বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষের যথাযথ অবদান খারা উচিত।
2009-11-18 20:56:56 cri
চীনের বেশ কয়েকটি সরকারের মহলের অংশ নেয়া “ জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নিগর্মন কমানো এবং বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম” ১২ নভেম্বর পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিবেশ সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মহলের কর্মকর্তারা বলেছেন, বতর্মানে যদিও চীন শিল্পায়ন, শহরায়ন দ্রুত বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে এবং দারিদ্র মোচনের কতর্ব্য শেষ হয়নি তবুও জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নিগর্মন কামানো এবং বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষের যথাযথ অবদান খারা উচিত।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ওয়েনগান এ ফোরামে বলেছেন, জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নিগর্মন কামানোর জন্য চীন সরকার বিশদ ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেছেন,
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পযর্ন্ত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে দেশের বিশেষ পরিকল্পনা ও কর্মসূচী চালু করেছে। এ কর্মসূচীতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলারয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে সাম্প্রতিক ও মাঝারি মেয়াদের লক্ষ্যমাত্রা উত্থাপিত হয়েছে। যাতে বিশ্বজুড়ে বলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন মহল , বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারে। তা ছাড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনে অর্থ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, উত্পাদন শিল্পকে উচ্চ পর্যায়ে রুপান্তরের প্রযুক্তি খুঁজে বের করতে হবে, নবায়নযোগ্য জ্বালানী উন্নয়নের প্রযুক্তি সৃষ্টি করতে হবে। যাতে নবোদিত উত্পাদন শিল্প ও সবুজ অর্থনীতির উন্নয়ন তরান্বিত করার জন্য বলিষ্ঠ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবলম্বণ সরবরাহ দেয়া হয়।
এ ফোরামে অংশ গ্রহণকারী কর্মকর্তারা মনে করেন, আর্থিক সংকটের কঠিন পরিস্তিতিতে চীন জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নিগর্মন কাজ লাঘব করে নি বরং আরও জোরদার করেছে। চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে নিউনিট জি ডি পির জ্বালানী ব্যয় ৩.৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সরকারের উত্থাপিত ২০১০ সালের জি ডি পির জ্বালানী ব্যয় ২০০৫ সালের ২০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত হতে পারে।
তবে এ ফোরামে অংশ গ্রহণকারী কর্মকর্তারা মন খুলে বলেছেন, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বতর্মানে চীনে অর্থনৈতিক কাঠামোতে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ওখনও শ্রমর্নিভর শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করা হয়। জ্বালানী সম্পদ প্রয়োগের কার্যকারিতা অপেক্ষাকৃত নিম্ন। এ সমস্যার সমাধান করা অত্যন্ত প্রয়োজন। শিল্প ক্ষেত্রে চীনের অনেক শিল্প দ্রব্যের নিউনিট জ্বালানী ব্যয় শিল্পোন্ন দেশগুলোর চেয়ে ২০ শতাংশ বেশী। চীনের তথ্য ও শিল্প উপ মন্ত্রী মিও ইউয়ু বলেছেন, ভবিষ্যতে শিল্প ক্ষেত্রে জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নিগর্মন কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উত্পাদন কাঠামো উন্নত করা উচিত। তিনি বলেন,
সেকেলে উত্পাদন পদ্ধতি দ্রুত বাতিল করা উচিত। বেশী দূষিত ও বেশী জ্বালানী ব্যয় করা হয় এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানের অতি দ্রুত বৃদ্ধি ঠেকাতে হবে। পুঁজিবিনিয়োগ প্রকল্পের ওপর তদারকি ব্যবস্থা স্থাপন করা উচিত। নতুন শিল্প প্রকল্পে ব্যবহৃত জ্বালানী ব্যয়ের ওপর পরীক্ষানিরিক্ষা জোরদার করা উচিত। এর পাশাপাশি প্রধান প্রধান শিল্প প্রকল্পে জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নিগর্মন কাজকে সমর্থন করা উচিত।
এবারের ফোরামে অংশ গ্রহণকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, জ্বালানী সাশ্রয় ও বিষাক্ত গ্যাস নিগর্মন কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করা উচিত। বিশ্বের আধুনিক অভিজ্ঞতা ও ধারণা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা