|
অংশগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাজার উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক সিয়ামসুল লুসা আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণকারী চীনা পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত উন্নত হচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন, চীনা পর্যটকের সংখ্যা আরোও উন্নত হবে। তিনি বলেছেন, (১)
২০০৯ সালের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণকারী চীনা পর্যটকের সংখ্যা ২০০৮ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ইন্দোনেশিয়া এবারের পর্যটন বিনিময় মেলায় যোগ দেয়ার জন্য এক শ'জন নিয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। এ প্রতিনিধি দলে আটটি প্রদেশের পর্যটন ব্যুরো, দশটি পর্যটন সংস্থা ও ১৩টি হোটেলের প্রতিনিধিগণ রয়েছেন। তারা ইন্দোনেশিয়ার বিরাট পর্যটন সম্পদ অনুযায়ী বিশেষ পর্যটন বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে। তা বিভিন্ন দেশের পর্যটন শিল্প বিশেষ করে চীনের পর্যটন শিল্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
চীনের চিয়াংসু প্রদেশ থেকে আসা ছাং চৌ আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থার মিস লিউ আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, সব সময় তার নেতৃত্বে পর্যটক দল ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করেছে। আবহাওয়ার কারণে ডিসেম্বর মাস হচ্ছে চীনা পর্যটকদের ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের ব্যস্ত সময়। তার এবারের পর্যটন বিনিময় সম্মেলনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্য হল ইন্দোনেশিয়া পক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা করা।
ইন্দোনেশিয়ার মেতানের পিটি বোরাসপাতি এক্সপ্রেস পর্যটন সংস্থার পরিচালক ক্লিমেন্ট এইচ জি গুলতোম মনে করেন, দু'দেশের সহযোগিতা ও বিনিময় ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পর্যটনের মাধ্যমে দু'পক্ষের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজ ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র সরাসরি অনুভব করা এবং পরস্পরের সমঝোতা এবং মৈত্রীও উন্নত করা সম্ভব। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতাও জোরদার করা যায়। তিনি বলেছেন, (৩)
সব সহযোগিতা সমঝোতা থেকেই শুরু হয়। পর্যটন থেকে বাণিজ্যিক পুঁজি বিনিয়োগ হচ্ছে একটি ধাপে ধাপে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। প্রথমে আমাদের উচিত প্রতিপক্ষের দেশ ভ্রমণ করা। ভ্রমণের মাধ্যমে সে দেশটিকে বুঝতে চেষ্টা করা । তারপর সে দেশে বাণিজ্য করা। সবশেষে পুঁজি বিনিয়োগ করা। এটি হল সব ধরণের সহযোগিতার মাধ্যমে পর্যটন থেকে শুরু করার লক্ষনীয় দিক।
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন ক্ষেত্রের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে পর্যটন সহযোগিতা দ্রুততর হচ্ছে। ২০১০ সালে চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তোলার পর সেবা বাণিজ্যের উন্মুক্তকরণ আরো বেশি বাস্তবায়িত হবে। এর পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যটন শিল্পের প্রতিদ্বন্দ্বীশক্তিও উন্নত করা সম্ভব হবে। ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরোর মহাপরিচালক নুরলিসা গিনথিং বলেছেন, (৪)
চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত বেশ কিছু সহযোগিতামূলক চুক্তির ভেতর দিয়ে আসিয়ানের দেশগুলোর মধ্যে আরো বেশি বিনিময় হবে। চীনের পণ্যদ্রব্য আসিয়ানের বাজারে সহজভাবে প্রবেশ করতে পারে। তখন বিভিন্ন দেশের সেবার মানদন্ড একই হবে। যেমন আগে আমাদের কিছু অবাধ নীতি নিয়ে বাণিজ্য অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ ছিল। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা পরিবর্তন করবো। যাতে অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একই অবস্থান বজায় রাখা যায়। আমরা মনে করি, এটি একটি চ্যালেঞ্জ, তবে এর ইতিবাচক তাত্পর্য রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাজার উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক সিয়ামসুল লুসা বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল অব্যাহতভাবে নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া চীনা পর্যটককে অন অ্যারাইভাল ভিসাসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধার প্রদান নীতি কার্যকর করেছে। দু'দেশের বেসামরিক বিমান চলাচলের মধ্যে সাংহাই থেকে মানাতো' পর্যন্ত বিমান পথ নির্মাণ করেছে। এ ধরণের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারণ করা হবে। তবে পর্যটক ও পর্যটন সংস্থার জন্য এসব নতুন সুবিধাজনক নীতি ও বিষয়বস্তু জানার লোক সংখ্যা খুব বেশি নেই। সুতরাং, প্রচারের কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, (৫)
২০১০ সাল ইন্দোনেশিয়া ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী। আমরা এ সুযোগের মাধ্যমে চীনে বেশ কিছু পর্যটন প্রচারের তত্পরতার আয়োজন করবো। তাছাড়া, আমরা পেইচিংয়ে পর্যটন পরামর্শের কর্মসংস্থা গড়ে তুলেছি। পরবর্তীকালে আমরা সাংহাই বা কুয়াং চৌয়ে কর্মসংস্থা গড়ে তুলতে চাই। যাতে চীনা পর্যটকদের ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরো বেশি পর্যটন বিষয়ক তথ্য জানানো যায়।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |