|
চীনের ১৮তম খুনমিং আমদানী ও রপ্তানী পণ্য বিনিময় মেলা ও তৃতীয় দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর পণ্য মেলা ইউনান প্রদেশের রাজধানী খুনমিংয়ে চলছে। এটি হলো চীন ও দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। খুনমিং বিনিময় মেলা আর দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য মেলার প্রভাব দিনের পর দির বাড়ছে।
এবারের মেলায় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ীরা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারণে তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানী ব্যবসায়ী দিলশাদ জাফারি বলেন, (রেকর্ডিং)
'এখানকার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এখন অনেক বেশি। তাঁরা পণ্য কেনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পণ্য খুব পছন্দ করেন। এখন সারা বিশ্বের মানুষ চীনের পণ্য কিনছে। কিন্তু পাকিস্তানের হস্তশিল্পের ওপর চীনাদের গভীর আগ্রহ রয়েছে।'
ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের প্রধান সিয়াং ছিং হুয়া বলেন, চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ যুগোপযুগী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়া ইউনানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে আরো বেশি বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের জন্য ইউনান প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, (রেকর্ডিং)
'প্রথমত: আরো বেশি ক্রেতা ও পণ্য যাতে ইউনানে আসতে পারে সে জন্য সুবিধাজনক শুল্ক প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। দ্বিতীয়ত: আরো বেশি ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমরা উপযুক্ত ভর্তুকি দেবো। যেমন এবারের মেলার স্টল ফি মওকুফ করা হয়েছে। তৃতীয়ত: বিনিময় ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে আমরা পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করবো। যাতে দক্ষিণ এশিয় দেশগুলো চীনকে, ইউনানকে এবং খুনমিং সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পারে। খুনমিং-এর অধিবাসীরাও যেন প্রতিবেশী দক্ষিণ এশিয় দেশগুলো সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পারে।'
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন আর দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্র দ্রুত বিকাশের পাশাপাশি সহযোগিতার ক্ষেত্রও সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০০৯ সালে আর্থিক সংকট সত্বেও চীন আর দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |