Web bengali.cri.cn   
রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ
  2010-07-15 20:22:40  cri

বিদায়ী ২০০৯-১০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এ সপ্তাহে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব বোর্ড জানায়, বিদায়ী অর্থবছরে ৬১ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চারটি খাতে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬২ হাজার সাত কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ হাজার ৪৮০ কোটি ২২ লাখ টাকা বেশি। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে মোট অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগ হয়েছে ৯২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর বিপরীতে এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১২১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে। আলোচ্য সময়ে এ খাতে পুঁজিবাজারে মোট বিনিয়োগ হয়েছে ৪২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

রাজস্ব আদায়ে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট খাতে। এ খাতে ২০ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২১ হাজার ৬৪৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে ২৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৮৯১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আয়কর খাতে ১৬ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে ৪৬৯ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৮৫ কোটি ৭১ লাখ।

রাজস্ব বোর্ড জানায়, অপ্রদর্শিত আয় বৈধকরণেও বেশ সাড়া পাওয়া গেছে এবং চূড়ান্ত হিসাবে তা দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। (সূত্র: কালের কন্ঠ)

ভারতে শিল্পোত্পাদন বেড়েছে

গত মে মাসে ভারতের শিল্পোত্পাদনের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সপ্তাহে ভারত সরকার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়। তবে শিল্পোত্পাদনের এ প্রবৃদ্ধি সরকারের দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক কম। গত এপ্রিলের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ভারত সরকার পূর্বাভাস দিয়েছিল মে মাসে দেশটির শিল্পোত্পাদনের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু খনি থেকে সম্পদ আহরণ ও উত্পাদনের ধীরগতির কারণে শিল্পোত্পাদনের পরিমাণ পূর্বাভাসের চেয়ে কম হয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। (সূত্র: টুডে অনলাইন)

নতুন মন্দার আশঙ্কা নাকচ করে দিল ইসিবি

অভিন্ন মূদ্রা ইউরো ব্যবহারকারী দেশগুলোতে নতুন অর্থনৈতিক মন্দার আশংকা নাকচ করে দিল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ইসিবি। ব্যাংকটির মতে, ইউরো অঞ্চলের দেশগুলো ইতোমধ্যেই তাদের ঋণ সংকটসংক্রান্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। ইসিবির একটি ঋণ কর্মসূচির সফল পরিসমাপ্তি ও গত মে মাসে জার্মানিতে শিল্পোত্পাদন বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়োর্গেন স্টর্ক সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, "মনে হচ্ছে খারাপ সময় কেটে গেছে।"

তবে ইসিবি প্রধান জ্যঁ ক্লাউদ ত্রিশে বলেছেন, ইউরো অঞ্চলের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানগুলো বেশ উত্সাহব্যঞ্জক হলেও মন্দা পুরোপুরি কেটে গেছে এমন ঘোষণা দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। সম্প্রতি গ্রিসসহ ইউরো অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে ঋণসংকট ছড়িয়ে পড়ে। আর সে কারণেই এ অঞ্চলে নতুন করে মন্দার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই ইসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা ফ্রাঙ্কফুর্টে বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সামনে তাদের এসব বক্তব্য তুলে ধরেন। তারা বলেন, সংকট মোকাবিলায় সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর চাপসহ্য ক্ষমতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী ২৩ জুলাই ইসিবি ৯১টি ব্যাংকের ওপর পরিচালিত এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে। কর্মকর্তারা আশা করেন, ইউরোপের ৬৫ শতাংশ ব্যাংকের ওপর পরিচালিত এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ইউরোপের আর্থিক খাতের অস্থিরতার ব্যাপারে উদ্বেগের অবসান হবে। (সূত্র: এএফপি)

আরও ৪টি ব্যাংক বন্ধ হল যুক্তরাষ্ট্রে

অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে আরও চারটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। গত ৯ জুলাই ব্যাংক চারটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এগুলো হল হোম ন্যাশনাল ব্যাংক, বে ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউএসএ ব্যাংক এবং আইডিয়াল ফেডারেল সেভিংস ব্যাংক। এ চারটি নিয়ে চলতি পঞ্জিকা বছরের প্রথম ছ'মাসের কিছু বেশি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্ততপক্ষে ৯০টি ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ হল। গড় হিসেবে প্রতিমাসে ১৩টি করে ব্যাংক বন্ধ হল। জানা গেছে, দেশটির আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলো দুর্বল অর্থনৈতিক ভিত্তির কারণে এ ব্যাংকগুলো বন্ধ করে দেয়। মন্দা-পরবর্তী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাত্রা অত্যন্ত ধীরগতির হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে এখনো বেকারত্বের সংখ্যা সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি। আর এ কারণে দেশটির ব্যাংকিং খাত সংকট থেকে বেরোতে পারছে না বলে মনে করছেন বিশ্লষকরা। (সূত্র: পিটিআই)

মুদ্রাস্ফীতি কমেছে যুক্তরাজ্যে

চলতি বছরের জুন মাসে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। দেশটির পরিসংখ্যান দপ্তর সম্প্রতি এ তথ্য জানায়। পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুনে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি কমে ৩ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মে মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে মুদ্রাস্ফীতি কমলেও দেশটিতে ভোক্তা মূল্যসূচক ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ধার্যকৃত হারের চেয়ে এখনো অনেক বেশি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আদেশ অনুযায়ী, ভোক্তা মূল্যসূচকের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ। (সূত্র: বিবিসি)

প্রণোদনা তহবিল গড়ার প্রস্তাব ইউরোপের ব্যাংকগুলোকে

ভবিষ্যতে ইউরোপের ঋণগ্রস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার জন্য সে অঞ্চলের বড় ব্যাংকগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে একটি তহবিল গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়ে হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইতালির আলেকজান্দ্রো প্রোফুমো ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে এ পরামর্শ দেন। তিনি লিখেছেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকের স্বেচ্ছা অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুই হাজার কোটি ইউরোর একটি তহবিল গড়ে তোলা যেতে পারে। আর এ সহায়তা প্রদান বিভিন্ন দেশের সরকারি উদ্যোগে নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের বাইরে স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হতে পারে। প্রবন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়, বিশ্ব মন্দার মতো সংকটে আগাম প্রস্তুতি হিসাবে ইউরোপের ২০টি প্রধান ব্যাংক এ তহবিল গড়ে তুলতে পারে।

এতে উল্লেখ করা হয়, প্রফুমো ইতোমধ্যেই এ তহবিল গড়ে তোলার জন্য ইউরোপের প্রধান প্রধান ব্যাংকগুলোর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। (সূত্র: এএফপি)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040