Web bengali.cri.cn   
এশিয়া ভবনের 'ছোট বিশ্ব : বড় প্ল্যাটফর্ম'-আফগানিস্তানের জাতীয় ভবন
  2010-09-23 18:46:21  cri

আফগানিস্তান জাতীয় ভবনটি শাংহাই বিশ্বমেলার 'এ' এলাকায় এশিয়ার দ্বিতীয় যৌথ ভবনে অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তান যুদ্ধের কঠোরতার ভেতরও উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখছে। শাংহাই বিশ্বমেলায় আফগানিস্তান তার দেশকে কীভাবে প্রদর্শনীতে নিজেদের উপস্থাপন করছে? আজকের চীনের অর্থনীতি অনুষ্ঠানে আফগানিস্তান জাতীয় ভবন সম্পর্কে শুনুন তাহলে কিছু কথা ।

আফগানিস্তান বিশ্বমেলায় এবারই প্রথমবার যোগ দিয়েছে। একটি যুদ্ধরত এবং নিরাপত্তার সমস্যার সম্মুখিন দেশ হিসেবে বিশ্বমেলায় যোগ দেয়া একটি সাফল্য । শাংহাই বিশ্বমেলার আফগানিস্তান ভবনের পরিচালক হাজি ওমর বলেছেন, (১)

চীন শাংহাই বিশ্বমেলা আয়োজন করেছে। এটি বিভিন্ন দেশকে পরস্পরের বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম এনে দিয়েছে। আফগানিস্তানের এবারের বিশ্বমেলায় যোগ দেয়ার ফলে দু'দেশের মধ্যে সংস্কৃতি ও আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় আরো জোরদার ও কল্যাণকর হবে।

আফগানিস্তান ভবনের প্রসঙ্গ হল 'আফগানিস্তান : এশিয়ার হৃৎপিন্ড এবং সুযোগ ও সম্পদের দেশ'। আফগানিস্তান মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত। এশিয়ার কেন্দ্র হিসেবে দেশটির বিশেষ কৌশলগত মর্যাদা বরাবরই বিশ্বের গুরুত্ব পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তান কেবল পূর্ব ও পশ্চিমা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিনিময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে তাই নয়, বরং নিজের শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও বিরাট প্রাকৃতিক সম্পদকেও ধরে রেখেছে।

আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আনওয়ার উল হক আহাদি বলেছেন, শাংহাই বিশ্বমেলায় যোগ দেয়ার ফলে যুদ্ধের পর পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের আর্থ-বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, (২)

সাংস্কৃতিক বিনিময় ছাড়াও ২০১০ সালের শাংহাই বিশ্বমেলায় সকল অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ জোরদারের জন্য অনুকূল পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। এতে চীন ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বেড়েছে। বিশেষ করে চীন ও আফগানিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক বিনিময় দীর্ঘদিনের ইতিহাস রয়েছে। দু'দেশের জনগণ এ থেকে অনেক বেশি উপকৃত পেয়েছে। আফগানিস্তান চীন থেকে বেশি পণ্য আমদানি করেছে। তবে আফগানিস্তানের চীনে রপ্তানির পরিমাণ বেশি নয়। আমরা এ ক্ষেত্রে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আশা করি, চীন সরকার ও বেসরকারী পক্ষের সাহায্যে পরবর্তী কয়েক বছরে চীনে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

আফগানিস্তান ভবনে প্রদর্শিত মূল্যবান জিনিসপত্র পর্যটকদেরকে আফগানিস্তানের ইতিহাস ও চমত্কার সংস্কৃতি জানতে সাহায্য করেছে। আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার ও পণ্য উন্নয়ন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, (৩)

এবারের বিশ্বমেলার আয়োজন আফগানিস্তানের আর্থ-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ছ' মাস ব্যাপী প্রদর্শনকালে আমাদেরকে চীন ও অন্যান্য দেশের বাণিজ্যিক বিনিময়ের সুযোগ এনে দিয়েছে। আমি মনে করি, এবারের প্রদর্শনী আফগানিস্তান ও চীনের প্রতি খুব ভাল সুযোগ।

আফগানিস্তান ভবনে পর্যটকরা কেনাকাটার জন্য ভীড় করেছে। ভবনে আফগানিস্তানের কাপড় ও হস্তশিল্পজাত দ্রব্য বিক্রির অবস্খ সবচেয়ে ভাল। আফগানিস্তান থেকে আসা ব্যবসায়ী রহমান মুশকাওয়ানি বলেছেন, (৪)

আমি আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশ থেকে এসেছি। আমি বস্ত্রজাত দ্রব্য, কার্পেট ও শুকনো ফল বিক্রি করি। আমি এবারের বিশ্বমেলায় যোগ দিতে পেরে খুব খুশি। শাংহাই বিশ্বের একটি সবচেয়ে সুরম্য নগর। আমাদের ব্যবসা খুব ভাল। আমাদের বিশেষ পণ্য এখানে সবার প্রশংসা পেয়েছে। বিশ্বমেলার আয়োজকগণ আমাদের অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। আমরা তাদের সবাইকে ধন্যাবাদ জানাই। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আমরা আবার চীনের সাথে দীর্ঘদিনের ব্যবসা করবো।

এখানকার অনেক বেশি দর্শক আফগানিস্তানের বিশেষ পণ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। হাং চৌ থেকে আসা দর্শক মিস ওয়াং বলেছেন, (৫)

আফগানিস্তান ভবন আমার হৃদয়কে ভরিয়ে দিয়েছে। এখানের স্মারকবস্তু খুব মজার। আগে আফগানিস্তানের সংস্কৃতি সম্পর্কে আমি তেমন একটা জানতাম না। সে কারণেই আমি বিশেষভাবে আফগানিস্তান ভবনে গিয়েছি তা দেখতে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040