|
লাবণ্য: da jia hao! wo shi লাবণ্য।
আকাশ: da jia hao! wo shi আকাশ।
লাবণ্য: ভাইয়া, শীত চলে গেছে। এখন আসছে বসন্ত।
আকাশ: হ্যাঁ, গত সপ্তাহে শনিবারে আমি ইউ ইয়ান থান পার্কে দেখেছি ফুল প্রায় ফুটতে শুরু করেছে।
লাবণ্য: উহ খুব সুন্দর! আরেকটি বছর আসছে।
আকাশ: হ্যাঁ, কেউ যদি আমার বয়স জানতে চায় এ বছর থেকে আমি বলবো 'bao mi'।
লাবণ্য: বন্ধুরা মনে আছে? এ বাক্যের অর্থ হলো এটা গোপনীয়। কিন্তু কেন এটা গোপনীয়? কেউ যদি আমার কাছে আমার বয়স জানতে চায়, আমি তাকে ঠিক জানিয়ে দেবো। কারণ আমি মনে করি, এতে কোনো অসুবিধা নেই।
আকাশ: হাহা..., ২০১০ সালে আমার বয়স ছিল ২৯ বছর। ২০১১ সালে আমি ৩০ বছর বয়সী মানুষ। বন্ধুরা, চীনে একটি প্রবাদ আছে 'san shi er li', যার অর্থ হলো - বয়স যখন ত্রিশ তখন তুমি প্রকৃত পূর্ণবয়স্ক মানুষ হবে এবং আরো বেশি দায়িত্ব নেবে। আমি একথা উপলব্ধি করতে পারি এবং প্রতিদিনই চেষ্টা করি সে অনুযায়ী কাজ করতে। আমি মনে করি, মানুষের জীবনে দায়িত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আমি এখনো বোধ করি, অনেক বিষয় ১৮ বছর বয়সে আমার মনে যে রকম ছিল, এখনো তেমনই আছে।
লাবণ্য: বন্ধুরা, চীনা ভাষায় একটি কথা আছে - 'zhuang nen। এর অর্থ হলো সতেজ তরুণের মত। এ কথাটি তোমার জন্য খুব খাটে ভাইজান।
আকাশ: না, আমি zhuang nen নই। আমি zhen nen। মানে আমি প্রকৃতপক্ষেই খাঁটি ও তরুণ।
লাবণ্য: সর্বনাশ!
আকাশ: হাহা...। আমি মজা করছিলাম। তবে আমি মনে করি, যদিও শারীরিকভাবে বয়স্ক হয়ে যাওয়া আমরা থামাতে পারবো না, তবুও মানসিক দিক থেকে আমাদের তরুণ থাকা এবং হৃদয়ে সারাজীবন একটা নির্মলভূমি রক্ষা করা উচিত।
লাবণ্য: আমিও তোমার সঙ্গে একমত এ ব্যাপারে।
আকাশ: বন্ধুরা, তাহলে আজকে আমরা বয়স সম্পর্কে কিছু কথা ও বাক্য শিখবো।
দিনের প্রধান শব্দগুলো: তুমি যদি কোনো বাচ্চার কাছে তার বয়স জানতে চাও, তাহলে তুমি বলতে পারো ni ji sui le? তোমার বয়স কত? আমার বয়স হচ্ছে ষোল wo shi liu sui. একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের বয়স জানতে তুমি বলতে পারো ni duo da le? প্রবীণদের বয়স জিজ্ঞেস করার আরো ভদ্রোচিত উপায় আছে। সেক্ষেত্রে তুমি বলতে পারো nin duo da nian ji? অথবা nin gao shou?
আকাশ: চীনা সংস্কৃতি হলো এ রকম - তুমি যদি কোনো লোকের বয়স জিজ্ঞেজ করো, তবে সাধারণত তিনি কিছু মনে করবেন না। কিন্তু মেয়েদের বয়স জানতে চাওয়ার ক্ষেত্রে তোমাকে সতর্ক থাকতে হবে। চীনা ভাষায় মানুষের বয়স জানতে চাওয়ার কতোগুলো পদ্ধতি আছে। তুমি যদি একটা সুন্দর বাচ্চা দেখো এবং তার বয়স জানতে চাও, তাহলে তুমি বলতে পারো ni ji sui le. ji মানে কত, sui মানে বয়স, ni ji sui le, তোমার বয়স গত?
লাবণ্য: ni ji sui le
আকাশ: উত্তর হতে পারে এরকম - wo shi liu sui, shi liu মানে ১৬। আমার বয়স হচ্ছে ১৬।
লাবণ্য: wo shi liu sui
বাক্য: ni ji sui le? wo shi liu sui
আকাশ: কিন্তু তুমি যদি তোমার সমবয়সী কারোর অথবা সঙ্গীর বয়স জানতে চাও, তাহলে বলতে পারো ni duo da le? এখানে duo মানে কতো। Duo da একসঙ্গে হলে অর্থ হয়ে যায় বয়স কতো।
লাবণ্য: ni duo da le
আকাশ: প্রবীণদের বয়স জানতে চাইলে আরো ভদ্রোচিতভাবে তা করতে হবে। তুমি বলতে পারো: nin duo da nian ji? nin মানে আপনি, nin ji মানে বয়স।
লাবণ্য: nin duo da nian ji?
আকাশ: অথবা আমরা বলতে পারি nin gao shou. Gao মানে উচ্চ আর shou অর্থ বয়স। Gao shou একসঙ্গে অর্থ হয় আপনি কি রকম প্রবীণ।
লাবণ্য: nin gao shou?
বাক্য: nin duo da nian ji? অথবা nin gao shou?
পর্যালোচনা:
আকাশ: আপা, আজকাল আমার মনে হচ্ছে আমার হৃদয়ের কিছু অংশ খুব প্রবীণ, অন্যদিকে কিছু অংশ খুব তরুণ।
লাবণ্য: হাহা...। এর নামই জীবন।
আকাশ: আপা, আমার বয়স যতো বাড়বে, আমার হৃদয়ের নির্মলভূমিকে আমি ততো বেশি রক্ষা করবো।
লাবণ্য: ঠিক আছে, বন্ধুরা, তরুণ থাকুন এবং সারাজীবন হৃদয়ের নির্মলভূমিকে রক্ষা করুন।
আকাশ: হ্যাঁ প্রিয় বন্ধুরা, zai jian!
লাবণ্য: zai jian!
বন্ধুরা, দ্বিতীয় পর্বে বানররাজ সুন উখোং'র-এর জম্মকথার আরো কিছুটা শুনাবো আপনাদেরকে।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, সুন উখোং পশ্চিম গো-দ্বীপ এলাকার সীমান্তে গিয়ে পৌঁছলো। বহু দূরে সে একটি উঁচু খাড়া পাহাড় দেখতে পেল। সেখান থেকে কখনো কখনো গাছ কাটার ক্ষীণ আওয়াজ আর কাঠুরিয়ার গানের সুর বাতাসের সংগে ভেসে আসছিল। বানররাজ ভেলা থেকে নেমে আওয়াজ অনুসরণ করে চলতে চলতে বনের মধ্যে একজন কাঠুরিয়ার দেখা পেল।
বানররাজ জানতে চাইলো, কোথায় গেলে মহর্ষির সন্ধান পাওয়া যাবে? কুঠুরিয়া বলল, "এই পর্বতের গভীরে একটি অর্ধচন্দ্র আর ত্রিতারকা গুহা আছে সেখানে আচার্য বোধি নামে একজন মহর্ষি বাস করেন। এই পথ ধরে সোজা দক্ষিণ দিকে মাইল তিনেক গেলেই তুমি ওখানে পৌঁছবে।" বানররাজ তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গভীর পর্বতের দিকে পা বাড়াল।
পাহাড় ডিঙোতেই সত্যিই বানররাজ একটি গুহা দেখতে পেল। গুহার মুখে এসে বানররাজ দেখল সেটির মুখ বন্ধ। কিন্তু মুখ ফেরাতেই সে দেখতে পেল পাথরের একটি ফলক, তার ওপর খোদাই করা রয়েছে 'অর্ধচন্দ্র ও ত্রিতারকা গুহা'। এই কথাগুলো দেখে বানররাজ খুব খুশি হল। কিন্তু এগিয়ে গিয়ে দরজায় টোকা দিতে তার সাহস হল না। সেখানে বসে অপেক্ষা করতে করতে তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটল। তখন সে একটা পাইন গাছে উঠে পাইন-ফল খেতে লাগল।
আচ্ছা! বন্ধুরা, আগামী আসরে আমরা সুন উখোং'র জন্মকথার পরবর্তী অংশ আপনাদেরকে শোনাবো। আমি আকাশ, পেইচিং থেকে আপনাদের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিদায় নিচ্ছি। চাই চিয়ান!
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |