Web bengali.cri.cn   
সংক্ষিপ্ত খবর
  2010-10-28 19:06:17  cri
বাংলাদেশে রাজস্ব আদায়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি

চলতি অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আদায়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০১০-১১ অর্থবছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। এ সময়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হওয়ায় রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এ সপ্তাহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ১৭ শতাংশ হারে আদায় বাড়লে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব, সেখানে আদায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। কাজেই এ ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে না। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭২ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে আদায় হয়েছে সোয়া ১৫ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। অর্থাত্ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। আদায়ের প্রবৃদ্ধি ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।

আদায়ের দিক থেকে বেশি এগিয়ে আছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও আয়কর। অভ্যন্তরীণ এই দুটি উত্স থেকে আদায় বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ৩২ ও ২৬ শতাংশ। এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, প্রথম প্রান্তিকে ভ্যাট খাতে ৫ হাজার ২১৬ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ৩ হাজার ১৫৫ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয়কর আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।

ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ

গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির বাণিজ্যসচিব রাহুল খুল্লার সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান। বৈদেশিক রপ্তানিতে দামি পাথর, গহনা ও পোশাক খাতের বড় ভূমিকার কারণে রপ্তানি আয় এমনটা বেড়েছে বলে তিনি জানান। রাহুল বলেন, ভারত আগামী বছর মার্চের মধ্যে দুই হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে রপ্তানি প্রবণতা সে পথেই এগোচ্ছে। এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত চলতি অথর্বছর গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।

এদিকে এক বিবৃতিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, পর্যাপ্ত যোগান ও বেশ কিছু পণ্যের দাম কমে আসায় ভারতের খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমে এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসের ৯ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগের সপ্তাহের চেয়ে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশে নেমে এসেছে। আগের সপ্তাহে দেশটিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালো ফলনের কারণেই মূলত খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমেছে। (সূত্র: পিটিআই)

বিশ্ব অর্থনীতি

দূর্নীতি সূচকের শীর্ষে সোমালিয়া

দূনীতি-বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত দূর্নীতি ধারণাসূচকে দ্বিতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ দূর্নীতিগ্রস্ত দেশের স্থান দখল করেছে সোমালিয়া। গেল মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একযোগে বিশ্বব্যাপী তাদের বার্ষিক এ ধারণাসূচক প্রকাশ করে।

সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ পয়েন্টের স্কেলে মাত্র ১ দশমিক ১ পয়েন্ট নিয়ে দূনীতি ধারণাসূচকে শীর্ষে রয়েছে সোমালিয়া। টিআইর এবারের প্রতিবেদনে ১৭৮টি দেশ স্থান পেয়েছে। এতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যৌথভাবে আফগানিস্তান ও মিয়ানমার, তৃতীয় স্থানে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাক, এবং চতুর্থ স্থানে সুদান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান।

অন্যদিকে সূচকে ৯ দশমিক ৩ পয়েন্ট নিয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের দিক থেকে আফগানিস্তান তৃতীয়, নেপাল দশম, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ একাদশ, শ্রীলংকা ২০তম ও ভারত ২১তম অবস্থানে। তবে ভুটান ৪৪তম স্থান নিয়ে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম দূর্নীতির দেশ হিসেবে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং অভ্যন্তরীণ সংঘাত-সংঘর্ষে পীড়িত দেশগুলোতেই দূর্নীতির উপস্থিতি বেশি। যেমন, সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে সোমালিয়ার পরই রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, ইরাক, সুদান, তুর্কিস্তান, উজবেকিস্তান, শাদ, বুরুন্ডি, অ্যাঙ্গোলা। (সূত্র: ইন্টারনেট)

আইএমএফ সংস্কারে সম্মত জি-২০

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশগুলোর সংগঠন জি-২০, বা ২০ জাতিগোষ্ঠির, অর্থমন্ত্রীরা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সংস্কারে একমত হয়েছেন। এর পাশাপাশি তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতামতকে জোরালো করার পক্ষেও মত দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত এক সম্মলেন অর্থমন্ত্রীরা বলেন, অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশকে অধিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে আইএমএফ পুনর্গঠন করা হবে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে, দ্রুত অগ্রগতির কিছু উন্নয়নশীল দেশকে এ গোষ্ঠির মাধ্যমে বার্ষিক ছয় শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, পশ্চিম ইউরোপ আইএমএফের দুটি আসন হারালে তাদের আইএমএফ বোর্ডে কয়েকটি আসন দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রধান সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা অব্যাহত থাকবে। আইএমএফে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশ ভোট প্রয়োজন। কিন্তু এ সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাধিকার শতকরা ১৭ ভাগ। এ ছাড়া জি-২০ অর্থমন্ত্রীদের এ সম্মেলনে মুদ্রার বিনিময় হার ও বিশ্বের বিভিন্ন মুদ্রাকে ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগিতামূলক রাখার ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা হয়। মন্ত্রীরা বাজার কর্তৃক নির্ধারিত মুদ্রাবিনিময় হার পদ্ধতি গ্রহণে ও মুদ্রার কৃত্রিম অবমূল্যায়ন থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে একমত হন। (সূত্র: ইন্টারনেট)

রাশিয়ার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে নানা মত

আগামী বছর রাশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতির হার গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশের কাছাকাছি থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তিনি এ ইঙ্গিত দেন। তবে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী অ্যালেক্সি কুদ্রিন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পূর্বাভাসের বিরোধিতা করে বলেছেন, আগামী বছর দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার সাত শতাংশে পৌঁছতে পারে। সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিসংখ্যান দপ্তর স্টেট স্ট্যাটিসটিকস সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮ শতাংশ। তা ছাড়া বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির গড় হার ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছর রাশিয়ায় ৮ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। (সূত্র: এএফপি)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040