|
২০০২ সালে এই অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গুয়াংসী যে সাফল্য অজর্ন করেছে এ সাক্ষাত্কারে মা বিও তা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এ অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পর , আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সৌহার্দ্যপূর্ণ সফর বিনিময় তরান্বিত হয়েছে, আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পুজিবিনিয়োগের বৃদ্ধি বেড়েছে, আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে পযর্টন, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুয়াংসী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সহযোগিতা বাড়ানো হয়েছে। দু'পক্ষের বাণিজ্য ও পুঁজিবিনিয়োগ প্রসঙ্গে মা বিও বলেছেন, (রেকডিং ২)
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত ধারাবাহিক চুক্তি কাযর্কর করার ফলে দু'পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য ও পুঁজিবিনিয়োগের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পযর্ন্ত আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে গুয়াংসী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বাণিজ্যিক পরিমাণ তিন গুণ বেড়েছে। গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে আসিয়ান দেশগুলোর বাস্তব পুঁজিবিনিয়োগের পরিমাণ ৪ দশমিক ৩৮ গুণ হয়েছে। আসিয়ান দেশগুলোতে গুয়াংসী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পুঁজিবিনিয়োগের পরিমাণ ২৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০০৪ সাল থেকে, গুয়াংসী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী নাননিন শহরে প্রতি বছর এক বার করে চীন-আসিয়ান মেলা অথবা চীন-আসিয়ান বাণিজ্য ও পুঁজিবিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় বাণিজ্য , পুঁজিবিনিয়োগ ও পরিসেবা বাণিজ্য এ তিনটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত। অবাধ্য বাণিজ্য গঠনের প্রক্রিয়ায় গুয়াংসী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। যার ফলে গুয়াংসীর ভাবমুর্ক্তি ও খ্যাতি অনেক বেড়েছে।
মাও বিও বলেন, অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পর চীন-আসিয়ান মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিলা পালন করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য এবং এতি বছরের এই মেলাকে সম্পূর্ণ করার জন্য গুয়াংসী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
২০০৮ সালের প্রথম দিকে, চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ " গুয়াংসী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের উত্তর উপসাগরীয় অর্থনীতি অঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনার" কাযর্কারিতা অনুমোদন দিয়েছে। তখন থেকে এই অর্থনীতি অঞ্চলের উন্নয়নকে রাষ্ট্রীয় কৌশন হিসেবে গণ্য করা হয়। চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের গঠন কাজ ও উন্নয়ন তরান্বিত করার জন্য এই অথর্নৈতিক সহযোগিতা অঞ্চল একান্ত প্রয়োজন। চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের সহযোগিতা ও উন্নয়নে গুয়াংসীর উত্তর উপসাগরীয় অথর্নীতি অঞ্চলের ভূমিকা প্রসঙ্গে মা বিও বলেছেন, (রেকডিং ৪)
গুয়াংসীর উত্তর উপসাগরীয় অর্থনীতি অঞ্চল হচ্ছে চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাথফোর্ম তা অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের গঠন ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
আগামী বছরের জানুয়ারী মাসের ৭ ও ৮ তারিখে চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল ফোরাম নাননিন শহরে অনুষ্ঠিত হবে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আসিয়ান সচিবালয় ও গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সকারের যৌথ উদ্যোগে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। মা বিও বলেন, চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল সময় মতো প্রতিষ্ঠিত হলে গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, (রেকডিং ৫)
চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হলে গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের সুযোগ। এ থেকে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, গুয়াংসী যুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বৈদেশিক উন্নয়ন একটি নতুন পযার্য়ে উন্নীত হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের গঠন গুয়াংসীর জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জও বয়ে এনেছে। গুয়াংসীর উচিত পুরোপুরিভাবে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয়ভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং সাবির্ক উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, ( রেকডিং৬)
বিভিন্ন স্তরের সরকারের নেতৃবৃন্দের উচিত নিষ্ঠার সঙ্গে চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের নীতিপন্থা অনুশীলন করা । গুয়াংসীকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অথর্নৈতিক সহযোগিতার নতুন প্ল্যাথর্ফৌমে গড়ে তোলার জন্য আরও বাস্তব প্রচেষ্টা চালানোর উচিত। এতক্ষণ প্রতিবেদনটি শুনলেন।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |