|
পাঠ ২১: দিক জানতে চাওয়া ১
লাবণ্য: da jia hao. wo shi লাবণ্য।
আকাশ: da jia hao. wo shi আকাশ।
লাবণ্য: ভাইয়া, গত রাতে একটা মধুর স্বপ্ন দেখেছি।
আকাশ: কী? প্রিয়া?
লাবণ্য: দেখেছি একটা বড় রুমের মধ্যে বসে আছি আমি...
আকাশ: তারপর আমার মতো একটা সুন্দর ছেলে আসছে...
লাবণ্য: লজ্জাহীন আকাশ! তা দেখলে সেটা হতো দুঃস্বপ্ন।
আকাশ: তুমি যা বলছো সেটা তোমার মনের কথা নয়। যা হোক, কী হয়েছে তারপর?
লাবণ্য: তারপর হঠাত্ করে একটা কেক আমার সামনে হাজির। আর আমি আনন্দে এক মুহূর্তেই সেটা গিলে ফেললাম।
আকাশ: এক গালে সেটা গিলে ফেললে, তোমার অস্বস্তি লাগলো না?
লাবণ্য: না না, একদম না। বরং খুব জোস লাগলো। যেই আমি একটা খেয়ে শেষ করলাম, অমনি দেখি আরেকটা এসে পড়েছে। দেখে আমি হাহা করে হাসতে থাকি। তারপর সেটাও গিলে ফেলি। ভাইয়া, প্রথমটার স্বাদ ছিল চকোলেটের মতো। আর দ্বিতীয় কেকটা পুরো ভ্যানিলা আইসক্রিমে ঢাকা।
আকাশ: ইস, খুব জোস!
লাবণ্য: তারপর একটার পর একটা কেক আসছে, আর আমি খেয়ে চলেছি।
আকাশ: প্রিয়া, গত সন্ধ্যায় তুমি তোমার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলে?
লাবণ্য: আমার কথা শোনো আগে। আমি এ ছোটগুলোর শেষটা খাওয়ার পর হঠাত্ দেখি একটা বড় উজ্জ্বল কেক। তার ওপরে আম, কলা ইত্যাদি ফল। কিন্তু আমি যখন সেটি খাওয়ার জন্য লাফ দিয়ে কেকটার পাশে যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন হঠাত্ বজ্রপাতের বিকট শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি দেখতে পাই জানালার বাইরে তখন তুমুল ঝড় হচ্ছে। আমি খুব রাগান্বিত ও হতাশ হয়ে যাই।
আকাশ: হাহাহা...। রাগান্বিত নয়, তোমার খুশি হওয়া উচিত। কারণ আল্লাহ তোমাকে অতিভোজনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
লাবণ্য: কিন্তু এখনো আমার গত রাতের মধুর স্বপ্ন ও সুস্বাদু কেকের কথা মনে পড়ছে। ভাইয়া, ওই ঝড়ের সময় তুমি কী করছিলে?
আকাশ: সি আর আইয়ের কাজ শেষে ঝড়ের সময় আমি বাস স্টেশনে যাই। ঝড়ের মধ্যে হাটঁতে হাঁটতে গান গাই। যদিও আমার সঙ্গে ছাতা ছিল, তবুও সেটায় তেমন কাজ হচ্ছিল না। আমার সারা শরীর ভিজে যায়। কিন্তু তার পরও আমি খুব খুশি।
লাবণ্য: পাগল!
আকাশ: তুমি জানো আপা, তখন সারা রাস্তা একটা নদীর মতো হয়ে গেছে। আমি যখন বাসে বসে যাচ্ছি, জানালা দিয়ে হাওয়া এসে আমার মুখে লাগছে; জলপূর্ণ হাওয়া।
লাবণ্য: আহ কী আরামদায়ক!
আকাশ: আপা, এটা আমাকে সমূদ্র তীরে রাতের হাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়।
লাবণ্য: আকাশ ভাইয়া, আমি সমূদ্রতীরে ভ্রমণ করতে চাই। কিন্তু আমার ভয় লাগে।
আকাশ: কিসের ভয়?
লাবণ্য: আমি নতুন জায়গায় গেলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় পাই।
আকাশ: চিন্তা নেই। তুমি কোন দিকে যাবে সেটা অন্য মানুষদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারো। বন্ধুরা, তাহলে আজকে আমরা দিক জানতে চাওয়া সম্পর্কে কিছু শব্দ ও বাক্য শিখবো।
দিনের প্রধান শব্দগুলো: পূব, পশ্চিম, দক্ষিণ, উত্তর।dong xi nan bei, সামনে, পিছন, বাম, ডান qian hou zuo you, আমি কী জিজ্ঞেস করতে পারি, কোন পথে আমি সি আই আর যেতে পারি?qing wen, guo ji tai zen mo zou? পাতাল রেলের দরজা দিয়ে বের হওয়ার পর পশ্চিম দিকে প্রায় ৫০ মিটার হাঁটলে পৌঁছে যাবে। chu di tie hou xiang xi zou da yue 50 mi jiu dao le.
আকাশ: বন্ধুরা, আসুন প্রথমে আমরা মনে করে নেই চীনা ভাষায় দিকের নামগুলো কী কী। dong - পূব, xi - পশ্চিম, nan - দক্ষিণ, bei - উত্তর. dong, xi, nan, bei - পূব, পশ্চিম, দক্ষিণ, উত্তর।
লাবণ্য: dong, xi, nan, bei
আকাশ: দিকগুলোর নাম আমরা আগেই শিখেছিলাম। আজকে আমরা শিখবো নতুন কিছু। qian অর্থ সামনে।
লাবণ্য: qian
আকাশ: hou মানে পিছন
লাবণ্য: hou
আকাশ: zuo অর্থ বাম
লাবণ্য: zuo
আকাশ: you মানে ডান
লাবণ্য: you
আকাশ: qian hou zuo you. সামনে, পিছন, বাম, ডান
লাবণ্য: qian hou zuo you
বাক্য:
আকাশ: qing wen মানে আমি কী জিজ্ঞেস করতে পারি? সাধারণত কোনো প্রশ্ন করার সময় বাক্যের শুরুতে এ শব্দ দুটি ব্যবহার করা হয়, ভদ্রতা প্রকাশের জন্য। zen mo অর্থ কিভাবে? zou মানে হাঁটা। qing wen, guo ji tai zen mo zou? আমি কী জিজ্ঞেস করতে পারি, কোন পথে আমি সি আই আর যেতে পারি?
লাবণ্য: qing wen, guo ji tai zen mo zou?
আকাশ: chu মানে বের হওয়া, di tie অর্থ সাবওয়ে বা পাতাল রেল। বন্ধুরা, পেইচিংয়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক যাতায়াতের উপায় হলো পাতাল রেল। পেইচিংয়ে এ বছর নাগাদ মোট ১৩টি পাতাল রেললাইন হয়েছে এবং লাইন বিস্তৃত করার কাজ অনবরত চলছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ২০১৫ সালে এখানে পাতাল রেললাইনের মোট দৈর্ঘ্য ৭০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে। এজন্য আপনি পেইচিং শহরের যেখানেই যেতে চান না কেন, পাতাল রেলে করে যেতে পারবেন। সি আর আই হচ্ছে এক নম্বর লাইনের পা পাও শান স্টেশনের একেবারে পাশে। বন্ধুরা, এজন্য পাতাল রেলে করে আপনারা খুব সহজে ও আরামদায়কভাবে সি আর আই পৌঁছতে পারেন। এবং আমি আশা করি, পাতাল রেল যাত্রা আপনাদের চীন ভ্রমণের একটা মধুর অংশে পরিণত হবে। বন্ধুরা, পাতাল রেল নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি না করে পারছি না। আমি প্রথম পেইচিংয়ে আসি ১৯৯৫ সালে; তখন কেবল মাধ্যমিক স্কুলে পড়ছি। সে সময় যখন প্রথম আমি পাতাল রেলে চড়ি, আমি খুব উত্তেজিত বোধ করছিলাম। এরপর আমি যতবার পেইচিংয়ে আসি, প্রতিবারই পাতাল রেলে চড়ি। বিশেষ করে, গ্রীষ্মে পাতাল রেলের ভেতরে বেশ ঠাণ্ডা বোধ হয়। একবার আমি ও আমার বন্ধু পাতাল রেলে করে সি হু টোং স্টেশনে চলে যাই। কারণ সি হুই স্টেশন থেকে সি হিই টেং স্টেশন যাওয়ার পথে ট্রেন মাটির নিচে থেকে মাটির উপরে চলে আসে। আমি মনে করি, এটা একটা মজার অভজ্ঞতা। আচ্ছা বন্ধুরা, পাতাল রেলের গল্প এখন থাক, চলুন ফিরে যাই চীনা ভাষা শেখায়। kou অর্থ মুখ। এখানে di tie kou মানে পাতাল রেল স্টেশনের দরজা, xiang মানে দিকে, da yue অর্থ প্রায়, 50 mi মানে ৫০ মিটার, dao অর্থ পৌঁছানো। chu di tie hou xiang xi zou da yue 50 mi jiu dao le. পাতাল রেলের দরজা দিয়ে বের হওয়ার পর পশ্চিম দিকে ৫০ মিটার হাঁটলে পৌঁছে যাবে।
লাবণ্য: chu di tie hou xiang xi zou da yue50 mi jiu dao le.বাক্য:পর্যালোচনা:
লাবণ্য: ভাইয়া, আজকের অনুষ্ঠান শেষে আমি ইন্টারনেট ব্রাউজ করবো।
আকাশ: কিসের জন্য আপা?
লাবণ্য: আমি কেক কিনবো ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সে রাতের স্বপ্নের মধুর কেকের কথা খুব মনে হচ্ছে। এজন্য আমি সেটা খেতে চাই এখন।
আকাশ: হাহাহা... বন্ধুরা, মধুর স্বপ্ন সব সময়ই মধুর। কিন্তু আমরা যদি সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাই, তবে তা কেবল স্বপ্ন হয়ে থাকবে না।
লাবণ্য: হ্যাঁ। বন্ধুরা, পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা দিক জানতে চাওয়া সম্পর্কে আরো আলোচনা করবো।
আকাশ: ঠিক আছে। বন্ধুরা, মধুর মধুর স্বপ্ন দেখতে থাকুন।
লাবণ্য: হাহাহা...। চলুন একসাথে কেক খাওয়া যাক।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |