|
জাপানের শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিয়াগি ও ইওয়াতে ও উত্তরাঞ্চলের হোক্কাইডোতে তাদের চারটি কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলোতে উত্পাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য এবং সেখাকার কর্মীদেরকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। কবে নাগাদ বন্ধ কারখানাগুলো আবার চালু হবে সে সম্পর্কে কম্পানির পক্ষ থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আরেক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিশান মোটর কম্পানি জানিয়েছে, দুর্যোগের কারণে তাদের চারটি কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। সুনামি আক্রান্ত ফুকুশিমা ও কাওয়াচিতে অবস্থিত তাদের দুটি কারখানায় আগুন ধরে যায়। পরবর্তী সময়ে আগুন নেভানো গেলেও নিশানের দুজন কর্মী এতে আহত হন। ফলে এক ঘোষণার মাধ্যমে নিশান তাদের পাঁচটি কারখানা বন্ধ রাখার কথা জানায়। নিশান জানিয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা না করে ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে কথা না বলে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এ ছাড়া সনি করপোরেশনকেও ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল মিয়াগি ও ফুকুশিমাতে পাঁচটি কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সনির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা থেকে তাদের সব কর্মীকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর জাপানের কয়েকটি জ্বালানি শোধনাগারেও আগুন ধরে যায়। এর ফলে ওই শোধনাগারগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। দেশটির ইচিহারার শিবায় কসমো অয়েল কম্পানির একটি তেল শোধনাগারে তরলায়িত জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংরক্ষণের পাঁচটি আধারে আগুন লেগে যায়। সেখানকার এক সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর জাপানের উত্তর-পূর্বের শহর সেন্দাইয়ের আরো একটি জ্বালানি কারখানায়ও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। টেলিভিশনে প্রদর্শিত বিভিন্ন ভিডিওচিত্রে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের শিখা কয়েক দিন ধরে জ্বলতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কলকারখানা বন্ধ ও শিল্পখাতে অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া গেছে তা প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির অতি সামান্য অংশ। ফলে মোট ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করতে আরো বেশ কিছু দিন লাগবে।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |