Web bengali.cri.cn   
'চীনের ইলিকট্রোনিক বাণিজ্য দ্রুত গতিতে বিকশিত হয়েছে'
  2011-03-24 19:53:31  cri
সম্প্রতি পেইচিংয়ে আয়োজিত চীনের দ্বাদশ উন্নয়ন সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের ফোরামে চীনের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান জেন পিং বলেছেন, আগামি পাঁচ বছরে ভোক্তার চাহিদা বাড়ানোকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণের প্রধান কাজ হিসেবে মনে করা হবে। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদী ও কার্যকর কর্মসূচী প্রণয়ন করা উচিত। তিনি অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর কথা বলার সাথে সাথে বলেন শহরায়নের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তা ছাড়া ভোক্তার পরিবেশ উন্নত করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী জেন ডে মিন সম্প্রতি পেইচিংয়ে বলেছেন, দ্বিপাক্ষীক বাণিজ্যের ভারসাম্য ত্বরান্বিত করার জন্য চীন আশা করে, চীনের সঙ্গে বিপুল পরিমাণে বাণিজ্যের ঘাটতি রয়েছে বিরাজমান এমন দেশগুলো চীনের প্রতি তাদের রফতানি লাঘব করবে। তিনি বলেন, বতর্মানে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ বছরের প্রথম দিকে চীনের বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে অনুন্নত দেশ ও প্রধান বাণিজ্যিক দেশগুলোর কাছ থেকে চীনের আমদানি বাড়বে।

সম্প্রতি পেইচিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য ক্ষেত্রের ২০ জনেরও বেশী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে নির্মান শিল্প, তথ্য উত্পাদন শিল্প, অবকাঠামো স্থাপনার নির্মাণ, পরিবেশ সংরক্ষণসহ নানা ক্ষেত্রের সহযোগিতা ও পুঁজিবিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু'দেশের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিশ্ব মন্দা মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

গুয়াংযৌর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত 'নতুন গুয়াংযৌ : নতুন বাণিজ্যের সুযোগ' প্রদর্শনি সম্প্রতি পেইচিংয়ের মহা গণ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের প্রদর্শনীতে ১৪০টি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পুঁজিবিনিয়োগের মোট পরিমাণ ৭২ হাজার ৩০০ কোটি রেন মিন পিতে দাঁড়িয়েছে।

চীনের শ্রম সম্পদ ও সমাজ নিরাপত্তা উপ মন্ত্রী ইয়াং জি মিং ২২ মার্চ জানিয়েছেন, ২০১০ সালে চীনের কৃষক শ্রমিকের সংখ্যা ২৪ কোটিরও বেশি হয়েছে। তিনি বলেন, আগামি পাঁচ বছরে চীনের কৃষক শ্রমিকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে স্বার্থ ও অধিকার ক্ষেত্রে নতুন যুগের কৃষক শ্রমিকদের চাহিদা লক্ষ্যণীয়ভাবে বাড়ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যাণ ব্যুরোর এক জরীপে দেখা গেছে, আগামী কয়েক বছরে কৃষক শ্রমিকদের জন্য নানা ধরনের পেশাদার প্রশিক্ষণ জোরদার করা হবে।

এতক্ষণ সংক্ষিপ্ত খবর শুনলেন।

এবারের প্রতিবেদনটির শিরোনাম:

'চীনের ইলিকট্রোনিক বাণিজ্য দ্রুত গতিতে বিকশিত হয়েছে'

বন্ধুরা, বতর্মানে বিশ্বজুড়ে সেলফোন একেবারে মানুষের সঙ্গী হয়ে গেছে। যখন আমরা পাতাল রেলে বা বাসে চড়ি তাহলে আমাদের সামনে এই দৃশ্য দেখতে পারি যে, অনেকেই হাতের সেলফোনে খবর পড়ে বা গেম খেলে থাকে। অফিসে যাওয়া বা ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরে আসার পথে এভাবে সময় কাটানো এখন অনেকের প্রথম বাছাই। বাস্তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেলফোন গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেটের টারমিনালে পরিণত হয়েছে। চীনের ইন্টারনেট তথ্য কেন্দ্র প্রকাশিত একটি জরীপে জানা গেছে, ২০১০ সালের শেষ নাগাদ চীনের নেট নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৪৫.৭ কোটির মতো। তাদের মধ্যে ৩০.৩ কোটি সেলফোন নেট নাগরিক। সেলফোন নেট নাগরিকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আর কী কী ঘটনা ঘটেছে? সংশ্লিষ্ট একটি রিপোট থেকে এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।

এই রিপোটে দেখা গেছে, ২০১০ সালের শেষ নাগাদ চীনের নেট নাগরিকের সংখ্যা ৪৫.৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে যা ২০০৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৭ কোটি ৩৩ লাখ বেশি। চীনের সেলফোন নেট নাগরিকের সংখ্যা ৩০.৩ কোটি। কিন্তু একটি প্রবণতা উপেক্ষা করা চলবে না। এ প্রবণতা হল ২০০৯ সালের তুলনায় সেলফোন নেট নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে গেছে।

বতর্মানে ল্যাপটপের মাধ্যমে লগইন করা এমন নেট নাগরিকের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ রিপোটে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে কম্পিউটার, সেলফোন ও ল্যাপটপের মধ্যে নেট নাগরিকদের লগইন করার হার যথাক্রমে ৭৮.৪, ৬৬.২ ও ৪৫.৭ শতাংশ যা ২০০৯ সালের তুলনায় ল্যাপটপের মাধ্যে লগইনের হার ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বতর্মানে চীনের ইন্টারনেট অর্থনীতি উন্নয়নের প্রধান শক্তি হল ইলেকট্রোনিক বাণিজ্য ধরনের ইন্টারনেট। রিপোটটিতে বলা হয়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা করা ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৪৮.৬ শতাংশ বেড়েছে"। এখন চীনা অন লাইনের অর্থনৈতিক তত্পরতা দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করছে।

নেটের নিরাপত্তার ওপর সরকারের সংস্কার জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে বতর্মানে নেট নিরাপত্তা সমস্যা লক্ষ্যণীয়ভাবে উন্নত হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রের পরিস্থিতি এখনও কঠোর। নেট নিরাপত্তা সমস্যা অবহেলা করা যায় না। রিপোটটিতে বলা হয়, ২০১০ সালে ৪৫.৮ ভাগের নেট নাগরিকের কম্পিউটার বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ২১.৮ ভাগের নেট নাগরিকের কম্পিউটারের কোড নম্বর চুরি হয়েছে।

রিপোটটিতে বলা হয়, চীন এখন সার্বিকভাবে নেট যুগে প্রবেশ করেছে। এখন জনসাধারণের জীবন ইন্টারনেটের সঙ্গে তা বিছিন্ন করতে পারা যায় না। এর পাশাপাশি এ থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও আর্বিভুত হয়েছে। তাহলে এ সব সমস্যা কীভাবে মিমাংসা করা হবে এ প্রসঙ্গে চীনের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর তথ্যায়ন গবেষণালয়ের মহাসচিব চিয়াং ছি পিং বলেন, সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে তিন পক্ষের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথমত: এই রিপোটে দেখা গেছে, নেট নাগরিকদের মধ্যে সেলফোন নেট নাগরিকের হার আরও বেড়েছে। এখন এ সব নেট নাগরিক চীনের মোট নেট নাগরিকের সংখ্যা বাড়ানোর একটি প্রধান চালিকা শক্তিতে পরিণত হয়েছে। সেলফোন নেট নাগরিকের দ্রুত বৃদ্ধি চীনের ইন্টারনেট উত্পাদন শিল্পের ওপর কী কী প্রভাব ফেলতে পারে? দ্বিতীয়ত: এ রিপোর্টে দেখা গেছে, বতর্মানে নেট আমোদ প্রমোদ ক্ষেত্র সঙ্কচিত হয়ে গেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রোনিক বাণিজ্য দ্রুত গতিতে বিকশিত হয়েছে। তৃতীয়ত: নেট নাগরিকের সংখ্যা বাড়ার ফলে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যেমন তথ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সমস্যা এখন অত্যন্ত গুরতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক কথায়, মানবজাতি এখন সার্বিকভাবে ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করেছে। কিন্তু এর পাশাপাশি এ থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জও গড়ে উঠেছে। এ সব সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের অফুরন্ত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040