটি টনের কয়লা কম ব্যয় করা হয়েছে এবং ৬০ লাখ টনের কার্বন ডাইঅক্সাইডের নি:সরণ কমানো হয়েছে।
চীনের সমাজ বিজ্ঞান এক্যাডেমি সম্প্রতি প্রকাশিত ' চীনের নিম্ন কার্বন ব্যবহৃত শহর উন্নয়ন সবুজ পত্রে' বিশ্লেষণ করা হয়েছে , অল্প সময়ের মধ্যে চীনে কয়লার ওপর নির্ভর করার একটি সত্যতা পরিবর্তিত হবে না। জ্বালানী কাঠামোর ক্ষেত্রে পুর্নবিন্যাস চালানো সহজ কাজ নয়। নিম্ন কার্বন উন্নয়ন কাঠামোতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়ায় বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর চাইতে চীনের সম্মুখীন অর্থ ও প্রযু্ক্তির চাপ আরও বেশী। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আরও বেশী মূল্য দিতে হবে।
চীনের সবচেয়ে গুরুতরপূর্ণ জ্বালানী ও রসায়ন শিল্প কেন্দ্রগুলোর অন্যতম হিসেবে চীনের সেনসি প্রদেশকে এক সময় চীনের সবচেয়ে গুরুতর দূষিত অঞ্চলগুলোর অন্যতম বলে মনে করা হত। বতর্মানে সেনসি প্রদেশ সক্রিয়ভাবে দ্বাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনা চলাকালে বিভিন্ন দফা জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণ কমানোর বিস্তারিত পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেনসি প্রদেশের পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যুরোর দূষিত পদার্থ নিষ্কাশনের মোট পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ পরিচালক হো জন উয়ে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন,
সেনসি ব্যাপক দূষণপ্রাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের গঠন নিয়ন্ত্রণ করবে। উন্নয়নের কাঠামোতে পুনবিন্যাস আনা হবে। অতীতের ঐতিহাসিক উন্নয়নের পদ্ধতি পরিবর্তিত হবে। অন্য দিকে শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঠামোতে পুনবিন্যাসের ওপর বিশেষভাবে মনোযোগ দেয়া হবে। সেকেল-হয়ে যাওয়া উত্পাদান স্থাপনা বন্ধ করা হবে এবং বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণের পরিমাণ কমাতের হবে।
লোহ ও ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ের হার ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। গত দু'বছর খনির দাম একটানা বাড়ানোর পটভূমিতে লোহ ও ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন স্থগিত হয়ে পড়েছে। থাইইয়ান লোহ ও ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম দাগশূণ্য ইস্পাত উত্পাদন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। গত পাঁচ বছরে জ্বালানীর ব্যয় ও বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণ কমানোর ক্ষেত্রে থাইইয়ান শহর ৮০০ কোটি রেন মিন পি বরাদ্দ করেছে। থাইইউয়ান লৌহ ও ইস্পাত লিমিটেড কোম্পানির জ্বালানী কারখানার পরিচালক একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, গত পাঁচ বছরের উদ্যোগে কেবল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো লক্ষ্যণীয় আর্থ-সামাজিক কল্যাণ অর্জন করেছে তাই নয়, থাইইউয়ান শহরের পরিবেশও ব্যপকভাবে উন্নত হয়েছে।
একটি খবরে বলা হয়েছে, দ্বাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনা চলাকালে জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণের পরিমাণ কমানোর জন্য থাইইউয়ান শহর ধারাবাহিক কিছু পদক্ষেপ নেবে। তা ছাড়া, অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঠামোও পুনর্বিন্যাস করা হবে।
জানা গেছে, বিষাক্ত গ্যাস নি:সরণের পরিমাণ কমাতে বিদ্যুত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও কোন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ঘটনা এড়ানোর জন্য স্থানীয় অর্থনীতি উন্নয়নের পদ্ধতিতে চীনের কোন কোন স্থানীয় সরকার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হয়েছে।
চিয়াংসু প্রদেশের উশিয়ে শহর এমন একটি শহর যেখানে রয়েছে সম্পদের অভাব। এ শহরের মেয়র মাও শাও পিং বলেছেন, দ্বাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনা চলাকালে অর্থনীতি কাঠামোর পুনর্বিন্যাসে উশিয়ে পৌ সরকার ধারাবাহিক ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন,
প্রথমত: হাইটেক উত্পাদনের উন্নয়ন দ্রুততর করার জন্য অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস আরও জোরদার করা হবে। দ্বিতীয়ত:পরিসেবা শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। তৃতীয়ত: কৌশলগত নবোদিত উত্পাদন শিল্পের ওপর আরও মনোযোগ দিতে হবে।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |