|
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের চেয়ারম্যান জান ছিন লি সম্প্রতি বলেছেন, ছিনহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হওয়ার ৪ বছরে তিব্বতের জনসাধারণের পরিবহণ ব্যয় ১৮৭ কোটি রেন মিন পি কমানো সম্ভব হয়েছে। এটা ছিনহাই-তিব্বত তিব্বতের জন্য বাস্তব কল্যাণ এনিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য ২০০৬ সালের ১ জুলাই ছিনহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হয়। জান ছিন লি বলেন, তিব্বতের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে ছিনহাই-তিব্বত রেলপথ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। এখন তিব্বতে রেলপথ, সড়ক ও বিমান পরিবহণের বহুমুখী পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। যার ফলে তিব্বত ও দেশের মূল ভূভাগের মধ্যে দূরত্ব কমে গেছে। এক কথায়, তিব্বত থেকে বাইরে যাওয়া এবং বাইরে থেকে তিব্বতে প্রবেশ করার সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। গত ৪ বছরে ৬৫ লাখ ৮০ হাজার পার্সন টাইমস পযর্টক ও ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টন মালপত্র ছিনহাই-তিব্বত রেলপথ দিয়ে তিব্বতে যাতায়াত করেছে। ছিনহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হওয়ার পর তিব্বতের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ তরান্বিত করা হয়েছে, পুঁজিবিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা হয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি তরান্বিত করা হয়েছে এবং জনসাধারণের আয় বাড়ানো হয়েছে।
২০১০ সালে চীনে গাড়ি উত্পাদন ও বিক্রির সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখে পৌঁছে বিশ্বের প্রথম স্থান বজায় রেখেছে। গত ১০ জানুযারি চীনের গাড়ি শিল্প সমিতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে চীনের গাড়ি উত্পাদন ও বিক্রির পরিমাণ ২০০৯ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশী। কেবল ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে যথাক্রমে ১৫ লাখ ৫০ হাজার গাড়ি ও ১৬ লাখ ৫০ হাজার গাড়ি উত্পাদন ও বিক্রি হয়েছে।
প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, এতক্ষণ শুনলেন কয়েকটি সংক্ষিপ্ত অর্থনীতির খবর। এখন শুনুন একটি প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটির শিরোনাম: 'মরুভূমি সমৃদ্ধ অঞ্চলে রূপান্তরিত হয়েছে' ।
প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, মানুষের চোখে মরুভূমি একটি জনশূন্য বিস্তীর্ণ এলাকা। নীল আকাশ ছাড়া সেখানে আর কোন কিছু দেখা যায় না। কিন্তু চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নিনশা জনওয়ের মানুষের চোখে মরুভূমি আসলে একটি সমৃদ্ধ অঞ্চল। অর্ধশতাব্দী আগে মরুভূমি ছিল জনওয়ে শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা প্রচেষ্টার কারণে বতর্মানে মরুভূমি এ শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সরে গেছে। এখন এককালের মরুভূমিতে শাকসবজী চাষ করার জন্য গ্রীনহাউস স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া আপেল গাছসহ বেশ কয়েক ধরনের ফল গাছ লাগানো হয়েছে। এককালের মরুভূমি কীভাবে আজকের সমৃদ্ধ এলাকায় পরিণত হয়েছে এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানার জন্য গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে সি আর আইয়ের নিজস্ব সংবাদদাতা জনওয়ের মরুভূমি অঞ্চলে যান।
(রেকডিং ১)
ঠাণ্ডা বাতাসের বিরুদ্ধে আমরা জনওয়ে শালওবাও কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোম্পানির আধুনিক কৃষি আদর্শ কেন্দ্র এগিয়ে এসেছি। আমাদের চোখের সামনে সারি সারি গ্রীনহাউস। এ সব গ্রীনহাউসে নানা ধরনের শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। এ সব গ্রীনহাউসের পশ্চিম দিকে মরুভূমিতে রোপনযোগ্য এক ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। আরও দূরে তাকালে চীনের চতুর্থ বড় মরুভূমি - ঠাংগলি মরুভূমি চোখে পড়ে।
গ্রীনহাউসে প্রবেশ করে মনে হয় শীতের দিন থেকে গ্রীষ্মকালের দিনে এসে পড়েছি। ভিতরে গরম লাগে। প্রতিটি গ্রীনহাউসে একই ধরনের শাকসবজি চাষ করা হয়। যেমন বেগুণ, পেঁয়াজ, ফুলকপি ইত্যাদি। এই কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক লেও জান বিন সেনইউগো নামে এক ফুল কুঁড়িয়ে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। সেটা খেতে খুব মিষ্টি লাগে। মহাব্যবস্থাপক লেও জান বিন সাংবাদদাতাকে বলেন, মরুভূমিতে শাকসবজি চাষ করার অনেক সুবিধা আছে। প্রথমত মরুভূমির জমি ও আবহাওয়া অত্যন্ত পরিষ্কার এবং কীটের ক্ষয়ক্ষতি খুব কম। দ্বিতীয়ত গ্রীনহাউস নির্মাণ করতে খুব কম খরচ হয়।
মরুভূমিতে সমৃদ্ধ ভূগর্ভস্থ পানি রয়েছে বলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওখানে প্রায় দশ হাজারের মতো গ্রীনহাউস নির্মাণ করা হয়েছে। এ সব গ্রীনহাউস নির্মাণে সরকার ভতুর্কি দিয়েছে। তা ছাড়া কৃষকদের জন্য স্থানীয় সরকার নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে।
মরুভুমিতে গ্রীনহাউস নির্মাণের ফলে স্থানীয় জনসাধারণ উপকৃত হয়। জনওয়ে শহরের তথ্য বিভাগের পরিচালক ইউয়ান হাই ছিন বলেন, আগামী পাঁচ বছরে জনওয়ে এলাকায় শাকসবজি ও ফুল চাষ করার মতো এক লাখ গ্রীনহাউস নির্মাণ করা হবে।
উল্লেখ্য, কয়েক দশক আগেও জনওয়ে এমন একটি অঞ্চল ছিল যেখানে ছিল কেবল মরুভূমি আর মরুভূমি। গত শতাব্দীর আশি দশকে নিনশাও পযর্টন মহল লক্ষ্য করে সেখানের দৃশ্য খুব সুন্দর। ১৯৯৪ সালে এই অঞ্চল জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচীর 'বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সংরক্ষণের ৫০০টির অন্যতম ইউনিটের' স্মরণ মর্যাদা পেয়েছে। প্রতি বছর এখানে অজস্র পর্যটক ভ্রমণ করতে আসে।
এতক্ষণ আজকের প্রতিবেদন শুনলেন। শোনার জন্য ধন্যবাদ।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |