|
ভারতে চলতি ২০১০-১১ শস্যবছরে ধান উত্পাদনের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির কৃষিমন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি শস্যবছরে ভারতে ১০ কোটি টন ধান উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলেও তা অর্জন সম্ভব নাও হতে পারে। দেশটির উত্তর প্রদেশে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে খরার কারণে উত্পাদন কমে যেতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চলতি শস্যবছরে সব মিলিয়ে ভারতে সাড়ে ৯ কোটি টন ধান উত্পাদিত হতে পারে। গত মাসে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি শস্যবছরে খরিফ মৌসুমে, অর্থাত্ জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে, ভারতে আট কোটি টনের মতো ধান উত্পাদিত হতে পারে। গত শস্যবছরেরর একই সময়ে দেশটিতে সাত কোটি ৫৯ হাজার টন ধান উত্পাদিত হয়েছিল। (সূত্র: পিটিআই)
সার্ক দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে
গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্ক অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি এর আগের অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে নয় শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৪২ কোটি ডলারের কিছু বেশি। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে অঞ্চল থেকে রপ্তানি-আয় হয়েছিল প্রায় ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
তবে পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরে দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। গত অর্থবছর বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি থেকে মোট আয় হয়েছে এক হাজার ৬২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৫৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি এর আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়ে ৩০ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে পৌঁছায়। তার আগের বছর রপ্তানি হয়েছিল ২৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের পণ্য।
অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত থেকেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে থাকে। আর গোটা বিশ্বের মধ্যে চীনের পর ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানি উত্স। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৩২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর ফলে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩০০ কোটি ডলারের ওপরে। (সূত্র: কালের কন্ঠ)
বাংলাদেশ-ভারত 'সীমান্ত হাট' চুক্তি এ মাসেই
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত শিগগিরই 'সীমান্ত বাজার' চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ তথ্য জানান।
তিন দিনের সফরে আগামী ২০ অক্টোবর বাণিজ্যমন্ত্রীর ভারত যাওয়ার কথা রয়েছে। এ সফরেই 'সীমান্ত বাজার' চুক্তি হতে পারে এমন আভাস দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, "চলতি মাসের মধ্যেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি আমরা।" তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে দেশ দুটির চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটারের উন্মুক্ত সীমান্তের দুটি স্থানে এ বাজারের কার্যক্রম শুরু হতে পারে। (সূত্র: পিটিআই)
বিশ্ব অর্থনীতি
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে ওপেকের সংশয়
বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি গতির অচিরেই খুব সচল হবে এমন সম্ভাবনা দেখছে না জ্বালানি তেল উত্পাদনকারীদের জোট ওপেক। জ্বালানি তেলের বর্তমান চাহিদার ভিত্তিতে ওপেকের শীর্ষ পর্যায়ের অভিমত, ২০১১ সাল পর্যন্ত এই মন্থরগতি অব্যাহত থাকতে পারে। সম্প্রতি ওপেকের পক্ষ থেকে এ অভিমত দেওয়া হয়।
ওয়াশিংটনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওপেকের মহাসচিব আবদুল্লাহ সালেম এল বাদরি বলেন, "অনেক দেশেই প্রণোদনা কর্মসূচিগুলো শেষ হয়ে আসছে। মন্দা উত্তরণের ধীরগতির প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের চাহিদার ওপর। এ পরিস্থিতি আগামী বছর তেমন বদলাবে বলে মনে হচ্ছে না। উপরন্তু বিশ্ব অর্থনীতিতে আগামী বছর প্রবৃদ্ধি চলতি বছরের তুলনায়ও কম হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।"
এল বাদারি জানান, চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে ধারণা করা হচ্ছে আগামী বছর দৈনিক জ্বালানি তেলের চাহিদা হবে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল। তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের সভায় উল্লেখ করেন, গত এক বছরে অপরিশোধিত তেলের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। এর আগে তেলের মূল্যে বেশ ওঠানামা থাকলেও গত এক বছরে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৭০ থেকে ৮০ ডলারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে তার মূল্যায়ন হচ্ছে, অর্থনৈতিক মন্দা উত্তরণের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তাই তেলের দাম কমিয়ে রাখার ব্যাপারে চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। (সূত্র: এএফপি)
এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ লাখ বেকার
চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ৯৫ হাজার মানুষ বেকার হয়েছে। এর আগের মাসে কাজ হারিয়েছিল ৫৪ হাজার মানুষ। রাষ্ট্রীয় খাতে গণ জনবল ছাঁটাইয়ের কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শ্রম বিভাগের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় খাত থেকে সব মিলিয়ে এক লাখ ৫৯ হাজার মানুষকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। অন্যদিকে একই মাসে বেসরকারি খাতে ৬৪ হাজার মানুষ চাকরি পেয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে বেকারত্বের হার ৯ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, স্থায়ীভিত্তিতে কাজ করতে চাইলেও খণ্ডকালীন কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে এমন কর্মজীবীর হার আগস্টের ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে সেপ্টেম্বরে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। (সূত্র: বিবিসি অনলাইন)
মূদ্রাবাজারে অস্থিতিশীলতার জন্য ফেডারেল রিজার্ভ ও ইসিবিকে দোষারোপ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিজ অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাত্ ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপিয়ীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)'র চরম শিথিল আর্থিক নীতির কারণে বিশ্বের মূদ্রাবাজার টালমাটাল অবস্থার মধ্যে পড়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ অভিযোগ তোলেন। তাঁর মতে, এ দুটি সংস্থার কারণে বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারও পূর্ণ গতি পাচ্ছে না।
স্টিগলিজ বলেন, ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপিয়ীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য বৃদ্ধির কারণে বিশ্ব মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ফলে ব্রাজিল ও জাপানের মতো দেশগুলোকে নিজ নিজ রপ্তানিকারকদের রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য ফেডারেল রিজার্ভ এ ধরনের উদ্যোগ নিলেও আসলে তা দেশটির অর্থনীতিকে গতি তো দিচ্ছেই না, বরং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, যে নীতিতে ফেডারেল রিজার্ভ এগোচ্ছে, তা খুবই অদ্ভুত।
ফেডারেল রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের জন্য শিথিল শর্তে লেনদেন করার নীতিমালা নেওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের মূল্যমান প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দাম
ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দাম গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। চলতি সপ্তাহে প্রতিটি ডলার বিনিময় হয়েছে ৮২ দশমিক ২২ ইয়েনে। এর আগে ডলারের দাম ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ ইয়েনে। ২০০৪ সালে জাপানের আর্থিক বাজারে প্রথম মার্কিন ডলার ঢোকে। তখন থেকেই ইয়েনের মুদ্রামানের ব্যাপারে রপ্তানিমুখী কৌশল হিসেবে ইয়েনের দাম ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা হয়। (সূত্র: এএফপি)
ছয় কোটি টন শস্য সংগ্রহ করবে রাশিয়া
চলতি বছর রাশিয়া ছয় কোটি টন শস্য সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর জুবকোভ সম্প্রতি মস্কোয় জানান, ২০০৯ সালে রাশিয়া সরকার ৯ কোটি ৭০ লাখ টন শস্য সংগ্রহ করেছিল।
জুবকোভ বলেন, গ্রীষ্মে রাশিয়ার ৩৮টি অঞ্চলে অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে এবার ফসল কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফসল কম হওয়া সত্ত্বেও দেশে যে সঞ্চয় আছে, তা রাশিয়ার শস্যের চাহিদা সম্পূর্ণ মেটাতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া পশুপালন ক্ষেত্রে সূচক গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে, শূকর পালনের ক্ষেত্রে সূচক বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ এবং পাখি পালনের ক্ষেত্রে প্রায় ১৩ শতাংশ । (সূত্র: ইন্টারনেট)
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |