Sunday Apr 27th   2025 
Web bengali.cri.cn   
চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার : উন্নয়নের পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন
  2010-04-29 20:33:36  cri

চীনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বিনিময় সংক্রান্ত ১০৭তম মেলার প্রথম পর্যায়ের প্রদর্শনী ১৯ এপ্রিল শেষ হয়েছে। বিনিময় মেলার পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, বিদেশী ব্যবসায়ীর সংখ্যা গত বারের তুলনায় অনেক বেড়েছে। চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের আস্থা আরো জোরদার হয়েছে। এর পাশাপাশি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ অর্থনীতি মহলের ব্যক্তিবর্গ বলেছেন, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের পদ্ধতির দ্রুত পরিবর্তনের মাধ্যমে এশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক দেশে পরিণত হওয়া প্রয়োজন।

চীনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বিনিময় মেলা ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর বসন্ত ও শরত্কালে এ মেলা কুয়াংতৌয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলা হচ্ছে চীনের দীর্ঘ ইতিহাসে বৃহত্তম আয়তনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক মেলা। চীনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বিনিময় সংক্রান্ত ১০৭তম মেলায় ৫৭ হাজার স্টল রয়েছে। দেশ ও বিদেশের ২০ হাজারেরও বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ মেলায় যোগ দিয়েছে। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ও বাণিজ্যের পরিমাণ গত মেলার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে।

পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, প্রথম কোয়ার্টারে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ৬১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যে এটি বিশ্ব আর্থিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি পরিবেশ উন্নত করার প্রতীক। চীনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বিনিময় মেলায় অংশ নেয়া হুবেই প্রদেশের সানচিয়াং জাহাজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি লিমিটেড কোম্পানি হচ্ছে একটি মোটরবোট ও ইয়ট্ গবেষণাকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এ কোম্পানির পণ্য ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বিভাগের পরিচালক লিয়েন মিং আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, (১)

চলতি বছর আমরা বৈদেশিক বাণিজ্য স্পষ্টভাবে পুনরুদ্ধারের প্রবণতা অনুভব করছি। জানুয়ারী থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমাদের কাছে ফরমাশ গত বছরের তুলনায় বেশি ছিল। এমনকি ২০০৮ সালের একই সময়ের তুলনায়ও তা অনেক বেশি ।

বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিতে উত্সাহ দেয়ায় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। বিদেশী ব্যবসায়ীদের কেনাকাটার প্রতি আগ্রহ আগের চেয়ে আরো বাড়ছে। জানা গেছে, এবারের বিনিময় মেলায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমরিকা ও আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের সংখ্যাও বাড়ছে। সুইডেন থেকে আসা মি. পিটার চীনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বিনিময় মেলায় ৪০বারের মত যোগ দিয়েছেন। তিনি আমাদের সংবাদাতাকে বলেছেন, পূর্ব ইউরোপের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালর দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনাও অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন,(২)

আমি সুইডেন থেকে এসেছি। এ মেলায় আমি ৪০বারের মত অংশ নিয়েছি। পূর্ব ইউরোপের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল রয়েছে। কর্মসংস্থান ও ভোক্তার সংখ্যাও উন্নতির দিকে যাচ্ছে। চলতি বছর আমাদের কেনাকাটার পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বিশ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী চোং শান এবারের বিনিময় মেলায় বলেছেন, চীনের পরবর্তি বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের কৌশলগত লক্ষ্য হল বাণিজ্যিক দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থা আরো সুসংবদ্ধ করা, বাণিজ্যিক মহাদেশের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা, রপ্তানিজাত পণ্য সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামর্থ্য উন্নত করা। চোং শান বলেন,(৩)

চীন তার বর্তমান বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করছে। আমাদের উচিত যথাসাধ্য চেস্টার মাধ্যমে কৌশলগত অবস্হা সুবিন্যস্ত করা; মান উন্নত করা, কার্যকারিতাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, জ্বালানি সম্পদ সাশ্রয় ও কাঠামোগত দিক সুবিন্যাসের ব্যবস্থা গড়ে তোলা, চীনের সকল খাতের মান উন্নত করা এবং রপ্তানিজাত পণ্যের সার্বিক মান উন্নত করে তোলা।

এর পাশাপাশি চোং শান বলেন, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের উন্নয়নের আরেকটি প্রধান দিক হল আমদানি ও রপ্তানির সমন্বিত উন্নয়নকে দৃঢ়ভাবে সহায়তা প্রদান করা, যাতে বাণিজ্যিক ভারসাম্য ত্বরান্বিত করা যায়।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040